Sunday, June 28, 2015

মডেলিং জীবনে কেমন দেখতে ছিলেন ক্যাটরিনা, দীপিকা, অনুষ্কা

মডেলিং জীবনে কেমন দেখতে ছিলেন ক্যাটরিনা, দীপিকা, অনুষ্কা

এহেন দীপিকা পাড়ুকোন, ক্যাটরিনা কাইফ ও অনুষ্কা শর্মা, তিনজনেই নিজেদের কেরিয়ার শুরু করেছিলেন মডেলিংয়ের জগতে পা রেখে।
দীপিকা পাড়ুকোনতো অনেক বয়সে মডেলিংয়ে নামেন। যখন দীপিকা দশম শ্রেণিতে পড়ছিলেন তখন, ব্যাডমিন্টনকে ছেড়ে মডেলিংকেই নিজের কেরিয়ার হিসাবে বেছে নেন। বলিউডে পা রাখার আগে তিনি কিংফিশার ক্যালেন্ডারের বিখ্যাত মডেল ছিলেন। অনুষ্কা শর্মা পড়াশোনা শেষে ব্যাঙ্গালোর থেকে মুম্বইয়ে পাড়ি দেন মডেলিং করবেন বলে। আর হংকংয়ে জন্মানো ক্যাটরিনা কাইফ মাত্র ১৪ বছর বয়সে একটি ফ্যাশন শো’য়ে অংশ নেন।
নিচের দেখে নিন এই তিন বলিউড সুন্দরীর মডেলিং জমানার কিছু এক্সক্লুসিভ ছবি।

ক্যাটরিনা কাইফ : মাত্র ১৪ বছর বয়সে হাওয়াইয়ে একটি বিউটি কনটেস্টে অংশ নিয়ে পুরস্কার জিতে নেন ক্যাটরিনা কাইফ।

লন্ডনের একটি ফ্যাশন শো’য়ে ছবি নির্মাতা কায়জাদ গুস্তাদ ক্যাটরিনাকে দেখে ‘বুম’ সিনেমায় তাকে অভিনেত্রী হিসাবে বেছে নেন। ২০০৩ সালে বলিউডে পা রাখেন ক্যাটরিনা কাইফ। তবে ‘বুম’ সিনেমাটি বক্স অফিসে চূড়ান্তভাবে ব্যর্থ হয়।

ক্যাটরিনাকে ছবিতে নিতে ভরসা পাচ্ছিলেন না কোনও পরিচালক। পরে ২০০৫ সালে সালমানের সঙ্গে জুটি বেঁধে তিনি ‘ম্যায়নে পেয়ার কিঁউ কিয়া’ ছবিতে অভিনয় করেন। এরপর আর ফিরে তাকাতে হয়নি ক্যাট সুন্দরীকে।

ক্যাটরিনার ছোট্ট বয়সে বাবা-মায়ের বিচ্ছেদ হয়। মায়ের কাছেই বড় বয়ে উঠেছেন তিনি। ক্যাটরিনারা মোট সাত বোন ও এক ভাই। ক্যাটরিনার মা সমাজকর্মী হওয়ায় বিশ্বের বহু দেশে ঘুরে ঘুরে থাকতে হয় ক্যাটরিনাদের। ফলে বাড়িতেই প্রাইভেট শিক্ষকের কাছে পড়াশোনা শিখতে হয়েছে ক্যাটরিনা ও তার ভাইবোনদের।

বলিউডে এসে ক্যাটরিনা প্রথমেই সম্পর্কে জড়িয়ে পড়েন সালমান খানের সঙ্গে। পরে তাদের ছাড়াছাড়ি হয়ে যায়।

এই মুহূর্তে রণবীর কাপুরের সঙ্গে প্রেমপর্বে ব্যস্ত ক্যাটরিনা। শোনা যাচ্ছে, আগামী বছর বিয়ে করতে চলেছেন দু’জনে।

দীপিকা পাড়ুকোন : অভিনয় জগতে পা রাখার আগে জনপ্রিয় মডেল ছিলেন দীপিকা পাড়ুকোন। কিংফিশারের ক্যালেন্ডার গার্ল হিসাবে প্রথম থেকেই খ্যাতি ছিল দীপিকার।

২০০৬ সালে মুক্তি পাওয়া কন্নর সিনেমা ‘ঐশ্বর্য’তে নাম ভূমিকায় অভিনয় করেন দীপিকা।

হিমেশ রেশমিয়ার একটি মিউজিক ভিডিওতে দীপিকাকে দেখে ‘ওম শান্তি ওম’ সিনেমায় তাকে অভিনয়ের প্রস্তাব দেন পরিচালক ফারহা খান।

দীপিকার জন্ম হয় কোপেনহেগেনে এবং তিনি বড় হন বেঙ্গালুরুতে। ছোট বয়সে ব্যাটমিন্টন খেলোয়াড় হিসাবে তিনি জাতীয় স্তরের প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ করেন।

রণবীর সিংয়ের বিপরীতে ‘গোলিও কি রাসলীলা রাম-লীলা’ সিনেমায় অভিনয় করে সেরা অভিনেত্রীর ফিল্মফেয়ার পুরস্কার পেয়েছেন দীপিকা।

ক্যাটরিনার আগে রণবীর কাপুরের সঙ্গে সম্পর্কে জড়িয়েছিলেন দীপিকা পাড়ুকোন। এই মুহূর্তে অভিনেতা রণবীর সিংয়ের সঙ্গে ডেটিংয়ে ব্যস্ত দীপিকা পাড়ুকোন।

অনুষ্কা শর্মা : ব্যাঙ্গালোরে বেড়ে ওঠা অনুষ্কা পড়াশোনা শেষে মুম্বাইয়ে পাড়ি দেন। সেখানে একটি শো’য়ে আদিত্য চোপড়ার চোখে পড়ে যান তিনি। এরপর যশরাজ ফিল্মসের সঙ্গে অনুষ্কার তিনটি সিনেমার চুক্তি হয়।

‘ল্যাকমে ফ্যাশন উইক’ দিয়ে নিজের মডেলিং জীবন শুরু করেন অনুষ্কা।

‘রব নে বনা দি জোড়ি’ সিনেমায় শাহরুখ খানের বিপরীতে অভিনয় করে বলিউডে পা রাখেন অনুষ্কা শর্মা।

প্রথম সিনেমার পরও অভিনেত্রী হিসাবে নম্বর পাচ্ছিলেন না অনুষ্কা শর্মা। ‘ব্যান্ড বাজা বারাত’ সিনেমায় অভিনয় তাকে প্রভূত খ্যাতি এনে দেয়।

