Saturday, July 4, 2015

প্রতারকচক্রের নারীরা 'প্রেমিকা' পুরুষরা 'ডিবি

প্রতারকচক্রের নারীরা 'প্রেমিকা' পুরুষরা 'ডিবি

প্রতারকচক্রের নারী সদস্যরা প্রথমে ফোন নম্বর সংগ্রহ করে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে তোলে। এরপর শারীরিক সম্পর্ক। আর সেই আপত্তিকর দৃশ্য ক্যামেরায় ধারণ করে পুরুষ সদস্যরা। এরপর 'ডিবি' পুলিশ পরিচয় দিয়ে ভিডিও চিত্র প্রকাশ করার হুমকি দিয়ে পরিবারের কাছে চাঁদা আদায়। এভাবেই চলে তাদের প্রতারণার ব্যবসা। গত বৃহস্পতিবার রাত ১১টার দিকে নারীসহ এই চক্রের ছয় সদস্যকে আটক করেছে র‌্যাব-১। রাজধানীর দক্ষিণখান ও উত্তরা পূর্ব থানা এলাকায় অভিযান চালিয়ে তাদের আটক করা হয়।
আটককৃতরা হলো- খায়রুল আলম ওরফে রবিউল (৪২), পান্নু মিয়া (৩৫), সাইফুল ইসলাম নিলয় (২৫), খাইরুল ইসলাম মনির (৩২), শামীমা আক্তার তৃষ্ণা (২৭) ও উম্মে তাসনিন ইভা (১৯)। আটক করার সময় তাদের কাছ থেকে দুটি হ্যান্ডকাফ, তিনটি পুলিশের আইডি কার্ড, ব্ল্যাকমেইলিংয়ের কাজে ব্যবহৃত একটি ক্যামেরা, ভিকটিমের চারটি আপত্তিকর ছবি, ব্ল্যাকমেইলিংয়ের ২২ হাজার ৪৫০ টাকা, ৯টি মোবাইল ফোন ও একটি লাঠি জব্দ করা হয়।
র‌্যাব ১-এর উপ-অধিনায়ক লে. কমান্ডার কাজী মো. সোয়াইব জানান, আটককৃতরা দীর্ঘদিন ধরে ডিবি পুলিশ পরিচয়ে অপহরণের পর সাধারণ মানুষকে জিম্মি করে আপত্তিকর ছবি তুলে চাঁদা আদায় করে আসছিল। এরই ধারাবাহিতকায় গত বৃহস্পতিবার রাতে চক্রটি ফায়দাবাদ মজিবর মার্কেট শারমিন টেলিকমের সামনে এক ব্যক্তিকে অপহরণের পর মুক্তিপণ আদায় করার সময় রাত সাড়ে ১১টায় খায়রুল ওরফে রবিউল ও তার সহযোগী পান্নুকে আটক করেন র‌্যাব সদস্যরা। তাদের দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে উত্তরার ৬ নম্বর সেক্টরের উত্তরা গার্লস হাইস্কুলের সামনে থেকে সাইফুল ইসলাম নিলয়, শামীমা আক্তার তৃষ্ণা ও উম্মে তাসনিন ইভাকে আটক করা হয়।
লে. কমান্ডার সোয়াইব আরো জানান, আটককৃতরা র‌্যাবের প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে স্বীকার করে, রাজধানীর বিভিন্ন অভিজাত এলাকায় এ চক্রের নারী সদস্যরা বিভিন্ন অফিস, বাসস্ট্যান্ড, মার্কেট ও খাবার দোকানে বিভিন্ন ব্যক্তিকে টার্গেট করত। পরে ছলনার মাধ্যমে মোবাইল নম্বর আদান-প্রদান করে। মোবাইলে কথোপকথনের মাধ্যমে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে তোলে। সম্পর্ক কিছুটা গভীর হলে একপর্যায়ে পূর্বনির্ধারিত ফ্ল্যাটে ওই ব্যক্তিকে সঙ্গে নিয়ে যায় এবং তার সঙ্গে অসামাজিক কাজে লিপ্ত হয়। এমন সময় ওই চক্রের পুরুষ সদস্যরা আকস্মিক ওই ঘরে প্রবেশ করে নিজেদের ডিবি পুলিশ পরিচয় দিয়ে অসামাজিক কাজে লিপ্ত থাকার দায়ে প্রেমিককে মারধর করে। তারপর ওই ব্যক্তির সঙ্গে ওই নারীর নগ্ন ছবি তুলে তার আত্মীয়স্বজন বা সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে প্রচারের ভয় দেখিয়ে নিয়মিতভাবে চাঁদা আদায় করতে থাকে। কখনো ওই একই নারী ব্যবহার করে বিভিন্ন ফ্ল্যাটে দেহব্যবসা গড়ে তোলে। আবার কখনো এই চক্রের সদস্যরা বিভিন্ন পণ্যের সেলস এজেন্ট হিসেবে বিভিন্ন অফিসে গিয়ে ধনাঢ্য ব্যক্তিদের নম্বর সংগ্রহ করে ওই চক্রের নারী সদস্যদের মাধ্যমে ওই লোকগুলোর সঙ্গে ফোনে সম্পর্ক গড়ে তোলে। সম্পর্ক গড়ার পর একইভাবে তাদের বাসায় নিয়ে জিম্মি করে প্রতারণার মাধ্যমে সর্বস্ব লুট করা হয়। আটক শামীমা আক্তার তৃষ্ণাকে পান্নু মিয়া চাকরির কথা বলে ঢাকায় নিয়ে আসে। পরে খায়রুল ইসলামের সঙ্গে অপরাধ জগতে জড়ায় সে। আটক সাইফুল ইসলাম ও উম্মে তাসনিন ইভা স্বামী-স্ত্রী। একসময় এমএলএম ব্যবসা করলেও পরে তারা অর্থের লোভে এই অপরাধ চক্রের সঙ্গে যুক্ত হয়।

দ. চীন সাগরে চীনের রানওয়ে নির্মাণ শেষ পর্যায়ে

দ. চীন সাগরে চীনের রানওয়ে নির্মাণ শেষ পর্যায়ে

প্রতিবেশী দেশ ও ওয়াশিংটনের আপত্তিকে বুড়ো আঙুল দেখিয়ে বিতর্কিত দক্ষিণ চীন সাগরে চীন কৃত্রিম দ্বীপ তৈরির কাজ অব্যাহত রেখেছে। ইতিমধ্যে দ্বীপে তিন হাজার মিটার দীর্ঘ এয়ারস্ট্রিপ (বিমান ওঠা-নামার রানওয়ে) তৈরির কাজ প্রায় শেষ করে এনেছে দেশটি। রবিবার স্যাটেলাইট থেকে তোলা এক ছবিতে দেখা যাচ্ছে দ্বীপে বিমান ওঠা-নামার জন্য চিহ্ন আঁকা হচ্ছে। সেন্টার ফর স্ট্র্যাটেজিক অ্যান্ড ইন্টারন্যাশনাল স্টাডিজ (সিএসআইএস) তাদের ওয়েবসাইটে এ তথ্য প্রকাশ করেছে। যুক্তরাষ্ট্রের একজন সামরিক কর্মকর্তা জানিয়েছেন, এ বছরের শেষ দিকে দ্বীপের কাজ শেষ হতে পারে।
কৃত্রিম দ্বীপ তৈরির কাজ বেশ আগে শুরু করলেও কয়েক মাস আগে এটা অন্যদের নজরে আসে। জাহাজ চলাচলের জন্য এই অঞ্চলের গুরুত্ব অপরিসীম। তা ছাড়া দক্ষিণ চীন সাগরে তেল ও গ্যাসের বিপুল মজুদেরও সম্ভাবনা আছে। এমন অবস্থায় দ্বীপ তৈরির কাজের গতি বাড়িয়ে দেওয়ায় চীনের প্রতিবেশী দেশগুলোর পাশাপাশি ওয়াশিংটনের মধ্যে উত্তেজনাও বেড়েছে। স্যাটেলাইট থেকে পাওয়া ছবিতে দেখা গেছে, এরই মধ্যে সেখানে দুটো হেলিপ্যাড তৈরি করা হয়েছে, স্থাপন করা হয়েছে ১০টি স্যাটেলাইট এন্টেনা আর একটা টাওয়ার। ধারণা করা হচ্ছে, এটি রাডারের জন্য স্থাপন করা হয়েছে।
সিএসআইএস আরো জানিয়েছে, ওয়াশিংটন চেয়েছিল চীন এ নির্মাণকাজ বন্ধ করে দিক। দ্বীপ কোনো সামরিক সরঞ্জামে সজ্জিত হোক-এটাও তারা চায়নি। কিন্তু তাদের চাওয়ার প্রতি কোনো কর্ণপাতই করেনি চীন।
ওয়াশিংটনের উদ্বেগের কারণ, চীন এ দ্বীপকে কাজে লাগিয়ে এ অঞ্চলে সামরিক শক্তি বাড়াতে পারে। তাদের এই সন্দেহ সত্যি হলে প্যাসিফিক সাগরে এ অঞ্চলে যুক্তরাষ্ট্রের নৌবাহিনীর আধিপত্য খর্ব হতে পার।
কৃত্রিম দ্বীপ তৈরির ফলে দক্ষিণ চীন সাগরে চীনের সামরিক সামর্থ্য বাড়বে, সেই আশঙ্কা ব্যক্ত করে তাইওয়ানের ন্যাশনাল চেংচি বিশ্ববিদ্যালয়ে চীনের সামরিক শক্তি বিশেষজ্ঞ আর্থার ডিং বলেছেন, 'এটা দক্ষিণ চীন সাগরে চীনের সামরিক শক্তিকে বাড়িয়ে দেবে। এমনকি তারা সেখানে যুদ্ধবিমানও মোতায়েন করতে পারবে।'

Friday, July 3, 2015

দুই সমপ্রেমী বান্ধবীকে পুলিশে দিল পরিবার

দুই সমপ্রেমী বান্ধবীকে পুলিশে দিল পরিবার

বিয়ে করতে চেয়ে গ্রাম ছেড়ে পালালেন অভিন্ন হৃদয় দুই বান্ধবী। কিন্তু শেষরক্ষা হল না। এক বান্ধবীর পরিবার অভিযোগ দায়ের করল অন্য বান্ধবী ও তাঁর পরিবারের বিরুদ্ধে। দুই বান্ধবীকে তাঁদের স্বজনরা তুলে দিলেন পুলিশের হাতে। চাঞ্চল্যকর এই ঘটনা বিহারের মধুবনী জেলার।আমেরিকার সুপ্রিম কোর্ট সম্প্রতি সমকামী বিয়েতে সম্মতি দিলেও ভারতে এখনো আইনসিদ্ধ নয় সমকামী বিয়ে। কিন্তু তিন বছর লিভ ইন করার পর বিয়ে করতে চান নাজমা খাতুন ও নীলম কুমারী।বাড়ি ছেড়ে পালান তাঁরা। নীলমের পরিবার নাজমা ও তাঁর পরিবারের বিরুদ্ধে পুলিশে অভিযোগ জানায়। আট বছর আগে বিয়ে হয় নাজমার। একটি কন্যা সন্তানও রয়েছে তাঁর। সেই কন্যা সন্তানকে নিজেদের সন্তান হিসাবেই মানুষ করতে চান নীলম ও নাজমা। সূত্র: কলকাতা

