Saturday, July 4, 2015

দ. চীন সাগরে চীনের রানওয়ে নির্মাণ শেষ পর্যায়ে

দ. চীন সাগরে চীনের রানওয়ে নির্মাণ শেষ পর্যায়ে

প্রতিবেশী দেশ ও ওয়াশিংটনের আপত্তিকে বুড়ো আঙুল দেখিয়ে বিতর্কিত দক্ষিণ চীন সাগরে চীন কৃত্রিম দ্বীপ তৈরির কাজ অব্যাহত রেখেছে। ইতিমধ্যে দ্বীপে তিন হাজার মিটার দীর্ঘ এয়ারস্ট্রিপ (বিমান ওঠা-নামার রানওয়ে) তৈরির কাজ প্রায় শেষ করে এনেছে দেশটি। রবিবার স্যাটেলাইট থেকে তোলা এক ছবিতে দেখা যাচ্ছে দ্বীপে বিমান ওঠা-নামার জন্য চিহ্ন আঁকা হচ্ছে। সেন্টার ফর স্ট্র্যাটেজিক অ্যান্ড ইন্টারন্যাশনাল স্টাডিজ (সিএসআইএস) তাদের ওয়েবসাইটে এ তথ্য প্রকাশ করেছে। যুক্তরাষ্ট্রের একজন সামরিক কর্মকর্তা জানিয়েছেন, এ বছরের শেষ দিকে দ্বীপের কাজ শেষ হতে পারে।
কৃত্রিম দ্বীপ তৈরির কাজ বেশ আগে শুরু করলেও কয়েক মাস আগে এটা অন্যদের নজরে আসে। জাহাজ চলাচলের জন্য এই অঞ্চলের গুরুত্ব অপরিসীম। তা ছাড়া দক্ষিণ চীন সাগরে তেল ও গ্যাসের বিপুল মজুদেরও সম্ভাবনা আছে। এমন অবস্থায় দ্বীপ তৈরির কাজের গতি বাড়িয়ে দেওয়ায় চীনের প্রতিবেশী দেশগুলোর পাশাপাশি ওয়াশিংটনের মধ্যে উত্তেজনাও বেড়েছে। স্যাটেলাইট থেকে পাওয়া ছবিতে দেখা গেছে, এরই মধ্যে সেখানে দুটো হেলিপ্যাড তৈরি করা হয়েছে, স্থাপন করা হয়েছে ১০টি স্যাটেলাইট এন্টেনা আর একটা টাওয়ার। ধারণা করা হচ্ছে, এটি রাডারের জন্য স্থাপন করা হয়েছে।
সিএসআইএস আরো জানিয়েছে, ওয়াশিংটন চেয়েছিল চীন এ নির্মাণকাজ বন্ধ করে দিক। দ্বীপ কোনো সামরিক সরঞ্জামে সজ্জিত হোক-এটাও তারা চায়নি। কিন্তু তাদের চাওয়ার প্রতি কোনো কর্ণপাতই করেনি চীন।
ওয়াশিংটনের উদ্বেগের কারণ, চীন এ দ্বীপকে কাজে লাগিয়ে এ অঞ্চলে সামরিক শক্তি বাড়াতে পারে। তাদের এই সন্দেহ সত্যি হলে প্যাসিফিক সাগরে এ অঞ্চলে যুক্তরাষ্ট্রের নৌবাহিনীর আধিপত্য খর্ব হতে পার।
কৃত্রিম দ্বীপ তৈরির ফলে দক্ষিণ চীন সাগরে চীনের সামরিক সামর্থ্য বাড়বে, সেই আশঙ্কা ব্যক্ত করে তাইওয়ানের ন্যাশনাল চেংচি বিশ্ববিদ্যালয়ে চীনের সামরিক শক্তি বিশেষজ্ঞ আর্থার ডিং বলেছেন, 'এটা দক্ষিণ চীন সাগরে চীনের সামরিক শক্তিকে বাড়িয়ে দেবে। এমনকি তারা সেখানে যুদ্ধবিমানও মোতায়েন করতে পারবে।'

No comments:

Post a Comment