অনুষ্কা শর্মার সঙ্গে ক্রিকেটার বিরাট কোহলির প্রেম এখন সারা ভারতের সবাই জানে।

ভারতীয় সিনেমার ইতিহাসে বাণিজ্যিকভাবে সবচেয়ে সফল ছবি ‘পিকে’তে আমির খানের সঙ্গে অভিনয় করেছেন অনুষ্কা।

সমকামী প্রেমে মজেছেন বলি-সেলেবরা

সমকামী প্রেমে মজেছেন বলি-সেলেবরা


গত ২৬শে জুন আমেরিকা যুক্তরাষ্ট্রের ৫০টি প্রদেশে সমলিঙ্গ বিবাহ আইনী স্বীকৃতি পায়। এই উপলক্ষে সোশাল মিডিয়ার উচ্ছ্বাস ও আনন্দের মিছিলে সামিল হয়েছেন পৃথিবীর সবপ্রান্তের বিখ্যাত মানুষেরাও। বলিউডের সেলেবরাও বাদ নেই সেই দৌড় থেকে।
সোনাম কাপুর থেকে ঈশা গুপ্তা কিংবা নিমরত কাউর থেকে সেলিনা জেটলি সবার টুইটারে সমকামী প্রেমের প্রতীক রামধনু রং। আমেরিকার এই রায়কে স্বাগত জানিয়ে তারা যে ভারতেও প্রগতির অপেক্ষা করছেন সেকথাও জানাচ্ছেন তারা।

চেহারা দেখে শনাক্ত করবে ফেসবুকের নতুন প্রযুক্তি

 চেহারা দেখে শনাক্ত করবে ফেসবুকের নতুন প্রযুক্তি


ফেসবুকের নতুন এই স্পর্শকাতর প্রযুক্তি সম্পর্কে বলা হয়, মানুষের দেহের কাঠামো, পোশাক ইত্যাদি বিশ্লেষণ করেই মুখ ঢেকে রাখা মানুষটি কে, তা বলে দেবে ফেসবুক। এই প্রযুক্তি ব্যবহার করে মুখ ঢেকে রাখা মানুষটি ফেসবুকে কোনো ছবি আপলোড করে থাকলে তাও বের করে ফেলা সম্ভব হবে।
ইতিমধ্যে ফেসবুকের সংশ্লিষ্ট বিষয়ে কিছু স্পর্শকাতর প্রযুক্তি রয়েছে। ফেসবুক ছবি দেখে মানুষটিকে শনাক্ত করা, তাদের নাম ট্যাগ করে এবং বিশেষ মুহূর্ত থেকে তাদের বেশ কয়েকটি ছবি খুঁজে বের করতে সক্ষম।
এ কাজটি করতে গবেষকরা ফ্লিকার থেকে ৪০ হাজার মানুষের ছবির নেটওয়ার্ক ব্যবহার করেছে। যে অ্যালগোরিদম তৈরি করা হয়েছে তা ৮৩ শতাংশ সফলভাবে কাজ করছে।
চেহারা শনাক্তকরণ প্রযুক্তি এর আগে বহুবার নানা তর্কের জন্ম দিয়েছে। এর আগে এমন প্রযুক্তি বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে ইউরোপে। এখন ফেসবুকের এমন পদক্ষেপের ভবিষ্যত কি হয়, তা সময় হলে দেখা যাবে।

৩০ জুনের সঙ্গে যোগ হচ্ছে এক সেকেন্ড

০ জুনের সঙ্গে যোগ হচ্ছে এক সেকেন্ড 

২০১৫ সালের ৩০ জুনের সঙ্গে যোগ হচ্ছে                                     

ইন্টারন্যাশনল আর্থ রোটেশন অ্যান্ড রেফেরেন্স সিস্টেম সার্ভিস (IERS) ৩০ জুনের সঙ্গে অতিরিক্ত ১ সেকেন্ড যোগ করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে।
পৃথিবীর ঘূর্ণনের ক্ষুদ্র পরিবর্তন লক্ষ্য করে প্যারিসে অবস্থিত এই আন্তর্জাতিক সংস্থাটি সময়ের পরিবর্তন করে। পৃথিবীড় ঘূর্ণন খুব ধীরে খানিক কমেছে, লিপ সেকেন্ডের যোগ সেই পরিবর্তনের সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখেই করা।
জানিয়েছেন নাসার গোবার্ড স্পেস ফ্লাইট সেন্টারের ড্যানিয়েল ম্যাকমিলন। ১৯৭২ সালে প্রথম কোনও নির্দিষ্ট দিনের সঙ্গে লিপ সেকেন্ড যোগ করার প্রচলন শুরু হয়।
তারপর থেকে মোট ২৫ বার লিপ সেকেন্ড যোগ করা হয়েছে। প্রত্যেক বারেই ৩০ জুনের সঙ্গেই বর্ধিত এক সেকেন্ড যোগ করা হয়। ১৯৭২ সালের আগে ভিন্ন প্রক্রিয়ার সময়ের সমন্বয় করা হত।
সাধারণ অবস্থায় এক দিনে মোট ৮৬ হাজার ৪০০ সেকেন্ড থাকে। সমন্বিত এই ইউনিভার্সাল টাইমের (UTC) উপরই পৃথিবীর তামাম জনতার জীবন নির্ভরশীল।
নির্ভুল অ্যাটোমিক ক্লকের মাধ্যমে এই সময় নির্ধারিত হয়। সেসিয়াম ক্লক এতটাই নির্ভুল যে প্রতি ১৪ লক্ষ বছর অন্তর এর প্রতি সেকেন্ডে পরিবর্তন হয়।
অন্যদিকে, একটি সৌরদিন নির্ভর করে নিজের অক্ষের চারদিকে ঘুরতে পৃথিবীর কত সময় লাগে তার উপর। গড়ে এই সময় ৮৬ হাজার ৪০০.০২ সেকেন্ড।
পৃথিবী, চাঁদ ও সূর্যের মধ্যে মাধ্যাকর্ষণের টানাপোড়েনের ফলে পৃথিবীর ঘূর্ণন খুব ধীরে ধীরে কমে। বিজ্ঞানীদের মতে ১৮২০ সালের পর থেকে একটি সৌরদিন আর ৮৬ হাজার ৪০০ সেকেন্ড দিয়ে গঠিত নয়।