Thursday, July 2, 2015

যেভাবে তিনি হয়ে উঠলেন আজকের "নায়লা নাঈম"

যেভাবে তিনি হয়ে উঠলেন আজকের "নায়লা নাঈম"

যেভাবে তিনি হয়ে উঠলেন আজকের "নায়লা নাঈম"
এক বাক্যে সকলে চেনেন তাঁকে। কেবল দেশে নয়, দেশের বাইরেও তিনি অত্যন্ত জনপ্রিয়। হ্যাঁ, আর কেউ নন, কথা হচ্ছে জনপ্রিয় মডেল তারকা নায়লা নাঈমকে নিয়ে। নিয়ে অসাধারণ শরীরী সৌন্দর্য দিয়ে তিনি মাত্র করেছেন সকলের হৃদয়। পণ্যের মডেলিং থেকে শুরু করে চিনেমায় আইটেম গান ও বিজ্ঞাপন চিত্রেও দেখা মিলছে তাঁর। অথচ শুনতে পাওয়া যায়, আজকের এই রূপসী তারকা নাকি একসময় সাজগোজ দূরে থাক, লিপ্সটিকও ব্যবহার করতেন না!
তাহলে এমন কী হলো যে চলে এলেন মডেলিং-এ? কীভাবে মডেলিং-এর এই ঝলমলে দুনিয়ায় এলেন নায়লা, কীভাবে রাতারাতি পেলেন জনপ্রিয়তা? নায়লার সেই অজানা কথা গুলো জেনে নিন এই ফিচারে।
২০১৪ সালের ৭ জানুয়ারি নায়লা নাঈম ফেসবুকে ফ্যান পেইজ খোলেন। প্রথম পোস্টে নিজের একটি ছবি আপলোডের ১৬ ঘণ্টার মধ্যেই নায়লা হিট! পেইজের মেম্বার দাঁড়ায় ২৩ হাজার। এরপর দিন যায়, ৩৬৫ দিনে মেম্বার তিন লাখ পেরোয়। ফলোয়ারস এখন প্রায় ৯০ লাখ। পেইজ ভেরিফায়েডের জন্য ফেসবুক কর্তৃপক্ষের দ্বারস্থ হতে হয়; কিন্তু ফেসবুক কর্তৃপক্ষই তাঁর সঙ্গে যোগাযোগ করে পেইজ ভেরিফায়েড করে দেয়। এখন পর্যন্ত নায়লা নাঈমের একটা ছবিতে সর্বোচ্চ লাইক পড়েছে ৩৪ হাজার। কিন্তু কীভাবে মডেলিং-এর এই রূপালি জগতে এলেন নায়লা, সেটা জানেন কি?
এই তো সেদিনও নায়লা মেকআপ দূরে থাক, ঠোঁটে লিপস্টিক পর্যন্ত দিতেন না। বন্ধুরা বলত আনস্মার্ট। বছর পাঁচেক আগের কথা। মিরর ম্যাগাজিনের 'গ্রুমিং ফটো'র একটি বিজ্ঞাপনে চোখ যায় নায়লার। গ্রুমিংয়ের জন্য ফটো আহ্বান করা হয়েছে। আনকোরা নায়লা কৌতূহলে নিজের কয়েকটি শখের বশে তোলা ফটো জমা দেন। তাঁকে অবাক করে দিয়ে সেখানে তাঁর ডাক পড়ে। প্রাথমিকভাবে ৩০০ জনকে ডাকা হয়। নায়লা নাঈম তাদের মধ্যে একজন। এরপর র‌্যাম্প হাঁটার পর ৫০ জনকে বাছাই করা হয়। সেখানেও নায়লা নির্বাচিত হন। চূড়ান্ত ৩০ জনের মধ্যেও নায়লা থেকে যান।
কিন্তু ছোট্ট একটি দুর্ঘটনা নায়লার স্বপ্নকে থামিয়ে দেয়। তার ফোন হারিয়ে যায়!
সেই ফোনে যাবতীয় নম্বর ও তথ্য ছিল। সব হারিয়ে নায়লা নিজেকে প্রায় আড়াল করে ফেলেন। কিন্তু ভাগ্য প্রসন্ন! মাস চারেক পরের ঘটনা, একদিন দেখা হয়ে যায় সেই পুরনো গ্রুমিং মডেলের একজনের সঙ্গে। তিনি নায়লাকে পুনরায় কিছু ছবি তুলতে বলেন। যেতে পরামর্শ দেন ফটোগ্রাফার রফিকের কাছে। ফটোগ্রাফার রফিক নায়লাকে দেখেই বুঝে ফেলেন এর দ্বারাই হবে। রফিক বেশ কিছু ছবি তোলেন। নায়লা সেই ছবি জমা দেন 'প্যান্টিন ইউ গট দ্য লুক'-এ। সেখানে তিনি শীর্ষ পাঁচে ছিলেন।
এতদিন নায়লা সাহসী ছবি তুললেও সেগুলো ছিল সোশ্যাল মিডিয়ার বাইরে। নায়লার মিডিয়ার ক্যারিয়ার পাঁচ বছরের হলেও গত বছরের জানুয়ারিতে নতুনভাবে আলোচনায় আসেন। আর আলোচনা-সমালোচনা নায়লাকে এনে দেয় অনন্য খ্যাতি। তিনি ২০১৪ সালের গুগল সার্চে শীর্ষ বাংলাদেশি তারকা নির্বাচিত হন।
ব্যক্তিগত জীবনে নায়লা নাঈম একজন ডেন্টিস্ট। এবং সেটাকেই তিনি তাঁর মূল পেশা মনে করেন। তরতর করে এগিয়ে চলেছে নায়লার ক্যারিয়ার।

শরীর দেখাতে তারাকে ৬ কোটির প্রস্তাব

শরীর দেখাতে তারাকে ৬ কোটির প্রস্তাব

শরীর দেখাতে তারাকে ৬ কোটির প্রস্তাব
ইদানীং সোশ্যাল মিডিয়ায় নিজেদের ন্যুড ফটো পোস্ট করার হিরিকে মেতেছেন সেলিব্রেটিরা। আর এই হিরিকই কপাল খুলে দিয়েছে তারার। সম্প্রতি মার্কিনী এই ইনস্টাগ্রামে কয়েকটি ন্যুড ফটো আপলোড করেন তিনি। এই ফটো দেখে রীতিমত ইমপ্রেস এক পর্ণো সাইট তারাকে পর্ণোছবিতে কাজ জন্য ৬ কোটি টাকার অফার দেন।
সম্প্রতি ইন্টারনেটে দুনিয়ায় রীতিমত ঝড় তুলেছেন তারা রীড। পেশায় মডেল এই তনয়া নতুন বছরে তার বেশ কিছু ন্যুড ছবি ইনসন্টাগ্রামে আপলোড করেছেন। ছবির ক্যাপশনে লিখেছেন, হ্যাপি নিউ ইয়ার ফ্রেন্ডস। তারার এই নিউ ইয়ার অভিনন্দন জানানোর ধরনটা অনেকে উপভোগ করেছেন তো অনেকে আবার খারাপ ভাবে নিয়েছেন। কিন্তু নিন্দুকদের বুড়ো আঙুল দেখিয়ে শেষমেশ জয় কিন্তু হল তারার।
তার আপলোড করা ছবি গুলি দেখে মুগ্ধ একটি পর্ণোসাইট। তারা কাজ করতে চান তারার সঙ্গে।দেরি না করে তাই সাত তাড়াতাড়ি অফার ও পাঠিয়ে দিয়েছেন এই সুপারমডেলের কাছে। একটি ছবিতে কাজ করার জন্য তারা এই মডেলকে ৬ কোটি টাকার অফার দিয়েছেন।

ফরাসি সৌরভে বাংলাদেশি মডেলরা

ফরাসি সৌরভে বাংলাদেশি মডেলরা

ফরাসি সৌরভে বাংলাদেশি মডেলরা
ফরাসি বিজ্ঞাপনচিত্রের দৃশ্যে মডেল রুমা
ঢাকা, ১৯ মার্চ- মডেল থেকে শুরু করে লোকেশন, সংগীত, শব্দগ্রহণ—সবই হচ্ছে বাংলাদেশে। শুধু প্রচারিত হবে দেশের বাইরে। সম্প্রতি এমনই একটি বিজ্ঞাপনের মডেল হলেন সৈয়দ রুমা। ফরাসি একটি সুগন্ধির বিজ্ঞাপনে কাজ করলেন তিনি। সুগন্ধির নাম ‘লা বিউটি’। ফরাসি প্রতিষ্ঠান রিচ অ্যান্ড রুইজের (Rich & Ruitz: R&R) পণ্য এটি। একই প্রতিষ্ঠানের আরও দুটি বিজ্ঞাপনে মডেল হয়েছেন বাংলাদেশের নায়লা নাঈম, র্যা ম্প মডেল রাজ ও তৃণ।

নায়লা নাঈম
বাংলাদেশি বিজ্ঞাপনী সংস্থা পজেটিভ হাবের তত্ত্বাবধানে নির্মিত হচ্ছে বিজ্ঞাপনচিত্রগুলো। সব কটিই নির্মাণ করছেন রম্য খান। তিনি জানান, দিন কয়েক আগে র্যা ম্প মডেল রুমাকে নিয়ে পুরান ঢাকার রোজ গার্ডেনে শুটিং হয় তৃতীয় বিজ্ঞাপনচিত্রের। দেশি আবহে বিদেশি পণ্যের বিজ্ঞাপনচিত্রে কাজের অভিজ্ঞতা নিয়ে রুমা বলেন, ‘খুব ভালো একটি কাজ হয়েছে। এ দেশেও যে বিশ্বমানের বিজ্ঞাপনচিত্র নির্মাণ করা সম্ভব, এটা বুঝতে পেরেছি।’তৃণ

তৃণ
গত বছরের শেষ দিকে সিলেটের একটি রিসোর্টে নায়লা নাঈমের এবং এ বছরের শুরুতে ঢাকার ভাটারা এলাকায় রাজ ও তৃণের বিজ্ঞাপনের শুটিং করা হয়। পজেটিভ হাবের কর্মকর্তা আবির চৌধুরী জানান, একই প্রতিষ্ঠানের আরও একটি বিজ্ঞাপন নির্মাণের কথা রয়েছে। শিগগিরই এর কাজ শুরু হবে। চারটি বিজ্ঞাপনচিত্র নির্মাণ শেষ হলেই একসঙ্গে ফ্রান্সসহ বিশ্বের বেশ কয়েকটি দেশে এর প্রচার শুরু হবে।

