Thursday, July 2, 2015

আমি নিজের মতো থাকতে চাই

আমি নিজের মতো থাকতে চাই



বছর আটেক আগে গানের জগতে আসেন মিলা। শুরুতেই বাজিমাত করেন। তরুণ প্রজন্ম মিলার গান দারুণ পছন্দ করে। পরপর তিন বছর এসেছে তাঁর তিনটি অ্যালবাম। সর্বশেষ অ্যালবাম রি-ডিফাইন্ড বেরিয়েছে ২০০৯ সালে। এরপর দীর্ঘ বিরতি। সবকিছু থেকে নিজেকে গুটিয়ে নেন মিলা। তবে আবার ফিরছেন। এবার ঈদে মিলা আসছেন নিজের নতুন পাঁচটি গানের মিউজিক ভিডিও নিয়ে। অ্যালবামের নাম আনসেন্সরড। আনছে জি-সিরিজ। এতে আরও থাকছে ৯০ মিনিটের একটি তথ্যচিত্র। ২৮ জুন রাতে কথা হয় মিলার সঙ্গে।
অনেক দিন আপনার কোনো খোঁজ নেই। নিজেকে এমনভাবে গুটিয়ে রাখার কারণ কী?
আমি এমনিতেই ‘হু কেয়ারস’ টাইপের মেয়ে। নিজের মতো থাকতে পছন্দ করি। দীর্ঘদিন আমি যেহেতু অ্যালবাম প্রকাশ করিনি, তাই কারও সঙ্গে যোগাযোগও হয়নি। নতুন গান না নিয়ে অযথা পত্রিকা কিংবা টিভির পর্দায় চেহারা দেখানোর কোনো মানে হয় না।
‘রি-ডিফাইন্ড’ প্রকাশের পর পেরিয়ে গেছে পাঁচ বছর। এই দীর্ঘ সময় কী করেছেন?
আমি কিন্তু গান নিয়েই ব্যস্ত ছিলাম। যে প্রজেক্টটি সবাই শিগগিরই হাতে পাবেন, এর জন্য অনেক পরিশ্রম করতে হয়েছে। আমার বিশ্বাস, দারুণ কিছু হয়েছে। এক বিন্দুও বাড়িয়ে বলছি না। সবাই অ্যালবামটি হাতে পেলেই বুঝতে পারবেন। আর কনসার্টে তো গান করেছি।
‘আনসেন্সরড’ অ্যালবামের কথা কিন্তু অনেক দিন থেকেই শোনা যাচ্ছে।
অল্প দিনেই আমি অনেক হিট গান উপহার দিয়েছি। গত পাঁচ বছরে আরও কয়েকটি অ্যালবাম বের করতে পারতাম। তা চাইনি। অনেকে চলচ্চিত্রেও গান গাওয়ার জন্য অনুরোধ করেছেন। আসলে সংগীত আমার কাছে পুরোপুরি শখের। আমি আমার গানকে সহজলভ্য করতে চাইনি। যখন আমার মন সায় দিয়েছে, তখনই গান করেছি।
‘আনসেন্সরড’ অ্যালবামে কী থাকছে?
পাঁচটি নতুন গানের মিউজিক ভিডিও। সেসব গানের শিরোনাম ‘ঈশ্বর’, ‘নাচো’, ‘টোনা’, ‘অানমনা’ এবং ‘অ্যাই সালা’। এ ছাড়া ৯০ মিনিটের একটি তথ্যচিত্রও রয়েছে। এই তথ্যচিত্রে থাকছে আমার ছোটবেলা থেকে এখন পর্যন্ত সংগীতজীবনের উল্লেখযোগ্য সব ঘটনা। এটাকে মিউজিক্যাল মুভিও বলা যেতে পারে।
গানগুলোতে নতুন কী আছে?
ঘুরে-ফিরে একই ধরনের গান করতে চাইনি। পাঁচটি গানের সবই আমার লেখা এবং সুর করা। আমার স্টুডিও দ্য এক্সপেরিমেন্টে দিনের পর দিন বসে এসব গান তৈরি করেছি। নিজেকে নতুনভাবে আনতে চেয়েছি।
আপনি নিজেই গান তৈরির ব্যাপারে আগ্রহী হলেন কেন?
আমাকে দিয়ে গান গাওয়ানোর ব্যাপারে কয়েকজন সুরকার ও সংগীত পরিচালক আগ্রহ প্রকাশ করেছেন। আসলে আমি নিজেই কিছু করতে চেয়েছি।
আপনি এখন গীতিকার, সুরকার ও সংগীত পরিচালক। তা কি শুধুই নিজের গানের মধ্যেই সীমাবদ্ধ রাখবেন?
কম্পোজিশন শেখার জন্য আমার একটা আগ্রহ ছিল। অনেক কষ্ট করে শিখছি। এখন আমি নিজের কাজ করছি। অন্যের জন্যও কাজ করার ইচ্ছে আছে। তবে তার আগে আমার নিজের কাজগুলো মানুষের কান পর্যন্ত যাক।
সংগীত পরিচালনার কৌশল কীভাবে শিখেছেন?
আমি যাঁদের সঙ্গে কাজ করেছি, তাঁদের সবার কাছ থেকে একটু একটু করে শিখছি। সবাই আমাকে যথেষ্ট সহযোগিতা করছেন।
এরপর কী ভাবছেন?
নতুন আরও পাঁচটি গান তৈরি করেছি। আশা করছি, ওই অ্যালবামটি সবাই হাতে পাবেন কোরবানির ঈদে।

No comments:

Post a Comment