সারা বিশ্বকেই ওয়াই-ফাইয়ে মুড়ে দিবে গুগল

সারা বিশ্বকেই ওয়াই-ফাইয়ে মুড়ে দিবে গুগল

গুগল জানিয়েছে, তারা ইতিমধ্যেই এ নিয়ে কাজ আরম্ভ করে দিয়েছে। এর শুরু হচ্ছে নিউ ইয়র্ক দিয়ে। সারা বিশ্বে ওয়াই-ফাই নেটওয়ার্ক বসাতে তারা কতটা গুরুত্ব দিয়ে ভাবছে এই খবরেই বুঝতে পারবেন। সাইডওয়াক ল্যাবস নামে একটি সংস্থাই খুলে ফেলেছে এই বিশেষ কাজকে বাস্তবে রূপান্তরিত করার জন্য।
আপাতত নিউ ইয়র্কে ওয়াই-ফাই পরিষেবা চালু করতে বিশেষ পদ্ধতি নিয়েছে গুগল। শহর জুড়ে প্রায় ১০ হাজার পুরনো বিগ অ্যাপল ফোন বুথকে তারা সাপোর্টেড ওয়াই-ফাই পাইলন্সে পরিণত করবে। এখান থেকে শুধুমাত্র ওয়াই-ফাই-এর সুবিধাই মিলবে না, সঙ্গে থাকছে মোবাইল চার্জ করার জায়গা। বিনামূল্যে বাড়িতে ফোনও করতে পারবেন এখান থেকে। কিয়স্কে একটি টাচ স্ক্রিনও থাকবে, যা শহর সম্পর্কে যাবতীয় তথ্য আপনাকে জানাবে।
কোনাে বিশেষ জায়গায় যেতে হলে কিভাবে যাবেন, সেই রাস্তাও দেখিয়ে দেবে কিয়স্কের ভিতরে থাকা যন্ত্র।

ছাত্রীর সাথে শিক্ষিকার সমকামী সহবাস এর ভিডিও ইন্টারনেটে

ছাত্রীর সাথে শিক্ষিকার সমকামী সহবাস এর ভিডিও ইন্টারনেটে 



লরেন চ্যান্ডলর নামের ২৪ বছরের ওই মহিলা ওই ছাত্রীকে স্কুলের পাশাপাশি বাড়িতেও পড়াতেন যেতেন।
জানা গেছে, বিগত ২০১২ সালের অক্টোবর থেকেই ছাত্রীর সঙ্গে শিক্ষিকার সম্পর্ক তৈরি হয়। ঘটনার কথা জানার পরেই তদন্ত শুরু করে স্কুল কর্তৃপক্ষ। এর পরেই জানা যায় শিক্ষিকা ওই ছাত্রীর সঙ্গে সহবাসে লিপ্ত। এরপরেই ওই শিক্ষিকাকে স্কুল থেকে বহিস্কারের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।
স্কুল কর্তৃপক্ষের বক্তব্য, ওই শিক্ষিকা তার পেশার প্রতি একেবারেই দায়বদ্ধ নন। এই ঘটনার কারণে ওই শিক্ষিকা অন্য কোনও স্কুলেই আর পড়াতে পারবেন না বলে জানা গিয়েছে।

মুখে না বলেও যেভাবে ভালোবাসা প্রকাশ করা যায়

মুখে না বলেও যেভাবে ভালোবাসা প্রকাশ করা যায়

তিনি আপনাকে নিজের পরিবার ও বন্ধুবান্ধবের সামনে নিয়ে যাচ্ছেন
যখন একজন পুরুষের কাছে কোনো নারী অনেক বেশি গুরুত্বপূর্ণ হন তখন তিনি  তাকে নিজের জীবনের অন্যান্য গুরুত্বপূর্ণ মানুষের সাথে পরিচয় করিয়ে দিয়ে থাকেন।

পানি শূন্যতা থেকে বাঁচতে চার খাবার

পানি শূন্যতা থেকে বাঁচতে চার খাবার

শসা:
শসার মধ্যে থাকে পটাসিয়াম যা শরীরে মিনারেলের ভারসাম্য ঠিক রাখতে সহায়তা করে। এছাড়াও শসার মধ্যে স্টেরল নামে একটি উপাদান যা শরীরে কোলেস্টেরলের মাত্রা ঠিক রাখতে সহায়তা করে। স্টেরল বেশি থাকে শসার আঁশের মধ্যেই তাই শসার আঁশ ফেলার আগে দুইবার ভাবা উচিত।
তরমুজ:
রসালো ফল তরমুজ স্বাদের পাশাপাশি শরীরে প্রচুর পরিমাণ পানির যোগান দেয়। তাই রোদ বেশি হলে তরমুজ খেয়ে নেয়াটা বুদ্ধিমানের কাজ হবে। তাতে অতিরিক্ত ঘামের ফলে শরীরে ক্লান্তি নেমে আসবে না।
স্ট্রবেরি:
সুস্বাদু ফল স্ট্রবেরিতে পানির পাশাপাশি ভিটামিন-সি পাওয়া যায়। ফলটি শরীরের হাড়ের সংযোগগুলো শক্ত করার পাশাপাশি সূর্যের তাপে পুড়ে যাওয়া চামড়ার রঙ ফিরিয়ে আনার ক্ষেত্রেও সহায়তা করে।
টমেটো:
ক্যান্সার প্রতিরোধী গুণ ছাড়াও টমেটো মানুষের শরীরে পর্যাপ্ত পরিমাণ পানির যোগান দিতে পারে। এছাড়া লাইকোপেন নামে টমেটোতে একটি উপাদান থাকে যা আলট্রা ভায়োলেট রশ্মির ক্ষতিকর প্রভাব থেকে ত্বককে রক্ষা করে।

ওজন কমে বাদাম খেলে

ওজন কমে বাদাম খেলে

সম্প্রতি বেথ ইজরায়েল মেডিকেল সেন্টারের এক গবেষণায় দেখা গেছে, নাস্তার সঙ্গে কিছু বাদাম                                 পেট ভরাভরা লাগে, ফলে কম খাওয়া সম্ভব হয়। ক্যালরি কম গ্রহণ করা হলে ওজন হ্রাস পায়।


বাদামে থাকে পর্যাপ্ত চর্বি ও প্রোটিন। এতে ভিটামিন বেশি না থাকলেও পর্যাপ্ত পরিমাণে পটাশিয়াম আছে। ম্যাগনেসিয়ামসহ প্রয়োজনীয় আরও কিছু খনিজ এতে রয়েছে।
খাদ্য নিয়ন্ত্রণ যারা করেন, তারা ক্যালরি বেড়ে যাওয়ার ভয়ে বাদামের চর্বি এড়িয়ে চলার চেষ্টা করেন। বাদামে শর্করা আছে সামান্যই। তাই এটি গ্রহণে ওজন বাড়ার সুযোগ নেই।