নায়লা নাইম: আমাদের লজ্জা ভাঙ্গার নায়িকা

নায়লা নাইম: আমাদের লজ্জা ভাঙ্গার নায়িকা



নায়লা নাইম: আমাদের লজ্জা ভাঙ্গার নায়িকা
সাম্প্রতিক সময়ের সবচেয়ে আলোচিত মডেল নায়লা নাইম। খুব অল্প সময়ে স্বল্পবসনে নিজের নান্দনিক উপস্থাপনের মাধ্যমে তিনি হয়ে উঠেছেন সবচেয়ে আলোচিত এবং জনপ্রিয়। কিন্তু সমালোচনাও তাকে কম সইতে হয়নি। নগ্নতা ও দেশিয় সংস্কৃতির পরিপন্থি হিসেবে নায়লার অবস্থানকে বিতর্কিত বলে উল্লেখ করেছেন অনেকেই।
সম্প্রতি এসব সমালোচনার জবাব দিলেন নায়লা। ফেসবুকে সামলোচকদের ভণ্ডামির মাত্রা বেড়ে গেছে উল্লেখ করে এই রিপোর্ট লেখার ছয়ঘন্টা আগে এক স্ট্যাটাসে তিনি পাল্টা সমালোচনা ছাড়েন। নায়লা নাইম বলেন, নায়লা নাইম ছবি আপলোড দিলে (প্রকাশ করলে) আমাদের দেশ, সংস্কৃতি এবং ধর্মের কথা মনে পরে। বাকি সময় আমরা ‘বেবি ডল’ (সানি লিওন অভিনীত রাগীনি এম এম এস টু সিনেমার গান) দেখি।

উল্লেখ্য, পাঁচ বছর ধরেই মডেলিং জগতের সঙ্গে যুক্ত আছেন ব্যক্তিগত জীবনে দন্তচিকিৎসক নায়লা নাঈম। তবে তিনি আলোচনায় আসেন ২০১৩ সালে গ্রামীণফোনের বিজ্ঞাপনচিত্রে মডেল হিসেবে কাজ করার মাধ্যমে।
ফেসবুকে নিজের খোলামেলা অবস্থান প্রসঙ্গে নায়লা নাইম মিডিয়াকে সম্প্রতি বলেন, ‘ছবিগুলো দেখে অনেকে কিন্তু প্রশংসা করছে। তবে সমালোচনাও যে করছে না, তা নয়। আমার কথা হচ্ছে দেশের বাইরের মডেলরা যদি নিজেদের সৌন্দর্যটাকে সুন্দরভাবে উপস্থাপন করতে পারেন, আমরা কেন পারব না। তা ছাড়া আমি ছবিগুলোকে মোটেও খারাপভাবে দেখছি না। –সূত্র: প্রথম আলো

এ প্রসঙ্গে কথা হয় দেশের জেষ্ঠ মডেল বুলবুল টুম্পার সঙ্গে। তিনি বলেন, ‘এটা আসলে যার যার অভিরুচির ব্যাপার। নায়লা যদি এমনভাবে কাজ করে হ্যাপি হয়, তবে সে এমনটাই করবে। উন্নত বিশ্বের তুলনায় এটা কোন বিষয়ই না। তবে যেহেতু আমাদের দেশ একটা ইসলামিক কান্ট্রি সে হিসেবে হয়তো একটু অন্যভাবে দেখে কেউ কেউ ।’
তবে, বিশ্বের অন্যান্য দেশের তুলনায় আমাদের দেশের মডেলিং এর বর্তমান অবস্থান অন্যান্য যে কোন সময়ের চেয়ে কিছুটা হলেও এগিয়েছে। কিন্তু এখনো আমাদের দেশে কোন যথাযোগ্য মডেলিং স্কুল কিংবা এজেন্সি না দাঁড়ানোর ফলে মডেংলিংকে পেশা হিসেবে নিতে বেগ পেতে হচ্ছে মডেল হতে আসা নারীদের। পুঁজিবাদের এই যুগে পণ্যের মডেল একটি অপরিহার্য বিষয় হলেও এইখাতে পুঁজিপতিদের নজর খুব একটা দেখা যায়নি। কিছু কিছু ব্যাক্তি উদ্যোগে মডেলিং স্কুলই মডেল হতে আসা তরুণীদের ভরসাস্থল হয়ে উঠছে।

কিন্তু মডেলদের সামাজিক অবস্থান কি খুব একটা সুখকর? মডেলিং মানেই সমাজ বুঝছে বেশ্যাবৃত্তির আধুনিক সংস্করণ। জাতীয়তাবাদীরা বলছেন জাত গেলো, জাত গেলো...ধর্ম বলছে নাউজুবিল্লাহ!
একদিকে ধর্ম অন্যদিকে দেশিয় সংস্কৃতি কোথায় যাবেন আমাদের মডেলরা? এইসব প্রশ্ন বুকে নিয়ে যেসব সাহসী নারীরা মডেল হিসেবে কাজ করছেন তাদের পক্ষ থেকে নায়লা নাইম কি একটি বড় ধাক্কা দিলেন না সমাজের দেয়ালে? চোখের লজ্জা ভেঙ্গে দিলেন লক্ষ পুরুষের। নিজের রূপের কাছে কাঙ্গাল করে ছাড়লেন।

খুব কম সময়ে একক প্রচেষ্টায় মডেলিং এ নিজের স্বাতন্ত্র তৈরী ও আলোচিত হয়ে ওঠার ক্ষেত্রে সম্ভবত উদাহরণ হয়ে থাকলেন নায়লা নাইম ।
কিন্তু সমাজবদলের পথে সব মানুষই যে একা। নায়লা কি তা জানেন?

তপ্ত দুপুরে জিনিয়ার ঝিলিক


তপ্ত দুপুরে জিনিয়ার ঝিলিক

একসময় মঞ্চনাটকে অভিনয় করতেন। জিনিয়া খন্দকার এখন পুরোপুরি ব্যস্ত ছোটপর্দায় অভিনয় নিয়ে। ক্যারিয়ারটা দীর্ঘদিনের না হলেও এরই মধ্যে নিজের প্রতিভার প্রমাণ রেখেছেন তিনি। ছবিটি সম্প্রতি রাজধানীর উত্তরার দিয়াবাড়িতে তোলা।

হিন্দি ছবি নিয়ে মামলা, হাজিরা দিলেন দুই পরিচালক



হিন্দি ছবি নিয়ে মামলা, হাজিরা দিলেন দুই পরিচালক


ভারতীয় হিন্দি চলচ্চিত্র আমদানি  ও প্রদর্শনের প্রতিবাদে আন্দোলনের নেতৃত্ব দেওয়ায় পরিচালক সমিতির মহাসচিব মুশফিকুর রহমান গুলজার ও সহসভাপতি সোহানুর রহমান সোহানের বিরুদ্ধে ১০ কোটি টাকার মানহানির মামলা করেছিল বাংলাদেশ চলচ্চিত্র প্রদর্শক সমিতির সাধারণ সম্পাদক মিয়া আলাউদ্দি। সেই মামলার হাজিরা দিতেই আজ সকালে  সিএমএম আদালতে যান গুলজার ও সোহান।
আদালত থেকে বেরিয়ে গুলজার এনটিভি অনলাইনকে বলেন, “আমরা সিএমএম কোর্টে হাজিরা দিলাম। লিখিত কাগজপত্র জমা দিয়েছি। আগামী তারিখে শুনানি শুরু হবে। আমাদের বিরুদ্ধে যাঁরা মামলা করেছেন, তাঁদের অভিযোগ প্রমাণ করার মতো কোনো কাগজ নেই। এই কারণে আমাদের বিরুদ্ধে তাঁরা কিছু করতে পারবেন না। শুধু মুখের কথায় আইন চলে না। তা ছাড়া আমাদের এই আন্দোলন শুরু হয়েছিল ’৫২ সালের ভাষা আন্দোলনের মাধ্যমে। তখন পাকিস্তানিরা আমাদের ভাষা কেড়ে নিতে চেয়েছিল। আর এখন ভারতীয় হিন্দি ভাষার সংস্কৃতি আমদানি করে আমাদের দেশের ঐতিহ্য শেষ করার প্রচেষ্টা চলছে। আমরা যেভাবেই হোক এই আগ্রাসন থেকে বাংলাদেশকে বাঁচাব।”
এর আগে বাংলাদেশ চলচ্চিত্র প্রদর্শক সমিতির সাধারণ সম্পাদক মিয়া আলাউদ্দির দায়ের করা ১০ কোটি টাকার মানহানি মামলার পরিপ্রেক্ষিতে ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালত অভিযুক্ত চলচ্চিত্র পরিচালক সমিতির সহ-সভাপতি সোহানুর রহমান সোহান ও মহাসচিব মুশফিকুর রহমান গুলজারের বিরুদ্ধে সমন জারি করেন। মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট শামসুল আরেফিন এই সমন সমন জারি করেন।
এরই পরিপ্রেক্ষিতে এফডিসির সবগুলো সংগঠন বৈঠক করে সিদ্ধান্ত নেয় যে, যে করেই হোক ভারতীয় হিন্দি ছবি কিছুতেই বাংলাদেশের হলে চলতে দেওয়া হবে না। শুধু এই ধরনের মামলা নয়, যে কোনো প্রতিবন্ধকতা অতিক্রম করতে তারা এক হয়ে কাজ করবে। এবং সফল না হওয়া পর্যন্ত এই আন্দোলন চলবে।  
মামলার বাদী মিয়া আলাউদ্দি অভিযোগপত্রে বলেন, ‘অভিযুক্ত দুজন বাদীর নামে মিথ্যা, বানোয়াট, ভিত্তিহীন, কাল্পনিক, মনগড়া ও উদ্দেশ্যপ্রণোদিত মানহানিকর দরখাস্ত মুদ্রণ, প্রকাশ ও প্রচার করিবার কারণে একক ও যৌথভাবে দায়ী এবং আসামিরা ইচ্ছকৃত বাদীকে হেয়প্রতিপন্ন করিয়াছেন এবং সুনাম ক্ষুণ্ণ করিয়াছেন ও চরম মানহানি ঘটাইয়া তাহার নিজের ও বাংলাদেশ চলচ্চিত্র প্রদর্শক সমিতি ও সমিতির সদস্যদের মারাত্মক ক্ষতিসাধন, হেয় ও মানহানি করিয়াছেন, যাহা বাংলাদেশের প্রচলিত আইন অনুযায়ী শাস্তিযোগ্য অপরাধ ও যাহার জন্য তাহাকে পর্যাপ্ত ক্ষতিপূরণ প্রদান করিতে আইনগত বাধ্য বটে। বাদীর ব্যক্তিগত, সামাজিক মর্যাদা, সুনাম, খ্যাতি, পারিপার্শ্বিক অবস্থা ইত্যাদি বিবেচনা করিয়া আসামিগণ ১০ কোটি টাকা ক্ষতিসাধন করিয়াছেন মর্মে স্থির করা হইল।’
২০১০ সালের জানুয়ারি মাসে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের অনুমতি নিয়ে ভারতীয় ১২টি চলচ্চিত্র আমদানির জন্য এলসি খোলা হয়েছিল। এর মধ্যে হিন্দি নয়টি ও বাংলা চলচ্চিত্র ছিল তিনটি। তবে হিন্দি কোনো চলচ্চিত্র মুক্তি না পেলেও ২০১১ সালে রাজধানী ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন সিনেমা হলে দেখানো হয়েছিল ভারতীয় বাংলা ছবি ‘জোর’, ‘বদলা ও ‘সংগ্রাম’। এরপর হিন্দি ভাষায় ডন, ওয়ান্টেড, থ্রি ইডিয়টস, মুক্তি পায। তখন থেকেই বাংলাদেশ চলচ্চিত্র পরিচালক সমিতির নেতৃত্বে চলচ্চিত্র ঐক্য জোটের আন্দোলন শুরু হয়। কাফনের কাপড় পরে রাস্তায় নামে চলচ্চিত্র পরিবার। হলে হলে গিয়ে বন্ধ করে দেওয়া হয় হিন্দি চলচ্চিত্র। এরই পরিপ্রেক্ষিতে হিন্দি ছবির আমদানির সঙ্গে যুক্ত প্রদর্শক সমিতির নেতাদের পক্ষে মিয়া আলাউদ্দি এই মামলাটি করেন।