রান্না ছাড়াও দারুচিনির ৭ টি ব্যতিক্রমী ব্যবহার

রান্না ছাড়াও দারুচিনির ৭ টি ব্যতিক্রমী ব্যবহার

১) ওজন কমাতে দারুচিনি
শুনতে অবাক হলেও সামান্য দারুচিনির ব্যবহারে কমিয়ে আনতে পারবেন ওজন। হিউম্যান নিউট্রিশন সেন্টার অ্যাট টুফটস এর একটি গবেষণায় দেখা যায় দারুচিনি অরিতিক্ত ক্ষুধা কমায়, চিনি আসক্তি কমায় যার ফলে দেহের ওজন কমতে থাকে।
২) স্মৃতিশক্তি ও চিন্তা করার ক্ষমতা বাড়াতে দারুচিনি
গবেষণায় দেখা যায় শুধুমাত্র দারুচিনির সুঘ্রাণের কারণেই আপনার মস্তিষ্কের কর্মক্ষমতা বৃদ্ধি পায় এবং স্মৃতিশক্তি ও চিন্তা করার ক্ষমতা বাড়ে। আর সেকারণেই গবেষকগণ সাথে একটি দারুচিনির খণ্ড রাখার পরামর্শ দিয়ে থাকে। এছাড়াও সকালের চা বা কফিতে ২-১ খণ্ড দারুচিনি দিয়ে পান করলে পুরো দিনই সজাগ থাকবেন।
৩) ব্যথানাশক ঔষধ দারুচিনি
শারীরিক নানা ব্যথা এমনকি মাথাব্যাথার সমস্যাও দূর করে দিতে পারে দারুচিনি নিমেষেই। দারুচিনি প্রোস্টাগ্লান্ডিন নামক উপাদান মস্তিষ্ক শিথিল করে এবং মাংসপেশির ব্যথা উপশমে কাজ করে। আপনাকে শুধুমাত্র পান করতে হবে দারুচিনির চা।
৪) ত্বকের দাগ দূর ও ব্রণের সমস্যা সমাধানে দারুচিনি
দারুচিনির অ্যান্টিফাঙ্গাল, অ্যান্টিব্যাকটেরিয়াল ও অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট উপাদান ত্বকের দাগ দূর করে এবং ব্রণের উপদ্রব কমাতে সহায়তা করে। ১ চা চামচ দারুচিনি গুঁড়োতে ৩ চা চামচ মধু ভালো করে মিশিয়ে কয়েক ঘণ্টা ত্বকে লাগিয়ে রাখুন। এরপর কুসুম গরম পানিতে মুখ ধুয়ে ফেলুন। নিয়মিত ব্যবহারে খুব ভালো ফল পাবেন।
৫) মুখের দুর্গন্ধ দূর করে দারুচিনি
প্রতিদিন গরম পানিতে দারুচিনি মিশিয়ে গার্গল করলে এমনকি শুধুমাত্র দারুচিনি চিবিয়ে খেলেও মুখের দুর্গন্ধ দূর হয় নিমেষেই। এছাড়াও দারুচিনির অ্যান্টিব্যাকটেরিয়াল উপাদান মুখে ব্যাকটেরিয়ার উৎপাদন প্রতিরোধ করে দাঁত ও মাড়ির সুরক্ষা করে।
৬) পোকামাকড়ের কামড় উপশমে দারুচিনি
অনেক সময় পোকামাকড় কামড়ে দিলে অ্যালার্জির সৃষ্টি হয়। এই স্থানে দারুচিনি ও মধুর মিশ্রন লাগিয়ে দিলে ইনফেকশন, জ্বলুনি ও অ্যালার্জির সমস্যা দূর হয়ে নিমেষেই।
৭) বেক করা খাবার অনেকটা সময় ভালো রাখতে দারুচিনি
কেক, মাফিন, পাউরুটি ও বিস্কুট ধরণের খাবার বেক করার সময়ে সামান্য দারুচিনি ব্যবহার করলে খাবার সাধারণের তুলনায় বেশ কিছুদিন ফ্রেশ থাকে। দারুচিনির অ্যান্টিফাঙ্গাল উপাদান খাবারে ফাঙ্গাসের আক্রমণ প্রতিহত করে খাবার ফ্রেশ রাখে।
সতর্কতাঃ
– গর্ভবতী নারীরা দারুচিনির এই ধরণের ব্যবহার থেকে দূরে থাকুন।
– মুখে যদি ঘা বা অন্য সমস্যা থাকে তাহলে দারুচিনি খাওয়া থেকে বিরত থাকুন।
– অনেকের ত্বক অনেক সেনসিটিভ হয়ে থাকে, তারা ত্বকের সমস্যায় দারুচিনি ব্যবহার থেকে দূরে থাকুন।