নিউজিল্যান্ডে সিঁথির স্কুল

নিউজিল্যান্ডে সিঁথির স্কুল  


সংগীতশিল্পী সিঁথি সাহা নিউজিল্যান্ডে একটি গানের স্কুল চালু করেছেন। এর নাম রেখেছেন ‘গীতসুধা’। প্রবাসী বাংলাদেশিদের পাশাপাশি সেখানে গান শিখছে ভিনদেশি শিশুরাও।
সিঁথি বলেন, ‘গত বছরের শেষের দিকে আমি নিউজিল্যান্ডে একটি গানের স্কুল দিয়েছি। আমার এ স্কুলে অনেক ভিনদেশি শিশুরা গান শিখছে। তারা বাংলা কথা বলতে ও বুঝতে পারে না। তবে এসব শিশুদের বাবা-মা আমার গান শুনেছেন। তাই তারা আমার স্কুলে ছেলে-মেয়েদের গান শেখাতে পাঠিয়েছেন।’
প্রবাসে বসেই তিনি ক্যারিয়ারের চতুর্থ একক অ্যালবামের কাজ শেষ করেছেন। এর নাম রাখা হয়েছে ‘সিঁথির গান’। চলতি বছরের শুরুর দিকে দেশে এসেছেন সিঁথি। এসেই ব্যস্ত হয়ে পড়েছেন স্টেজ শো ও টিভি অনুষ্ঠান নিয়ে। পাশাপাশি অ্যালবামটি সিডি আকারে প্রকাশের কাজেও ব্যস্ত রয়েছেন। জানিয়েছেন, সব ঠিক থাকলে অাসছে বৈশাখেই এটি বের হবে।

‘জেদী’ ইশারাকে শায়েস্তা করবেন শুভ

‘জেদী’ ইশারাকে শায়েস্তা করবেন শুভ


গুলশান ২-এর লেডিস পার্কের ভেতরে আরিফিন শুভ ঝগড়া করছেন একটি মেয়ের সাথে। কী নিয়ে এই সুন্দরীর সাথে ঝগড়া বাধল শুভর? শুভর কথা, ‘দেখেন ভাই, সাকা আংকেল (বাদামওয়ালা) এই পার্কের ভেতরে বাদাম বিক্রি করেন। আর এই মেয়েটির ক্রিকেট বল লেগে তাঁর সব বাদাম পড়ে গিয়েছে। বাদামওয়ালা কথা বলতে এলে সব বাদাম এই মেয়েটি ফেলে দেয়। তাকে কী করা উচিত বলুন তো’? কী করা উচিত, এই প্রশ্নের জবাব অবশ্য শুভ অন্যভাবে দিলেন, ‘বাকিটা জানতে চাইলে হলে গিয়ে দেখতে হবে’!

গতকাল ২০ মে বুধবার শুরু হয়েছে আরিফিন শুভ ও নায়িকা ইশারার ছবি ‘জেদী’। ছবিটি পরিচালনা করছেন সোহানুর রহমান সোহান। শুভ-ইশারা জুটির এই প্রথম ছবি। আগে বেশ কিছু ছবিতে কাজ করলেও মূল নায়িকা হিসেবেও ইশারার এটি প্রথম কাজ।
ছবির গল্প সমন্ধে জানতে চাইলে আরিফিন শুভ বলেন, ‘আমি একটি প্রাইভেট কোম্পানিতে চাকরি করি। এই পার্কের ভেতর দিয়ে যাওয়ার সময় দেখলাম, ইশারা ক্রিকেট খেলছে আর পাশেই এক বাদামওয়ালা কাঁদছে। তো আমি যেহেতু ছবির নায়ক, এগিয়ে এলাম মেয়েটিকে শায়েস্তা করতে। ছবির নাম শুনেই বুঝতে পারছেন, ‘জেদী’ এই মেয়েটিকে সাধারণ মেয়েতে পরিণত করতে হবে আমার। আর এই ছবির পরিচালক সোহানুর রহমান সোহান আমার অনেক প্রিয় একজন পরিচালক। ওনার ছবির প্রতি আমার একটা বিশ্বাস আছে। আশা করি দর্শকদের ছবিটি ভালো লাগবে।’
পরিচালক সোহানুর রহমান সোহান বলেন, ‘ছবিটিতে ইশারার বাবার চরিত্রে অভিনয় করবেন মিশা সওদাগর। ধনী বাবার দেমাগি মেয়ে ইশারা। সব সময় সাথে ছয়জন দেহরক্ষী থাকে। এদিকে শুভ একটি ইন্স্যুরেন্স কোম্পানিতে চাকরি করে। সাধারণ ঘরের একটি ছেলে। আজকের এই সিকোয়েন্সের মাধ্যমে তাদের দুজনের শত্রুতা শুরু হয়, যা একসময় প্রেমে পরিণত হবে। এভাবেই এগিয়ে যাবে ছবিটির গল্প।’
নায়িকা ইশারা বলেন, ‘এটা আমার একক নায়িকা হিসেবে প্রথম ছবি। বাংলাদেশের জনপ্রিয় নায়ক আরিফিন শুভ ও সোহানুর রহমান সোহানের ছবিতে কাজ করতে পেরে ভালো লাগছে। আশা করি দর্শকদেরও গল্পটা অনেক ভালো লাগবে।’

কে হচ্ছেন সুলতানের বেগম—কৃতি না পরিণীতি?

কে হচ্ছেন সুলতানের বেগম—কৃতি না পরিণীতি?


কোনো বিশাল রাজ্যের সুলতান নয়, তার চেয়েও যেন বেশি কিছু। ছবি যখন সালমান খানের ‘সুলতান’, তার চেয়ে বেশি কিছু বলা যেতেই পারে! ২০১৬ সালের ঈদে এই ছবি মুক্তি পাওয়ার কথা ঠিকঠাক হয়ে গেছে। কিন্তু পিংকভিলার খবরে মিলল, ছবির নায়িকা কে হবেন—তা এখনো ঠিকঠাক হয়নি।
অবশ্য খবর জানা যাবে কী করে। নির্মাতারা তো এখন পর্যন্ত কোনো ঘোষণা দেননি। ‘সুলতান’ হচ্ছেন সালমান, অন্য কিছুর হিসাব পরে করলেও চলে! সুতরাং নায়িকা কে হবেন এই ছবির, সে জন্য বাছাইপর্ব চলছে। বলিউডের বাতাসে গুঞ্জন, এখন পর্যন্ত শর্টলিস্টেড হচ্ছেন পরিণীতি চোপড়া এবং কৃতি সানন। ছবির প্রযোজক আদিত্য চোপড়ার ভোট নাকি পরিণীতি চোপড়ার দিকে, অন্যদিকে সালমান খান আবার চান কৃতি সাননকে। সালমানের বন্ধু সাজিদ নাদিয়াদওয়ালা বলিউডে কৃতির গুরু কী না!
পরিণীতি এখন নিজের বাড়ি নিয়ে ব্যস্ত, জানিয়েছেন হাতে নাকি বেশ কিছু ‘বড়’ কাজ আছে। অন্যদিকে ‘দিলওয়ালে’ নিয়ে ব্যস্ত সময় পার করছেন কৃতি। দেখা যাক, শেষ পর্যন্ত ‘সুলতান’-এর বেগম কে হন!

ত্বক সুন্দর ও আকর্ষণীয় রাখবে যে ৭ টি খাবার

ত্বক সুন্দর ও আকর্ষণীয় রাখবে যে ৭ টি খাবার


মানবজীবনে খাবারের ভূমিকাটা অনস্বীকার্য। সুস্থভাবে বেঁচে থাকতে চাইলে সব ধরনের খাবারই খেতে হবে। শুধু কি সুস্থতা? সৌন্দর্যের পেছনেও রয়েছে খাবারের অপরিসীম ভূমিকা। সুন্দর ও আকর্ষণীয় ত্বক পেতে সাহায্য করবে, জেনে নিন এমন সাতটি খাবারের কথা।
১. কালো চকোলেট
প্রতিদিনের সুন্দর ত্বকের জন্য কালো চকোলেট হতে পারে অন্যতম একটি খাবার। এতে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট ও ফ্যাটি এসিড, যা ত্বক উজ্জ্বল করতে সাহায্য করে। কালো চকোলেট ত্বকের রুক্ষতা দূর করে এবং সূর্য রশ্মির ক্ষতি থেকে রক্ষা করে।
২. সামুদ্রিক মাছ
চাপ, উদ্বেগ, বিষণ্নতা দূর করতে সামুদ্রিক মাছ হতে পারে চমৎকার খাদ্য। মানব দেহের প্রয়োজনীয় ভিটামিন ডি সামুদ্রিক বিভিন্ন মাছ থেকে পাওয়া সম্ভব। ভিটামিন ডি হৃদপিণ্ড, হাড় ও মস্তিষ্ককে সুস্থ রাখতে সহায়তা করে। এটা কোলন ক্যান্সার প্রতিরোধ করে, হাড়ের সমস্যা দূর করে। সামুদ্রিক বিভিন্ন মাছে আছে প্রচুর পরিমাণে ওমেগা-৩ ও ফ্যাটি এসিড, যা ত্বকের বলিরেখা দূর করে। ত্বককে রাখে আর্দ্র ও কোমল।
৩. নারিকেল তেল
নারিকেল তেল স্যাচুরেটেড ফ্যাট-এর অন্যতম উৎস। লরিক এসিড, ভিটামিন ই সমৃদ্ধ নারিকেল তেল নিয়মিত খেলে ন্যাচারাল অ্যান্টিব্যাকটেরিয়াল, অ্যান্টিভাইরাল হিসেবে কাজ করে। ফলে ত্বক থাকে আর্দ্র, নরম ও বলিরেখা মুক্ত। এটা বডি লোশন হিসেবেও ব্যবহার করা যায়।
৪. গ্রীন টি
গ্রীন টি অ্যামাইনো এসিড, এল-থিনাইন ও অ্যান্টিঅক্সিডেন্টের ভালো একটা উৎস। যা চাপ কমাতে সাহায্য করে, শরীরকে রাখে রিলাক্স। এতে এক প্রকার অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট পাওয়া যা ক্যান্সার প্রতিরোধক হিসেবে কাজ করে। উচ্চ রক্তচাপের ঝুঁকি কমায়। প্রতিদিন তিন কাপ গ্রীন টি পান করলে ত্বক থাকবে সতেজ।
৫. রঙিন শাক
শাক ও লতাপাতা থেকে পাওয়া যাবে প্রচুর খাদ্য ও পুষ্টিগুন সমৃদ্ধ বিভিন্ন উপাদান। অনেকে এসব খেতে অপছন্দ করলেও এসব থেকে পাওয়া যায় শরীরের প্রয়োজনীয় আয়রন, ভিটামিন ই, ভিটামিন এ, খাদ্যআঁশ, উদ্ভিজ্জ আমিষ এবং ভিটামিন সি। অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট, ভিটামিন সি, ই এবং এ আপনার ত্বকের জন্য বিশেষ উপকারী।
৬. পেঁপে
পেঁপে অসাধারণ পুষ্টিগুণ সমৃদ্ধ একটি ফল। এতে ক্যালরি খুব কম থাকে এবং কোলেস্টেরল নেই। আপনি যদি একই সাথে ওজন কমাতে চান এবং পুষ্টি চান তাহলে আপনার জন্য পেঁপে হতে পারে একটি আদর্শ খাদ্য। এতে কার্বোহাইড্রেটের পরিমাণ কম এবং সহজে হজম হয়। এতে কয়েক রকমের অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট, ভিটামিন সি, ই, বেটা ক্যারোটিন আছে, যা ত্বক সুস্থ রাখার জন্য জরুরি।
৭. গাজর
গাজর শুধু আপনার চোখের জন্য নয়, ত্বকের জন্যও বিশেষ উপকারী। ভিটামিন এ সমৃদ্ধ এই খাবার ত্বকের বাইরের অংশে অতিরিক্ত কোষ জন্মানো প্রতিরোধ করে। গাজর শরীরে মেদ কমাতে, ত্বকের মৃত কোষ দূর করতে সাহায্য করে। ত্বকের ক্যান্সারের জন্য যেসব কোষ দায়ী গাজর ওইসব কোষ প্রতিরোধ করে। প্রতিদিন অন্তত আধা কাপ গাজর আপনার শরীরকে রাখবে সুস্থ, ত্বককে রাখবে সতেজ।