মিষ্টি আলু ডায়াবেটিস রোগীসহ যে কারো জন্য কেন ভালো

মিষ্টি আলু ডায়াবেটিস রোগীসহ যে কারো জন্য কেন ভালো

তাহলে চলুন মিষ্টি আলুর স্বাস্থ্য উপকারিতা জেনে নিই
ডায়াবেটিসের জন্য ভালো
মিষ্টি আলুতে রয়েছে প্রাকৃতিক চিনি যা ডায়াবেটিস কমাতে সাহায্য করে এবং ইনসুলিন প্রতিরোধক ক্ষমতাকে স্থির রেখে শর্করার মাত্রা নিয়ন্ত্রণ করে।
হজমের জন্য
মিষ্টি আলুতে রয়েছে প্রচুর খাদ্য আঁশ যা স্বাস্থ্যকর হজমতন্ত্রের জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ। এটি কোলন ক্যান্সার প্রতিরোধে সাহায্য করে এবং কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করে।
ফুসফুসের রোগ নিরাময়ে
ধূমপায়ীদের মাঝে এমফিসেমা বা শ্বাস কষ্টজনিত রোগ থাকে এবং তারা ভিটামিন এ এর অভাবে ভোগেন। মিষ্টি আলুতে থাকা ক্যারাটিনয়েড দেহে ভিটামিন এ তৈরি করে শ্বাসতন্ত্রকে পুনর্জীবিত করতে সাহায্য করে।
প্রতিরোধক ক্ষমতা বৃদ্ধি করে
ভিটামিন ডি থাইরয়েড গ্ল্যান্ড, দাঁত, ত্বক, হার্ট, স্নায়ু, হাড় এবং দেহের শক্তির মাত্রা বৃদ্ধিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে। মিষ্টি আলু ভিটামিন ডি এর শক্তিশালী উৎস।
হৃদপিণ্ডের সুস্থতায়
মিষ্টি আলুতে থাকা পটাসিয়াম হৃদপিণ্ডের কাজকে সামগ্রিক ভাবে উন্নত করতে সাহায্য করে সোডিয়ামের প্রভাব থেকে রক্ষা করে যা রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণ এবং ইলেক্টোলাইটেএর ভারসাম্যতা বজায় রাখে এছাড়া মিষ্টি আলুর ভিটামিন বি৬ স্ট্রোক, হার্ট অ্যাটাক এবং degenerative disease প্রতিরোধ করতে সাহায্য করে।
দেহের পেশী ও কলার সুস্থতায়
মিষ্টি আলুতে থাকা পটাসিয়াম খেলোয়াড়দের পেশীতে টান পরা বা ফুলে যাওয়া কমাতে সাহায্য করে। তাদের শক্তি প্রদান এবং পেশীর শিথিলতা আনতে সাহায্য করে। এছাড়া তাদের নার্ভ সিগনাল ও হার্টবিট নিয়ন্ত্রনেও সাহায্য করে।
অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট
বিটা ক্যারোটিন বাতের ব্যাথা, হাড়ের ব্যাথা, অ্যাজমা ও বুড়িয়ে যাওয়া কমাতে সাহায্য করে এবং স্তন ও ফুসফুসের ক্যান্সার প্রতিরোধে সাহায্য করে।
ভ্রুণের বৃদ্ধিতে
মিষ্টি আলু ফলিক এসিডের একটি খুব ভালো উৎস। গর্ভবতী নারীদের ক্ষেত্রে তাদের ভ্রুণের সুস্থ কোষ ও কলার বৃদ্ধির জন্য ফলিক এসিড খাওয়া খুবই প্রয়োজনীয়।
বিষন্নতা দূর করতে
মিষ্টি আলুতে থাকা পটাসিয়াম দেহের পানির ভারসাম্যতাকে নিয়ন্ত্রণ করতে পারে, অক্সিজেনের সরবরাহকে বাড়ায়। এছাড়া এতে থাকা ম্যাগনেসিয়ামের বিষন্নতা বিরোধী গুনাগুন হার্টবিটকে স্বাভাবিক করে।
ভিটামিন সি
মিষ্টি আলুতে রয়েছে উচ্চ মাত্রার ভিটামিন সি যা সমস্ত দেহের কার্যক্রম পরিচালনার জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ।
রক্তশূন্যতা প্রতিরোধে
মিষ্টি আলুতে থাকা উচ্চ মাত্রার আয়রন দেহের রক্তশূন্যতার বিরুদ্ধে কাজ করে কারন আয়রন রক্তের শ্বেত ও লোহিত কনিকা তৈরিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে।
সতেজ ত্বক
মিষ্টি আলু সেদ্ধ করে সেই পানিটা দিয়ে মুখ ধুলে ত্বকের বিরক্তিকর দাগ দূর হয় এবং রোমকূপ পরিষ্কার হয়। এতে থাকা ভিটামিন সি কোলাজেনের উৎপাদনে সাহায্য করে যার ফলে ভিটামিনই ত্বকের রঙ উজ্জ্বল করে। এছাড়া ত্বকের বলিরেখা, চোখের চারদিকের কালো দাগ এবং ফোলাভাব দূর করতে সাহায্য করে।
চুলের সুন্দর করতে
মিষ্টি আলুর বিটা ক্যারোটিন চুলের বৃদ্ধিকে ত্বরান্বিত করে, চুলের বিভিন্ন সমস্যা যেমন খুস্কি দূর করে, ক্ষতিগ্রস্ত চুলের অবস্থা উন্নত করে।
খনিজ পদার্থ
মিষ্টি আলু অত্যাবশ্যকীয় খনিজ পদার্থের যেমন পটাসিয়াম, ম্যাগানেসিয়াম, ম্যাঙ্গানিজ, ক্যালসিয়াম এবং আয়রনের খুব ভালো উৎস যা শর্করা, প্রোটিন এবং এনজাইমের মেটাবলিজমের জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ।
সতর্কতা
যদি কারো মুত্রনালীতে পাথর থাকে বা ছিল ওই রকম অবস্থায় অবশ্যই মিষ্টি আলু খাবেন না। আর খেতে চাইলেও ডাক্তারের পরামর্শ নিয়ে খাবেন।

মাত্র ২ টি উপকরণে ঘরেই তৈরি করে নিন হেভি ক্রিম ও হুইপড ক্রিম

মাত্র ২ টি উপকরণে ঘরেই তৈরি করে নিন হেভি ক্রিম ও হুইপড ক্রিম

উপকরণঃ
– ৩/৪ কাপ দুধ
– আধা কাপ বাটার
পদ্ধতিঃ
– প্রথমেই দুধ জ্বাল দিয়ে কিছুটা গরম করে নিন। এবং দুধ ফ্রিজে রেখে কিছুটা ঠাণ্ডা করে নিন।
– এরপর বাটার নরম করে নিন সসপ্যানে অল্প আঁচে। চাইলে ৩০ সেকেন্ড মাইক্রোওয়েভ করে বাটার গলিয়ে নিতে পারেন। মনে রাখবেন বাটার যেনো গরম না হয়। শুধু গলে যাওয়া পর্যন্তই রাখুন।
– এরপর ঠাণ্ডা হওয়া দুধে বাটার দিয়ে ভালো করে নেড়ে মিশিয়ে নিন।
– এবারে মূল কাজের জন্য একটি হ্যান্ড মিক্সার বা স্ট্যান্ড মিক্সার নিয়ে হাই পাওয়ারে বিট করতে থাকুন।
– ৩ থেকে ৫ মিনিট বিট করে নিলেই দেখবেন দুধের মিশ্রণ ঘন থকথকে হওয়া শুরু করেছে।
– ব্যস, ক্রিম যতটা ঘন প্রয়োজন ততোটা ঘন করুন। মনে রাখবেন অনেক বেশি সময় ধরে যদি বিট করেন তাহলে স্টিফনেস অনেক বাড়বে। এবং তা হুইপড ক্রিম হয়ে যাবে। খুব সহজ, তাই না। এবার নিজেই চেষ্টা করুন।
– এরপর একটি এয়ার টাইট বক্সে ঢেলে ফ্রিজে রাখুন ২৪ ঘণ্টা। তৈরি আপনার হেভি ক্রিম ও হুইপড ক্রিম। এই ক্রিম যতো ফ্রেশ তৈরি করে খাবারে ব্যবহার করতে পারবেন ততোই ভালো।