ওবামাকে ‘বিয়ের প্রস্তাব’ দিতে চান মুগাবে

ওবামাকে ‘বিয়ের প্রস্তাব’ দিতে চান মুগাবে


বয়স কমিয়ে ফেলতে চান? তাহলে চুলে আনুন এই পরিবর্তনগুলো

বয়স কমিয়ে ফেলতে চান? তাহলে চুলে আনুন এই পরিবর্তনগুলো


অল্প বয়সে বেশ বয়স্ক লাগে দেখতে শুনে অ্যান্টি এইজিং ক্রিম লোশনের পেছনে অনেক টাকা খরচ করে যাচ্ছেন? কিন্তু আসলে কতোটা লাভ হচ্ছে এতে? কখনো ভেবেছেন কি, অন্য কোনো কারণ থাকতে পারে এর পেছনে? অনেকেই ভাবেন না। ত্বকের পাশাপাশি আপনার চুলও কিন্তু প্রথমেই নজরে আসে। আপনাকে বয়স্ক দেখানোর কারণ আপনার চুল নয় তো? না এখানে পেকে যাওয়া চুলের কথা বলা হচ্ছে না। আপনার চুলের স্টাইল, চুল বাঁধার ও কাটার ধরনের কারণেও কিন্তু আপনাকে বয়সের তুলনায় বুড়ো দেখাতে পারে। তাই সঠিক চুলের কাজ এবং কাটের মাধ্যমেও কিন্তু নিজের বয়সটা বেশ কমিয়ে আনতে পারেন আপনি। জানতে চান কীভাবে? চলুন জেনে নেয়া যাক।
১) সঠিক চুলের কাট
মুখের সাথে চুলের কাট যদি একেবারেই মানানসই না হয় তাহলে আপনাকে বয়স্ক দেখাতে পারে। আপনি যদি একেবারেই সোজা-সাপ্টা একটি চুলের কাট দিয়ে রাখেন তাহলে কিন্তু আপনাকে একটু বেশি বয়সের মানুষের মতোই দেখাবে। তাই একটু কষ্ট করে হলেও নিজের জন্য মানানসই চুলের কাট খুঁজে বের করুন।
২) অতিরিক্ত টাইট করে চুল বাধা এড়িয়ে চলুন
আপনি অনেক বেশি টাইট করে টেনে চুল বাঁধলেন। আপনার মুখের উপরে হয়তো একটুও চুল থাকবে না, কিন্তু এতে করে আপার ত্বকের নানা দাগ এবং মুখটা অনেক বেশি নজরে পড়বে যাতে আপনাকে বয়স্ক দেখানোর সম্ভাবনা অনেক বেশি থাকে। তাই খুব টেনে চুল বাধবেন না। এতে কম বয়স্ক লাগবে।
৩) একই ধাঁচের চুলের কাট দেবেন না
আপনি যদি একই ধাঁচের তুলের কাট অনেকটা বছর ধরে দিয়ে যেতে থাকেন তাহলেও কিন্তু আপনাকে বয়স্ক লাগবে। কারণ নতুন কিছুই মুখে এবং লুকে নতুনত্ব নিয়ে আসতে পারে। তাই নতুন কিছু ট্রাই করে দেখুন।
৪) চুলের সৌন্দর্য বাড়ান
চুলের সৌন্দর্য কিন্তু আপনার বয়স অনেকটা কমিয়ে আনে। আমরা সকলেই জানি বয়স হয়ে গেলে চুলের উজ্জ্বলতা হারিয়ে জায়, চুলে রুক্ষতা আসে। আর একারণেই আপনার চুল যদি রুক্ষ এবং আগা ফাটা অবস্থায় থাকে তাহলে আপনাকে বয়স্ক দেখায়। তাই চুলের যত্ন নিন এবং নিয়মিত চুলের আগা ছাঁটুন।
৫) চুলের রঙ
অনেকেই পছন্দ করে চুলের রঙ পরিবর্তন করেন। কিন্তু যদি তা আপনার মুখের সাথে মানানসই না হয়ে থাকে তাহলে আপনাকে একটু বেশি বয়সেরই দেখাবে। চুলের রঙ এমন হওয়াই ভালো যা আপনার ত্বককে উজ্জ্বল করে তুলবে। এতে করে আপনাকে দেখাবে বেশ কমবয়েসি।

পেঁয়াজ দিয়ে যেভাবে সুন্দরী হবেন

পেঁয়াজ দিয়ে যেভাবে সুন্দরী হবেন


খাবারের গন্ধ ও স্বাদ বাড়ানো ছাড়াও অনেক কাজের কাজি পেঁয়াজ। শুধু চেহারা নয়, চুলের সৌন্দর্যও বাড়াতে ব্যবহার করা হয় এই মসলা। উজ্জ্বল চুল পেতে চাইলে নামিদামি ব্র্যান্ডের শ্যাম্পুর ওপর নির্ভর না করে বরং রান্নাঘরে ঢুঁ মেরে একটা পেঁয়াজ আনুন। সমপরিমাণ নারিকেল বা জলপাইয়ের তেলের সঙ্গে পেঁয়াজ বাটা মিশিয়ে চুলে লাগিয়ে একটি টাওয়েল দিয়ে মাথা পেঁচিয়ে রাখুন। ঘণ্টা দুয়েক পর চুল আঁচড়ে পছন্দের শ্যাম্পু দিয়ে ধুয়ে ফেলুন।
প্রাকৃতিকভাবেই এসিডিক পেঁয়াজ মাথার তালুর কোষগুলোকে উজ্জীবিত করায় চুল হয়ে ওঠে ঝলমলে। বহু শতাব্দী আগে থেকেই চুল লম্বা করতে পেঁয়াজের রসের সঙ্গে মধু মিশিয়ে ব্যবহারকরা হয়। এটি নিয়মিত লাগালে লম্বার পাশাপাশি ঘনও হয় চুল।এ তো গেল একটা দিক। অ্যান্টিসেপটিক হিসেবেও ব্যবহার করতে পারেন পেঁয়াজ। পোকার কামড় বা হুল ফোটানো স্থানে এক টুকরো পেঁয়াজ ঘষতে থাকুন। খানিক পর দেখবেন, জ্বলুনি কমে আসবে। পেঁয়াজে এমন কিছু রাসায়নিক উপাদান আছে, যা অ্যালার্জি প্রতিরোধী ও ব্যথানাশক। ব্রিটেনের অ্যালিস রবিনসন পেঁয়াজের এমনই কিছু চমকপ্রদ ব্যবহার শিখিয়েছেন।পেঁয়াজের ছোঁয়ায় সুন্দরী!
এ ছাড়া ত্বকের কালো দাগ দূর করতেও কার্যকর পেঁয়াজ। বাটা পেঁয়াজের প্রলেপ ত্বকের শুষ্ক কোষকে প্রাণবন্ত করে এবং মরা কোষগুলো তুলে ফেলে। ল্যাকটিক এসিড এ প্রক্রিয়াকে ত্বরান্বিত করে বলে দইয়ের সঙ্গে পেঁয়াজের রস মিশিয়ে লাগালে ভালো ফল পাওয়া যায়। এটি ব্রণ, মেসতা এসবের হাত থেকেও ত্বককে বাঁচায়। কেবল মুখের ত্বকই নয়, কনুইয়ের কালচে ছোপ দূর করতেও কাজে লাগাতে পারেন পেঁয়াজের রস। এক মগ গরম পানিতে কয়েক টুকরো পেঁয়াজ ছেড়ে দিন। তার পর কনুই ভাঁজ করে তাতে ডুবিয়ে রাখুন। এভাবে কয়েক মিনিট রাখুন। প্রতিদিন নিয়মিত এটি করলে ধীরে ধীরে কালচে দাগ কমে আসবে।
পেঁয়াজের অ্যান্টি-ব্যাকটেরিয়াল এবং ব্যথারোধী গুণের কথা উল্লেখ করে ব্রিটেনের এসেক্সে অবস্থিত উডফোর্ড মেডিকেল ক্লিনিকের চিকিৎসক মারভিন প্যাটারসন বলেন, ব্যবহারের আগে খেয়াল রাখতে হবে আপনার চামড়া এটিকে সহ্য করতে পারে কি-না। তা ছাড়া পেঁয়াজের উৎকট গন্ধও অনেকে সহ্য করতে পারেন না।

ত্বক থেকে মেছতার বিশ্রী দাগ দূর করুন খুব সহজ ২ টি উপায়ে

ত্বক থেকে মেছতার বিশ্রী দাগ দূর করুন খুব সহজ ২ টি উপায়ে


ত্বকের মেছতার দাগ ত্বক সমস্যাগুলোর মধ্যে সবচাইতে বিরক্তিকর সমস্যাগুলোর মধ্যে অন্যতম। মুখে কালো বা বাদামী রঙের ছোপ ছোপ দাগের কারণে ত্বকের সৌন্দর্য একেবারেই হারিয়ে যায়। এই বিরক্তিকর মেছতার দাগ নারীদের মধ্যেই বেশি চোখে পড়ে। জন্মনিয়ন্ত্রন পিল, সূর্যরশ্মি, ইস্ট্রোজেন হরমোন নেয়া, কিছু ওষুধ খাওয়া যেমন সোরালেন, আর্সেনিক, অ্যান্টিপিলেপটিরিক, ফেনোথিয়াজেন ইত্যাদি ও কিছু হরমোনের তারতম্য বা থাইরয়েড সমস্যার কারণে অনেকেই এই মেছতা সমস্যায় আক্রান্ত হন। তবে খুব সহজেই কিন্তু এই মেছতার বিরক্তিকর বিশ্রী দাগ ত্বক থেকে দূর করে দেয়া যায়। আজকে চলুন জেনে নেয়া যাক খুবই সহজ কিছু উপায় যার মাধ্যমে মেছতার বিশ্রী দাগ দূর করে ত্বকের হারানো সৌন্দর্য ফিরিয়ে আনতে পারবেন।
১) আমন্ড বা কাঠবাদামের ব্যবহার
কাঠবাদাম ত্বকের দাগ বিশেষ করে মেছতা জাতীয় দাগ দূর করতে বিশেষভাবে কার্যকরী। কারণ কাঠবাদাম ত্বকের মেলানিনের তারতম্য যার কারণে মূলত মেছতার সমস্যা হয়ে থাকে তা দূর করতে সহায়তা করে এবং মেছতার দাগ ত্বক থেকে মিলিয়ে যেতে কাজ করে থাকে।
- পুরোরাত ৫-৬ টি বড় কাঠবাদাম আধা কাপ দুধে ভিজিয়ে রাখুন।
- সকালে এই দুধে ভেজানো কাঠবাদাম পিষে নিন খুব ভালো করে। মিহি পেস্টের মতো তৈরি করে নিন।
- এতে ১ টেবিল চামচ মধু ভালো করে মিশিয়ে মসৃণ পেস্টের মতো তৈরি করুন। অনেকটা ক্রিম ধরণের টেক্সচার চলে আসবে।
- এই পেস্ট মুখের ত্বকে লাগিয়ে রাতে ঘুমুতে যান। পুরো রাত এভাবেই ত্বকে লাগিয়ে রাখুন।
- সকালে ঘুম থেকে উঠে ত্বক ঠাণ্ডা পানি দিয়ে ধুয়ে নিন। প্রথমবার ব্যবহারেই অনেকটা পার্থক্য নজরে পড়বে।
- এই পেস্টটি প্রতিদিন ১ বার করে প্রায় ২ সপ্তাহ এভাবেই ব্যবহার করে ত্বক থেকে দূর করে দিন মেছতার বিশ্রী দাগ।
২) হলুদের ব্যবহার
হলুদের ঔষধি গুণের কারণে নানা শারীরিক সমস্যা ও রূপ সমস্যায় প্রাচীনকাল থেকেই হলুদ ব্যবহার হয়ে আসছে। মেছতার দাগ দূর করতেও হলুদের জুড়ি নেই। হলুদের কারকিউমিন ত্বকের রঙ উজ্জ্বল করতে সহায়তা করে এবং মেছতার কারণে ছোপ ছোপ দাগ দূর করে ত্বকের হারানো সৌন্দর্য ফিরিয়ে আনে।
- ৫ চা চামচ হলুদে ১০ চা চামচ তরল দুধ ভালো করে মিশিয়ে পেস্টের মতো তৈরি করে নিন। গুঁড়ো দুধ নয়, তরল দুধ ব্যবহার করুন। কারণ তরল দুধের ল্যাকটিক অ্যাসিড ও ক্যালসিয়াম মেছতার দাগ দূর করতে কার্যকরী।
- এরপর এতে ১ চা চামচ বেসন মিশিয়ে নিন ও পেস্টটি ঘন করে নিন।
- এই পেস্ট আক্রান্ত স্থানে পুরু করে লাগিয়ে রাখুন।
- ২০ মিনিট বা শুকিয়ে যাওয়া পর্যন্ত পেস্টটি ত্বকেই রাখুন।
- এরপর কুসুম গরম পানি দিয়ে ত্বক ধুয়ে শুকনো পরিষ্কার তোয়ালে দিয়ে মুখ মুছে ফেলুন।
- ভালো ফলাফলের জন্য প্রতিদিন এই পেস্টটি ব্যবহার করুন। কিছুদিনের মধ্যেই ফলাফল নজরে পড়বে।

স্ক্যান্ডালের কারণে নিষিদ্ধ হলেন মাহি

স্ক্যান্ডালের কারণে নিষিদ্ধ হলেন মাহি


 শেষ পর্যন্ত প্রযোজনা প্রতিষ্ঠান জাজ মাল্টিমিডিয়া থেকে পুরোপুরি বাদ দেওয়া হলো চিত্রনায়িকা মাহিয়া মাহিকে। এখন থেকে মাহির কর্মকান্ডের সঙ্গে কোনো সম্পৃক্ততা নেই জাজের। শনিবার  দুপুরে এ সিদ্ধান্ত নিয়েছেন জাজ মাল্টিমিডিয়া কর্তৃপক্ষ। মাহির উচ্ছৃঙ্খলা জীবন-যাপন, স্ক্যান্ডাল ভিডিও প্রকাশ এবং একাধিক ব্যক্তির সঙ্গে সম্পর্কের জের ধরে চলচ্চিত্রমহলের বিব্রতকর অবস্থার পাশাপাশি জাজ মাল্টিমিডিয়াও এক ধরনের অস্বস্তিতে পড়ে।
এমনকি দু’দিন আগে প্রযোজক আরশাদ আদনানের সঙ্গে মাহির গোপনে ভারতে আবকাশ যাপনের ঘটনা নিয়েও চলচ্চিত্র ইন্ড্রাস্ট্রিতে চাপা উত্তেজনা বিরাজ করতে থাকে। যার ফলে জাজ মাল্টিমিডিয়ার নিজস্ব সুনাম অক্ষুন্ন রাখতেই তাদের ভাবমূর্তি ধরে রাখতেই মাহিকে নিয়ে আর কোনো কাজ না করার সিদ্ধান্দ নিয়েছে তারা। এখন থেকে মাহি জাজ-মাল্টিমিডিয়া প্রযোজিত কোনো ছবিতে আর কাজ করতে পারবেন না। এমনকি পুলিশগিরি এবং নিয়তি নামের ছবি দুটি থেকেও বাদ দেয়া হয়েছে মাহিকে।
জাজ থেকে মাহির পুরোপুরি বাদ পড়ার সত্যতা জানিয়ে দিলেন জাজ মাল্টিমিডিয়ার সিইও আলিম উল্লাহ খোকন। এছাড়াা কয়েকদিন ধরেই মাহির উশৃঙ্খল জীবন-যাপন, চলাফেরা ও নানাবিধ স্ক্যান্ডালের কারণে জাজ মাল্টিমিডিয়া মাহির বিরুদ্ধে এ সিদ্ধান্ত নিয়েছে। জাজ তার সুনাম ও ভাবমূর্তি অক্ষুন্ন রাখতেই মাহিকে নিয়ে আর কোনো ছবিতে কাজ করবে না।

ফেসবুক থেকে ফিল্মে

ফেসবুক থেকে ফিল্মে


 তানহা তাসনিয়া। ফেসবুক পাগল এক মেয়ে। সেলফির পর সেলফি দিয়ে ভরিয়ে রাখেন নিজের ফেসবুকের দেয়াল। টুকটাক মডেলিং আর পড়াশোনাতেই বেশ চলছিল তানহার। এমন সময়েই একদিন ফেসবুকে দেখা হয়ে যায় মডেল ও চিত্রনায়ক নিরবের সঙ্গে।
কে আগে ফ্রেন্ড রিকুয়েস্ট পাঠিয়েছিলো তা মনে না করতে পারলেও জমে ওঠে নিরবের সঙ্গে তানহার বন্ধুত্ব। এভাবে চলতে চলতেই একদিন তানহাকে চলচ্চিত্রে অভিনয়ের প্রস্তাব দিয়ে বসলেন নিরব। তানহার তো তখন আকাশের চাঁদ হাতে পাওয়ার মতো অবস্থা। গল্পও পছন্দ হয়ে গেল তার। এভাবেই তানহার অভিষেক হয় সিনেমায়। রফিক শিকদার পরিচালিত 'ভোলা তো যায় না তারে' ছবিটির কাজও এখন শেষের পথে।

এদিকে ছবির কাজ শেষ হতে না হতেই তার হাতে চলে এসেছে 'শফিক হাসান পরিচালিত 'ধুমকেতু' ছবির কাজ। এ ছবিতে তার নায়ক শাকিব খান। সঙ্গে আছেন আরেক নায়িকা পরী মনি। তাতে কি! শাকিব খানের মতো বড় তারকার সঙ্গে কাজ করতে পেরেই আনন্দিত তানহা।
শাকিব খানের মতো বড় একজন তারকার সঙ্গে কাজ করার অভিজ্ঞতাটা এখনো তার কাছে স্বপ্নের মতোই মনে হচ্ছে। তানহা বলেন, 'কখনো ভাবিনি এত তাড়াতাড়ি শাকিব খানের মতো একজন বড় তারকার বিপরীতে কাজ করবো।'

তিনি আরও বলেন, ‘প্রথম দিকে শাকিব খানের সঙ্গে কাজ করার সময় আমার নার্ভাসনেসটাই বেশি কাজ করতো, যদিও একই সঙ্গে এক্সাইটেডও হতাম। আর এখন নার্ভাসনেসটা কমে গেছে। এ ছাড়া শাকিব ভাই ও আমাকে যথেষ্ট হেল্প করছেন।'

তানহার জন্ম ব্রাহ্মণ বাড়িয়া হলেও বেড়ে ওঠেছেন ঢাকাতেই। ঢাকার মিরপুরেই কেটেছে শৈশব কৈশোরের রঙিন সময়। দুই বোন এক ভাইয়ের সংসারে তানহা সবার বড়।
ও আরেকটা খবর দিতে ভুলেই গেছি! আজ (২৬মার্চ) কিন্তু তানহা তাসনিয়ার জন্মদিন। কততম জন্মদিন জানতে চাইলে বললেন মেয়েদের বয়স বলতে নেই। কেমন কাটলো নিজের জন্মদিন?

তানহা বললেন, 'সারাদিন খুব এনজয় করেছি। আত্মীয় স্বজন বন্ধু বান্ধবরা সবাই উইশ করেছেন। প্রচুর গিফট পেয়েছি । কেক, কার্ড জুয়েলারি, শোকেস, শো, ফুল, চকলেটসহ নানা কিছু উপহার পেয়েছি। এর ভেতরে সবচেয়ে ভাল লেগেছে খালা মনির দেওয়া শো আর ব্যাগ পেয়ে। কারণ এ দুটি জিনিসই আমার বেশি প্রিয়। ' স্বাধীনতা দিবসে নিজের জন্মদিন হওয়ায় নিজেকে গর্বিত মনে করেন তানহা। তিনি বলেন, 'আজ স্বাধীনতা দিবস। এ দিনেই আমার জন্ম। নিজেকে এ জন্য খুব গর্বিত মনে করি। নিজের জন্মকেই এখন স্বার্থক মনে হচ্ছে।'

এই জন্মদিনে তানহার আরেকটা খবর জানিয়ে রাখি তানহা কিন্তু সহজে মরতে চান না বেঁচে থাকতে চান এক’শ বছর। অবশ্য গ্ল্যামার ধরে রেখে। মাধুরী দিক্ষিত, শর্মিলী ঠাকুরের মতো গ্ল্যামার ধরে রেখে দীর্ঘদিন বেঁচে থাকতে চান তিনি। তার জন্য ডায়েটিং থেকে সবকিছুই করছেন বলে জানালেন।