পালং শাকের ১০টি চমকপ্রদ উপকারিতা

পালং শাকের ১০টি চমকপ্রদ উপকারিতা


আমাদের প্রতিদিনের খাদ্য তালিকায় শাক-সব্জি থাকা এক কথায় বাঞ্ছনীয়। কারণ এটি ছাড়া সুষম খাবারের শর্তই পূরণ হয়না। আমাদের সবারই উচিত প্রতিদিনের খাদ্য তালিকায় শাক সবজি রাখা। তাই যে খাবারটি প্রতিদিনের তালিকায় থাকবে সেটি সম্পর্কেও আমাদের সবারই কিছু ধারনা রাখা উচিত। আজ তাই পালং শাকের কিছু উপকারিতা জানাতে চাই। এটি এমন একটি সবজি যার রয়েছে অনেক ধরনের উপকারিতা এবং এটি নিয়মিতভাবে খেলে কখনোই আফসোস করবেন না। চলুন, জেনে নিই।

পুষ্টিগুণে ভরপুর-
এক কাপ পালং শাক খাদ্য আঁশের দৈনিক চাহিদার ২০% পূরণ করার সাথে সাথে ভিটামিন এ ও কে-এর দৈনিক চাহিদা পূরণ করতে সক্ষম। এতে উচ্চ মাত্রার প্রোটিন, ভিটামিন সি, ভিটামিন ই, আয়রন, ক্যালসিয়াম, পটাশিয়াম, ম্যাগনেশিয়াম, ম্যাঙ্গানিজ, জিংক, ফলিক এসিড ও সেলেনিয়াম রয়েছে। এই সমস্ত পুষ্টি উপাদানগুলো শরীরের স্বাভাবিক কাজকর্ম এর জন্য অপরিহার্য।
কম ক্যালরি যুক্ত-
কম ক্যালরি যুক্ত খাবার বাছাই করার ক্ষেত্রে পালং শাক হচ্ছে উপযুক্ত একটি সবজি। কারণ ১০০গ্রাম পালং শাকে রয়েছে মাত্র ৭ কিলোক্যালরি।
রক্তচাপ কমায়-
এতে থাকা উচ্চ মাত্রার ম্যাগনেসিয়ামের কারনে পালং শাক রক্তচাপ কমাতে সাহায্য করে।
প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধিতে-
এই সবজিতে থাকা বেশি মাত্রার ভিটামিন এ, লিম্ফোসাইট বা রক্তের শ্বেত কণিকার ভালো মাত্রা বজায় রাখে যা দেহের প্রতিরোধ ক্ষমতাকে শক্তিশালী করার মূল উপদান। এবং তা দেহকে বিভিন্ন সংক্রমণ ও রোগ থেকে রক্ষা করে।
ক্যান্সারের বিরুদ্ধে কাজ করে-
পালং শাকে রয়েছে ১০টিরও বেশি ভিন্ন ধরনের ফ্ল্যাভোনয়েড যা ভয়ানক রোগের বিরুদ্ধে কাজ করে। এই পলিনিউট্রিয়েন্টস গুলো দেহের ফ্রি র‍্যাডিকেলকে নিরপেক্ষ করে।
চোখের সুরক্ষায়-
সাধারণত সবুজ শাক সবজিতে লুটেন সহ কিছু গুরুত্বপূর্ণ ফাইটোকেমিক্যাল থাকে যা দৃষ্টি শক্তির ক্ষতি বেড়ে যাওয়ার প্রবণতা বন্ধ করতে সাহায্য করে।পালং শাকে রয়েছে উচ্চ মাত্রার বিটা ক্যারোটিন যা চোখের ছানি পড়ার ঝুঁকি কমাতে সাহায্য করে।
ত্বকের সুরক্ষায়-
পালং শাকে থাকা ভিটামিন এ ত্বকের বাইরের স্তরের আর্দ্রতা বজায় রাখতে খুবই গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। এটা বিভিন্ন ধরনের ত্বকের সমস্যা যেমন ব্রণ, বলিরেখা পড়া ইত্যাদির দূরীকরণেও বেশ কার্যকর। এছাড়া এটা ত্বকের বয়সের ছাপ পড়ার গতিকে ধীর করে এবং ত্বককে নরম ও স্থিতিস্থাপক অবস্থা ধরে রাখতে সাহায্য করে।
শক্তির মাত্রা বৃদ্ধি করে-
এটা শরীরের ক্লান্তিভাব দূর করে শক্তির মাত্রা বৃদ্ধি করে।এতে রয়েছে উচ্চ মাত্রার আয়রন যা দেহে অক্সিজেন উৎপাদনের জন্য খুব গুরুত্বপূর্ণ। এছাড়া এতে রয়েছে লিম্ফোবিক এসিড যা অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট যেমন ভিটামিন সি ও ই কে পুনরুজ্জীবিত করতে সাহায্য করে। এটা রক্তের সুগারের মাত্রা নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করে এবং দিনের বেলার ক্লান্তিভাব দূর করে।
প্রদাহ বিরোধী বৈশিষ্ট্য-
পালং শাকে আছে নিওজেন্থিন যা প্রদাহ নিরাময়ে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে। যাদের জয়েন্টে ব্যাথা আছে তারা অবশ্যই প্রতিদিনের খাদ্য তালিকায় এটি রাখলে উপকার পাবেন।
হৃদ যন্ত্রের সুরক্ষায়-
এই সবজিতে থাকা ফলিক এসিড সুস্থ কার্ডিওভাসকুলার সিস্টেমের জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ।
তাই আমাদের সকলেরই উচিত, যে সবজির এতো উপকারিতা সেই সাশ্রয়ী ও সহজলভ্য সবজিটি আমাদের খাদ্য তালিকায় নিয়মিতভাবে রাখার।

দইয়ের গুণাগুণ

দইয়ের গুণাগুণ


 দই সারা বিশ্বেই জনপ্রিয়। গ্রিসে এক ধরনের বিশেষভাবে তৈরি দই খাওয়া হয়ে থাকে, তুরস্কের জাতীয় পানীয় আয়রন দই থেকেই তৈরি করা হয়।