রুবেলের বিয়ের ব্যাপারে মুখ খুললেন হ্যাপি

রুবেলের বিয়ের ব্যাপারে মুখ খুললেন হ্যাপি


তাদের মধ্যে সব আগেই চুঁকেবুকে গেছে। তারপরও বিয়ে করতে যাচ্ছেন পেসার রুবেল হোসেন - এমনটা একটা খবর চাউর হওয়ায় চুপ করে থাকতে পারছেন না নাজনীন আক্তার হ্যাপি।
মঙ্গলবার বিকাল চারটার দিকে এক ফেসবুক রুবেলের বিয়ে সংক্রান্ত একটা সংবাদ শেয়ার করে এই ব্যাপারে নিজের বক্তব্য পরিস্কার করেন তিনি। হ্যাপির ফেসবুক পোস্ট টা হুবহু পাঠকদের জন্য দেয়া হল...
এমন কোন ভাল পরিবার কি পাওয়া যাবে যে পরিবার রুবেল এর মত জাতীয় লুইচ্চার কথা জানার পরে ও তার সাথে বিয়ের কথা বলবে ? ঐ মেয়ের বাবাও আবার গনমাধ্যমের সাথে বিয়ে নিয়ে কথা বলে কত বড় ছেচড়া আর নীচু পরিবার হলে এমন হয়। আর রুবেল তো বিয়ের জন্য পাগলা কুকুরছানা হয়ে গেছে। বিয়ে হয়েছে এই মাসের ১৪ তারিখে তারপরও এত নাটক কেন বুঝি না । সবাই বলে রুবেলের বিয়ে নিয়ে আমার মাথাব্যাথা কেন ? রুবেল আমার জীবন নিয়ে খেলেছে ,শুধু আমি জানি আমার কেন মাথাব্যাথা । আপনারা কি করে বুঝবেন এই কষ্ট? আর আমি চ্যালেঞ্জ দিচ্ছি রুবেল কোন দিন সত্যিকারের সুখী হতে পারবে না। আর রুবেল এর পরিবারের কথা কি আর বলব! তারা তো বোঝেই না তাদের ছেলে কত বড় ভাল আর সৎ মানুষ ! ছি! দোলার মত __গী এর সাথে রুবেল কত ভাল থাকে আমিও দেখব। আমার সাথে অন্যায় করার ও শেষ দেখব। এখন শুধু আমার একটু অপেক্ষা আর ধৈর্য ধরার সময়। হে আল্লাহ আমাকে সবকিছু সহ্য করার তৌফিক দান কর।
রুবেলের হবু স্ত্রী দোলার বাড়ি বাগেরহাটের মুনিগঞ্জে। বর্তমানে সে বাগেরহাট সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ে অধ্যয়ন করছে। সেই স্কুলের প্রধান শিক্ষক দোলার দশম শ্রেণিতে পড়ার কথা স্বীকার করেছেন। দোলাদের আদিনিবাস পিরোজপুরের ভাণ্ডারিয়ায়। দুই ভাই-বোনের মধ্যে দোলা ছোট। তার বাবা কামরুজ্জামান খান একটি ওষুধ কোম্পানিতে কাজ করেন।

ঢাকাই নায়কদের কার কত আয়

ঢাকাই নায়কদের কার কত আয়



কেউ পাচ্ছেন দুই লাখ, কেউবা হাঁকাচ্ছেন কোটি টাকা। ঢাকাই চলচ্চিত্রে নায়কদের পারিশ্রমিকের ব্যবধানটা এমনই আকাশ পাতাল। নতুনদের মধ্যে পারিশ্রমিক মাত্র দুই লাখ টাকা হলেও দীর্ঘদিন কাজ করেও কেউ কেউ হাতে পাচ্ছেন বড়জোর পাঁচ-ছয় লাখ টাকা। আবার কেউ একসময় চল্লিশ লাখ পেলেও এখন পান লাখ বিশেকের মতো। তারকাদের পারিশ্রমিকের অঙ্ক মেলানোটা সোজাসাপ্টা সরলরেখায় চলে না। তারকা, পরিচালক ও প্রযোজকসহ সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে কথা বলে ঢাকাই নায়কদের ছবি প্রতি পারিশ্রমিকের একটা সার্বিক চিত্র তুলে এনেছেন মনজুর কাদের।

শাকিব খান: 
প্রায় দেড় যুগ আগে ঢাকাই চলচ্চিত্রে অভিষেক ঘটে শাকিব খানের। তাঁর অভিনীত প্রথম ছবি অনন্ত ভালোবাসা। সোহানুর রহমান সোহান পরিচালিত এই ছবিতে তাঁর বিপরীতে অভিনয় করেন ইরিন জামান। ক্যারিয়ার শুরু থেকে নানা চড়াই-উতরাই পেরিয়ে অবশেষে সাত বছরের মাথায় প্রথম ব্যবসাসফল ছবি উপহার দেন শাকিব খান। এর পর আর পেছন ফিরে তাকাতে হয়নি তাঁকে। ঢালিউডের অন্যতম সফল ও জনপ্রিয় অভিনেতা হিসেবে নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করেন শাকিব। ২০০৮ সালের শেষের দিকে হঠাৎ করেই দর বাড়িয়ে দেন শাকিব। ছবি প্রতি দর হাঁকেন ৪০ লাখ টাকাও। তারকা সংকটের কারণে নির্মাতারাও একরকম বাধ্য হয়ে শাকিবের চাওয়া পূরণের চেষ্টা করে গেছেন। অবশ্য সময়ের সঙ্গে পাল্লা দিয়ে শাকিবের পারিশ্রমিকের অংকটা কমতে থাকে। বর্তমানে ছবি প্রতি ১৫ থেকে ২৫ লাখ টাকার মতো পারিশ্রমিক পাচ্ছেন।

অনন্ত: 
দর উঠেছে ৫০ থেকে ৬০ লাখ টাকা। কিন্তু এক কোটি না হলে কিছুতেই রাজি হবেন না তিনি। জানিয়েছেন খোঁজ-দ্য সার্চ চলচ্চিত্রের নায়ক অনন্ত
জলিল। খোঁজ-দ্য সার্চ সিনেমার মাধ্যমে ঢাকাই চলচ্চিত্রে নায়ক হিসেবে অভিষেক ঘটে অনন্তর। এখন পর্যন্ত ছয়টি সিনেমায় তাঁকে অভিনয় করতে দেখা গেছে। যদিও সবগুলো ছবিরই প্রযোজক অনন্ত নিজেই। ছবি প্রতি তাঁর সম্মানি কত ধরা হয়েছিল জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘আমার কোনো ছবিতে এখন পর্যন্ত কোনো পারিশ্রমিক ধরিনি। বিষয়টি নিয়ে আমি আসলে ভাবিওনি। তবে দর্শকের কাছে আমার জনপ্রিয়তা কারণে কিছু নির্মাতা আমাকে দিয়ে ছবি নির্মাণের ব্যাপারে আগ্রহ দেখিয়েছেন। তাঁদেরকে আমি সাফ সাফ জানিয়ে দিয়েছি, যদি এক কোটি টাকা পারিশ্রমিক দেওয়া হয় তাহলে আমি ছবিতে অভিনয় করতে রাজি আছি। এঁদের কেউ কেউ অবশ্য ৫০ থেকে ৬০ লাখ টাকা পারিশ্রমিক দিতে রাজি হয়েছিলেন বলেই অনন্ত জানান।

ফেরদৌস: 
কথা ছিল সাংবাদিক হওয়ার। গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিষয়ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ডিগ্রিও অর্জন করেন। কিন্তু শেষ পর্যন্ত আর সাংবাদিকতাকে পেশা হিসেবে বেছে নেওয়া হয়নি। জড়িয়ে গেছেন বিনোদন জগতের সঙ্গে। শুরুটা হয়েছিল নব্বইয়ের দশকে, র‌্যাম্প মডেল হিসেবে। একটা সময় তাঁর সঙ্গে পরিচয় হয় প্রয়াত নৃত্য পরিচালক আমির হোসেন বাবুর। তাঁর একটি ছবিতে অভিনয় করার কথা ছিল ফেরদৌসের। কিন্তু শেষ পর্যন্ত ছবিটির কাজ শুরু করতে পারেননি আমির হোসেন বাবু। বুকের ভেতর আগুন ছবির কাজ শেষ হওয়ার আগেই মারা যান ছবির নায়ক সালমান শাহ। তাঁর আকস্মিক মৃত্যুতে ছবিটি নিয়ে বিপাকে পড়ে যান নির্মাতা ছটকু আহমেদ। গল্পে কিছুটা পরিবর্তন এনে ফেরদৌসকে দিয়ে ছবির কাজ শেষ করেন ছটকু আহমেদ। ১৯৯৭ সালে মুক্তি পাওয়া এই ছবির মাধ্যমে ঢাকাই চলচ্চিত্রে অভিষেক ঘটে ফেরদৌসের। চলচ্চিত্রে শুরুটা হতে যত বেশি বেগ পেতে হয়েছে সফলতা লাভ করতে ততটা হয়নি। প্রথম ছবি মুক্তির বছর খানেকের মাথায় মুক্তি পায় কলকাতার নির্মাতা বাসু চ্যাটার্জি পরিচালিত হঠাৎ বৃষ্টি ছবিটি। এই ছবিটি রাতারাতি তারকা বানিয়ে দেয় ফেরদৌসকে। অর্জন করেন জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কারও। এই ছবির মাধ্যমে কেবল বাংলাদেশে নয়, কলকাতাতেও ব্যাপক জনপ্রিয়তা পান ফেরদৌস। এরপর দুই বাংলায় অনেক ছবিতে অভিনয় করেছেন তিনি। এখনো আগের মতোই দুই বাংলায় সমানতালে অভিনয় করে চলেছেন। আগে ছবি প্রতি ১২ থেকে ১৪ লাখ টাকা পারিশ্রমিক নিলেও ইদানীং সে অঙ্কটায় ভাটা পড়েছে। এখন তাঁর পারিশ্রমিক ৫ থেকে ৭ লাখ টাকার ঘরে।

আরিফিন শুভ: 
শোবিজে আরিফিন শুভর শুরু র‍্যাম্প মডেলিংয়ের মধ্য দিয়ে। পাশাপাশি রেডিওতে কথাবন্ধুর কাজও করতেন। এরপর নাটকে অভিনয় করেন। একটা সময় সব কিছুকে বিদায় দিয়ে নিজেকে চলচ্চিত্রের জন্য উপযোগী করে তোলেন। পেয়েছেন সফলতাও। তাঁর প্রথম ছবির নাম ‘জাগো’। এই ছবিতে তাঁর উপস্থিতি অল্প সময়ের জন্য হলেও, শুভ ঠিকই দর্শক হৃদয়ে স্থান করে নেন। এরপর একে একে কাজ করেন ‘পূর্ণদৈর্ঘ্য প্রেমকাহিনি’, ‘ভালোবাসা জিন্দাবাদ’, ‘ছায়াছবি’, ‘অগ্নি’, ‘কিস্তিমাত’, ‘ওয়ার্নিং’ ও ‘ছুঁয়ে দিলে মন’ ছবিগুলোতে। অগ্নি ছবির সাফল্যের পর চলচ্চিত্র প্রযোজক ও পরিচালকদের কাছে নির্ভরযোগ্য নায়ক হয়ে ওঠেন শুভ। কিস্তিমাত ছবিতেও বাজিমাত করেন শুভ। আর সর্বশেষ ছুঁয়ে দিলে মন ছবিটি শুভকে এনে দেয় আকাশছোঁয়া সাফল্য। শুভ বর্তমানে প্রতিটি ছবিতে অভিনয়ের বিনিময়ে ৮ থেকে ১০ লাখ টাকার মতো পারিশ্রমিক নিচ্ছেন।

বাপ্পি চৌধুরী: 
নারায়ণগঞ্জের ছেলে বাপ্পি চৌধুরী। কোনো দিন ভাবেননি চলচ্চিত্রে কাজ করবেন। পরিবারেও কেউ এ মাধ্যমের সঙ্গে যুক্ত ছিলেন না। বন্ধু-বান্ধবের উৎসাহে চলচ্চিত্রেবাপ্পি চৌধুরী অভিনয়ের প্রতি আগ্রহ তৈরি হয় তাঁর। রূপালি পর্দায় অভিষেকের জন্য খুব বেশিদিন অপেক্ষা করতে হয়নি তাঁকে। ২০১২ সালে সেই সুযোগটা পেয়ে যান বাপ্পি। তাঁর প্রথম ছবি ভালোবাসার রং। এই ছবিতে তাঁর সহশিল্পী হালের আলোচিত নায়িকা মাহি। ভালোবাসার রং মুক্তির আগেই একাধিক ছবিতেও চুক্তি স্বাক্ষর করে বেশ আলোচিত হয়ে ওঠেন বাপ্পি। আর ছবি মুক্তির পর পেয়ে যান জনপ্রিয়তা ও তারকাখ্যাতি। মাত্র তিন বছরের চলচ্চিত্র ক্যারিয়ারে অভিনয় করেছেন এক ডজনেরও বেশি ছবিতে। বর্তমানে প্রতিটি ছবিতে অভিনয়ের বিনিময়ে ৭ লাখ থেকে ১০ লাখ টাকার মতো পারিশ্রমিক নিচ্ছেন।

সাইমন: 
শুরুটা করেছিলেন জ্বি-হুজুর সিনেমার মধ্য দিয়ে। সালটা ছিল ২০১২। প্রথম ছবিতে সাফল্যের মুখ না দেখলেও পরের বছর বাজিমাত করেন সাইমন। তাঁর অভিনীত পোড়ামন ছবিটি দারুণ দর্শকপ্রিয়তা পায়। ছবিটিতে সাইমন অভিনয় করেন মাহিয়া মাহির বিপরীতে। তিন বছরের ক্যারিয়ারে অভিনয় করেছেন ১০ টিরও বেশি ছবিতে। তুলনামূলকভাবে ছবির সংখ্যা কম হলেও তাঁর পারিশ্রমিকের অঙ্কটা ভালোই বলতে হয়। বর্তমানে ছবি প্রতি ৫ থেকে ৭ লাখ টাকা পাচ্ছেন তিনি।

ইমন: 
শুরুটা হয়েছিল ছোটপর্দা দিয়ে। মডেলিংয়ের পাশাপাশি অভিনয় করতেন টিভি নাটকে। ২০০৭ সালে তৌকির আহমেদ ইমন
পরিচালিত দারুচিনি দ্বীপ ছবির মাধ্যমে প্রথম চলচ্চিত্রে অভিনয় করেন ইমন। একই বছর মুক্তি পায় ইমন অভিনীত এক বুক ভালোবাসা ছবিটি। এরপর তিন বছরের বিরতি। ২০১০ সালে গহিনে শব্দ ছবিতে অভিনয় করে দর্শকমহলে প্রশংসা কুড়ান। ২০১২ সালে মুক্তি পাওয়া লালটিপ ছবিতেও তাঁর অভিনয় প্রশংসিত হয়। আসছে ঈদে মুক্তি পাওয়ার কথা রয়েছে ইমন অভিনীত নতুন চলচ্চিত্র পদ্ম পাতার জল। এই ছবিতে ইমনের বিপরীতে অভিনয় করেছেন মিম। ঢাকাই ছবির আলোচিত এই নায়কের ছবি প্রতি পারিশ্রমিকের অঙ্কটা চার লাখের কোটায়। ক্ষেত্রবিশেষে তা ওঠানামাও করে।

নিরব: 
মডেলিংয়ের মাধ্যমে শোবিজে আসেন নিরব। টিভি নাটকেও অভিনয় করেন তিনি। তাঁর প্রথম সিনেমা মন যেখানে হৃদয় সেখানে। প্রথম ছবিতে তিনি পারিশ্রমিক হিসেবে পেয়েছিলেন ২ লাখ টাকা। এখন পর্যন্ত ঢাকাই ছবির এই নায়কের ১৯টি ছবি মুক্তি পেয়েছে। কাজ চলছে আর তিন-চারটির মতো ছবির। ঢাকাই ছবির এই নায়ক ছবি প্রতি পারিশ্রমিক হাঁকাচ্ছেন ৩ থেকে ৪ লাখ টাকা।

জায়েদ খান: 
পিরোজপুরের ছেলে জায়েদ খান। চলচ্চিত্রে নায়ক হওয়ার আশায় অংশ নেন এফডিসির ‘নতুন মুখের সন্ধানে’ কার্যক্রমে। সৌভাগ্যক্রমে চলচ্চিত্রে কাজ করার জায়েদ খানসুযোগটাও পেয়ে যান তিনি। আর তাঁকে এই সুযোগটা করে দেন পিরোজপুরেরই এক প্রযোজক | ছবির নাম ভালোবাসা ভালোবাসা। পরিচালক মোহাম্মদ হান্নান। চলচ্চিত্রে জায়েদ খানের যাত্রা হলো শুরু। ২০০৭ সালে ভালোবাসা ভালোবাসা ছবিটি মুক্তি পায়। প্রথম ছবি মুক্তির আগেই জমিদারবাড়ির মেয়ে ও পাপের প্রায়শ্চিত্ত নামে আরও দুটি ছবিতে সুযোগ পেয়ে যান তিনি। এরপর মন ছুঁয়েছে মন, আত্মগোপন, আমার স্বপ্ন আমার সংসার, তোকে ভালোবাসতেই হবে, অদৃশ্য শত্রু, কাছের মানুষ, প্রেম করব তোমার সঙ্গে, নাগ-নাগিনের স্বপ্ন ছবিতে অভিনয় করেন তিনি। জনপ্রিয়তার দৌড়ে খুব বেশি পিছিয়ে না থাকলেও পারিশ্রমিকের দৌড়ে অনেকটাই পিছিয়ে আছেন জায়েদ খান। ছবি প্রতি তাঁর পারিশ্রমিক মাত্র দুই লাখের মতো।

আমি নিজের মতো থাকতে চাই

আমি নিজের মতো থাকতে চাই



বছর আটেক আগে গানের জগতে আসেন মিলা। শুরুতেই বাজিমাত করেন। তরুণ প্রজন্ম মিলার গান দারুণ পছন্দ করে। পরপর তিন বছর এসেছে তাঁর তিনটি অ্যালবাম। সর্বশেষ অ্যালবাম রি-ডিফাইন্ড বেরিয়েছে ২০০৯ সালে। এরপর দীর্ঘ বিরতি। সবকিছু থেকে নিজেকে গুটিয়ে নেন মিলা। তবে আবার ফিরছেন। এবার ঈদে মিলা আসছেন নিজের নতুন পাঁচটি গানের মিউজিক ভিডিও নিয়ে। অ্যালবামের নাম আনসেন্সরড। আনছে জি-সিরিজ। এতে আরও থাকছে ৯০ মিনিটের একটি তথ্যচিত্র। ২৮ জুন রাতে কথা হয় মিলার সঙ্গে।
অনেক দিন আপনার কোনো খোঁজ নেই। নিজেকে এমনভাবে গুটিয়ে রাখার কারণ কী?
আমি এমনিতেই ‘হু কেয়ারস’ টাইপের মেয়ে। নিজের মতো থাকতে পছন্দ করি। দীর্ঘদিন আমি যেহেতু অ্যালবাম প্রকাশ করিনি, তাই কারও সঙ্গে যোগাযোগও হয়নি। নতুন গান না নিয়ে অযথা পত্রিকা কিংবা টিভির পর্দায় চেহারা দেখানোর কোনো মানে হয় না।
‘রি-ডিফাইন্ড’ প্রকাশের পর পেরিয়ে গেছে পাঁচ বছর। এই দীর্ঘ সময় কী করেছেন?
আমি কিন্তু গান নিয়েই ব্যস্ত ছিলাম। যে প্রজেক্টটি সবাই শিগগিরই হাতে পাবেন, এর জন্য অনেক পরিশ্রম করতে হয়েছে। আমার বিশ্বাস, দারুণ কিছু হয়েছে। এক বিন্দুও বাড়িয়ে বলছি না। সবাই অ্যালবামটি হাতে পেলেই বুঝতে পারবেন। আর কনসার্টে তো গান করেছি।
‘আনসেন্সরড’ অ্যালবামের কথা কিন্তু অনেক দিন থেকেই শোনা যাচ্ছে।
অল্প দিনেই আমি অনেক হিট গান উপহার দিয়েছি। গত পাঁচ বছরে আরও কয়েকটি অ্যালবাম বের করতে পারতাম। তা চাইনি। অনেকে চলচ্চিত্রেও গান গাওয়ার জন্য অনুরোধ করেছেন। আসলে সংগীত আমার কাছে পুরোপুরি শখের। আমি আমার গানকে সহজলভ্য করতে চাইনি। যখন আমার মন সায় দিয়েছে, তখনই গান করেছি।
‘আনসেন্সরড’ অ্যালবামে কী থাকছে?
পাঁচটি নতুন গানের মিউজিক ভিডিও। সেসব গানের শিরোনাম ‘ঈশ্বর’, ‘নাচো’, ‘টোনা’, ‘অানমনা’ এবং ‘অ্যাই সালা’। এ ছাড়া ৯০ মিনিটের একটি তথ্যচিত্রও রয়েছে। এই তথ্যচিত্রে থাকছে আমার ছোটবেলা থেকে এখন পর্যন্ত সংগীতজীবনের উল্লেখযোগ্য সব ঘটনা। এটাকে মিউজিক্যাল মুভিও বলা যেতে পারে।
গানগুলোতে নতুন কী আছে?
ঘুরে-ফিরে একই ধরনের গান করতে চাইনি। পাঁচটি গানের সবই আমার লেখা এবং সুর করা। আমার স্টুডিও দ্য এক্সপেরিমেন্টে দিনের পর দিন বসে এসব গান তৈরি করেছি। নিজেকে নতুনভাবে আনতে চেয়েছি।
আপনি নিজেই গান তৈরির ব্যাপারে আগ্রহী হলেন কেন?
আমাকে দিয়ে গান গাওয়ানোর ব্যাপারে কয়েকজন সুরকার ও সংগীত পরিচালক আগ্রহ প্রকাশ করেছেন। আসলে আমি নিজেই কিছু করতে চেয়েছি।
আপনি এখন গীতিকার, সুরকার ও সংগীত পরিচালক। তা কি শুধুই নিজের গানের মধ্যেই সীমাবদ্ধ রাখবেন?
কম্পোজিশন শেখার জন্য আমার একটা আগ্রহ ছিল। অনেক কষ্ট করে শিখছি। এখন আমি নিজের কাজ করছি। অন্যের জন্যও কাজ করার ইচ্ছে আছে। তবে তার আগে আমার নিজের কাজগুলো মানুষের কান পর্যন্ত যাক।
সংগীত পরিচালনার কৌশল কীভাবে শিখেছেন?
আমি যাঁদের সঙ্গে কাজ করেছি, তাঁদের সবার কাছ থেকে একটু একটু করে শিখছি। সবাই আমাকে যথেষ্ট সহযোগিতা করছেন।
এরপর কী ভাবছেন?
নতুন আরও পাঁচটি গান তৈরি করেছি। আশা করছি, ওই অ্যালবামটি সবাই হাতে পাবেন কোরবানির ঈদে।