এদিকে  ভারত, বাংলাদেশেও দই দিয়ে তৈরি হয় লাস্যি, বোরহানি। বিরিয়ানি বা ভারি খাবারের সঙ্গে বোরহানি হজমে সহায়তা করে। দই যে শুধু হজমে সাহায্য করে তাই নয়, হাড়, ত্বকের সমস্যা ও ছত্রাক সংক্রমণেও দই  উপকারী। আসুন দইয়ের কিছু গুণাগুণের কথা জেনে নেয়া যাক।
১।  প্রোটিন এবং ক্যালসিয়াম: দুধের তৈরি জনপ্রিয় খাবারগুলোর মধ্যে দই একটি। এটি যে শুধু খেতেই মজা তা নয়, অত্যন্ত স্বাস্থ্যকরও বটে। দুধেরমতো দইয়েও রয়েছে উঁচুমাত্রার প্রোটিন এবং হাড় শক্ত করা ক্যালসিয়াম।
২। প্রাকৃতিক উপায়ে তৈরি দই: তবে প্রাকৃতিক উপায়ে তৈরি দইই সবচেয়ে ভালো। এতে থাকে না কোনো বাড়তি রং, চিনি বা গন্ধ।তবে যাদের একদম সাদা দই খেতে ভালো লাগে না,  তারা ফল ছোট ছোট করে কেটে বা সামান্য জেলি মিশিয়ে খেতে পারেন। কিংবা দইয়ে দিতে পারেন অল্প মধু।
৩। দুধের অ্যালার্জি: যাদের দুধ বা ল্যাকটোজ অ্যালার্জি রয়েছে তাদের জন্য দই নিরাপদ। দই তৈরি করার সময় তাপের কারণে ল্যাকটোজ কমে যায়, ফলে এটা নিরাপদ। তাছাড়া আজকাল ল্যাকটোজ-ফ্রি দইও বাজারে পাওয়া যায়।
৪। ক্যালসিয়ামের অভাব পূরণ করে: দই শরীরে ক্যালসিয়ামের অভাব পূরণ করে। গবেষণায় দেখা গেছে অল্প কিছুদিন দই খাওয়ার পর হাড়ের ঘনত্বে ইতিবাচক প্রভাব পড়েছে। একজন প্রাপ্তবয়স্ক মানুষের জন্য দিনে ১ হাজার মিলিগ্রাম দইই যথেষ্ট। এটা এমনই একটি খাবার,  যা খেয়ে কখনো কারো কোনো অপকার হয়েছে বলে শোনা যায়নি।
৫। হজম শক্তি বাড়াতে দই: শিশু বয়স থেকে পেট খারাপ হলে দই খাওয়ানোর অভ্যাস করা যেতে পারে। একটি গবেষণায় দেখা গেছে , এতে হজমশক্তি বেড়ে যায়।  শিশুদের ক্যাপসুল আকারে অথবা সরাসরি দই খাওয়ানো যায়। দই অ্যান্টিবায়োটিক হিসেবে কাজ করে।গ্যাসট্রিকের সমস্যায়ও এটা উপকারী।
৬। ত্বকের সমস্যায় দই: দই ত্বক তরতাজা ও মসৃণ করে ।  ত্বকের  সমস্যায় ইস্ট এর সঙ্গে দই মিশিয়ে ১৫ মিনিট মুখে রেখে ধুয়ে ফেলুন। এছাড়া খুশকির সমস্যায় মাথায় দই মেখে ১৫ মিনিট পরে শ্যাম্পু করে ফেলেও উপকার পাওয়া যায়। সূত্র: ডিডাব্লিউ

ডাবের ৭ উপকারিতা

ডাবের ৭ উপকারিতা


গরমকালে আমাদের পানীয় একটু বেশিই পান করা হয়। বিশেষ করে সফট ড্রিংকস ধরণের অতিরিক্ত ক্যালরি ও চিনিযুক্ত পানীয়ের প্রতিই আমাদের ঝোঁকটা বেশি থাকে। কিন্তু সুস্থ থাকতে চাইলে এবং সত্যিকার অর্থেই গরমের প্রকোপ থেকে মুক্ত থাকতে নিয়মিত ডাবের পানি পান করার অভ্যাস করা উচিত। প্রতিদিন মাত্র ১ গ্লাস ডাবের পানি পান করার অভ্যাস আপনাকে শুধু গরম থেকেই রেহাই দেবে না, এর পাশাপাশি মুক্ত রাখবে ৭ ধরণের শারীরিক সমস্যা থেকে।
১. উচ্চ রক্তচাপের সমস্যা নিয়ন্ত্রনে রাখে
ডাবের পানির প্রাকৃতিক মিনারেলস শরীরের রক্ত সঞ্চালন স্বাভাবিক রাখে এবং সেই সাথে উচ্চ রক্তচাপের সমস্যা নিয়ন্ত্রণ করে। এতে করে হৃদরোগের ঝুঁকি কমে এবং এর পাশাপাশি অন্যান্য কার্ডিওভ্যসকুলার রোগের সম্ভাবনা কমে।
২. হজম সমস্যা দূর করে
প্রতিদিন অন্তত ১ গ্লাস ডাবের পানি পান করার ফলে বুকজ্বলা, হজম সমস্যা, অ্যাসিডিটি, পেট ফাঁপার সমস্যা দূরে থাকে। খাবার হজমে সহায়তা করে হজম সংক্রান্ত সকল সমস্যা দূর করে ডাবেন পানি।
৩. ওজন কমাতে সহায়তা করে
ওজন কমানোর জন্য ডায়েটিং করছেন? তাহলে অন্যান্য পানীয়ের মধ্যে বেছে নিন ডাবের পানি। যেকোনো চিনিযুক্ত ফলের জুসের চাইতে বেশি কার্যকরী এই ডাবের পানি। কারণ ডাবের পানিতে বিন্দুমাত্র ফ্যাট নেই।
৪. রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করে
রিবোফ্লেবিন, নিয়াসিন, থায়ামিন এবং পেরিডক্সিন সমৃদ্ধ ডাবের পানি দেহের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা উন্নত করতে সহায়তা করে। এছাড়া ডাবের পানির অ্যান্টিভাইরাল ও অ্যান্টিব্যকটেরিয়াল উপাদান বিভিন্ন ধরনের ভাইরাসের আক্রমণ থেকেও রক্ষা করতে সহায়তা করে।
৫. কিডনির সমস্যা দূরে রাখে
ডাবের পানিতে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে কার্যকরী মিনারেল যেমন, পটাশিয়াম, ম্যাগনেসিয়াম। এই মিনারেল সমূহ কিডনির বিভিন্ন ধরনের রোগ প্রতিরোধে সহায়তা করে এবং ডাবের পানি ইউরিনের কোনো সমস্যা দূর করে।
৬. ত্বকের সুরক্ষা করে
ডাবের পানি ত্বকের জন্য বিশেষভাবে কার্যকরী। নানা সমস্যা যেমন ভ্রন, মেছতা, ছোপ ছোপ দাগ, উজ্জ্বলতা হারানো, ত্বকের ইনফেকশন এইসব সমস্যা দূর করে নিয়মিত ডাবের পানি পান করার অভ্যাস। পানের পাশাপাশি ত্বকে সরাসরি ডাবের পানি ব্যবহারও অনেক উপকারী।
৭. কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যা দূর করে
ডাবের পানি খাবার হজমে বিশেষভাবে সহায়ক। এতে করে বদহজমের কারণে কোষ্ঠকাঠিন্যের মতো সমস্যা নিয়মিত ডাবের পানি পান করার অভ্যাসে সহজেই দূর করা সম্ভব।

মেয়েরা কেন প্রতারণা করে

মেয়েরা কেন প্রতারণা করে ?

প্রথমত,
যখন মেয়েরা বুঝতে পারে যে তার সঙ্গী তাকে নিয়ে তৃপ্ত নয়, কিংবা তাকে উপেক্ষা করা হচ্ছে তখন সে নিজেও তার সঙ্গীর সঙ্গে প্রতারণা করা শুরু করে। এবং সে কারণ খুঁজে কেন তার সঙ্গী তার দিকে গুরুত্ব দিচ্ছে না?
দ্বিতীয়ত,
সঙ্গী যখন অনেক বেশি ব্যস্ত থাকে এবং এজন্য দূরত্ব বজায় রাখে তখন মেয়েরা মনে করে নিশ্চয়ই সে অন্য কারো সঙ্গে সময় কাটাচ্ছে এবং এটা ভেবে সে নিজেও একাকীত্ববোধ থেকে স্বামীর/সঙ্গীর সঙ্গে চিটিং করা শুরু করে।
তৃতীয়ত,
যখন মেয়েরা তার সঙ্গী খুঁজে পায় কিংবা কারো সঙ্গে তার অন্তরঙ্গতা হয় তখন সে নিজেকে তার সঙ্গীর কাছে অনেক গুরুত্বপূর্ণ মনে করে এবং সঙ্গমকে গুরুত্বহীন মনে করে। এজন্য তার সঙ্গী অন্য কারো দিকে ঝুঁকে পড়তে পারে ভেবে সন্দেহ প্রবণ হয়ে চিটিং করে।
চতুর্থত,
অনেক সময় ভালোবাসার রকমফের হয়ে থাকলে মেয়েরা প্রতারণা করে। এক্ষেত্রে তারা সম্পর্কের শুরুর সঙ্গে পরবর্তী সময়ের কথা চিন্তা করে। সম্পর্কের এই তুলনাবোধ থেকে হীনমণ্যতায় ভোগে এবং সঙ্গীর সঙ্গে প্রতারণা করে।
পঞ্চমত,
অনেক সময় স্বামীর সঙ্গ না পাওয়া, মানসিক দুঃশ্চিন্তা, মতের মিল না থাকার কারণেও মেয়েরা ভেঙ্গে পড়ে এবং প্রতারণা করা শুরু করে।

শরীয়তমতে স্ত্রীকে আকৃষ্ট করতে ১০ টিপস

শরীয়তমতে স্ত্রীকে আকৃষ্ট করতে ১০ টিপস

তবে সামান্য কিছু বিষয়ে দৃষ্টি রাখলে স্ত্রীর ভালোবাসা ভালোবাসা অর্জন কোনো ব্যাপারই না। আসুন জেনে নেই এ ব্যাপারে ১০ টিপস। ইন্টারনেট অবলম্বনে লিখেছেন- মো: বাকীবিল্লাহ।
১। স্ত্রীর চোখের দিকে তাকিয়ে কথা বলুন। আলাপের সময় এ দিক সেদিক তাকাবেন না।
২।  নিজেকে পরিপাটি ও পরিচ্ছন্ন রাখুন। সুগন্ধী ব্যবহার করুন। নারীরা সব সময় তার সঙ্গীর পরিপাটি ও সুগন্ধময় পরিধেয় ভালবাসে।
৩।  স্ত্রীকে বিভিন্ন কাজে সহায়তা করুন। মেয়েরা সব সময় সহযোগীদের প্রতি আকৃষ্ট হয়।
৪।  তার বন্ধুদের প্রতি সামাজিক হোন। তাদের নিজের মতো আপন করে নিন। মেয়েরা সাধারণত সামাজিক ও মিশুক প্রকৃতির ছেলের প্রতি আকৃষ্ট হয়।
৫।  একত্রে থাকাবস্থায় অন্য কারো সাথে ফোনালাপ পরিহার করার চেষ্টা করুন। এছাড়া স্ত্রীর সাথে ফোনে কথা বলার সময় বোঝাতে চেষ্টা করুন আপনি তার প্রতি মনোযোগী। তার প্রতি আপনার পূর্ণ আকর্ষণ রয়েছে।
৬। স্ত্রীকে বিভিন্ন প্রশ্ন করুন, বিশেষত তার সম্পর্কে। মেয়েরা সব সময় তার ব্যাপারে আলোচনা পছন্দ করে। যেমন তার ভাল লাগা, প্রিয় জিনিস ইত্যাদি।
৭। কোথাও প্রবেশের সময় আগে গিয়ে দরজা খুলে তাকে স্বাগত জানান। এ বিষয়টি নারীদের ভীষণ প্রিয়।
৮। তার সৌন্দর্যের প্রশংসা করুন। যেমন- তোমাকে খুব সুন্দর লাগছে। পোশাকটিতে তোমাকে ভালো মানিয়েছে ইত্যাদি।
৯। স্ত্রীর কাছ থেকে পরামর্শ নিন। যেমন- কোনো কাজ শুরু করার আগে মতামত চাওয়া। এতে সে ভাববে আপনি তাকে গুরুত্ব দেন।
১০।  তাঁর ইতিবাচক দিকগুলো তুলে ধরুন। যেমন তোমাকে হাসিখুশি মনে হয়। তোমার সব কাজই ভালো হয়। তুমি অনেক পজিটিভ ইত্যাদি।
এসব বিষয়ের প্রতি মনোযোগী হলে স্ত্রী আপনার প্রতি ইতিবাচক হবে আকর্ষণ অনুভব করবে।

স্বামীর কাছ থেকে যে কথাগুলো গোপন রাখে নারী

স্বামীর কাছ থেকে যে কথাগুলো গোপন রাখে নারী


১) নিজের অতীতের ব্যাপারে মেয়েরা কখনোই ১০০ ভাগ কথা স্বামীকে বলেন না। বরং কেবল সেটুকুই বলেন, যেটুকু জানা থাকলে সম্পর্কে বড় ধরণের কোন সমস্যা হবে না। প্রতিটি মেয়েই নিজের অতীতের ব্যাপার কিছু না কিছু সত্য গোপন করেই থাকেন।
২) মেয়েরা নিজের প্রথম প্রেমকে কখনো ভুলতে পারেন না, বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই প্রথম প্রেমের জন্য আজীবন একটা গোপন আবেগ লালন করেন মনের গহীনে। কখনো কখনো গোপনে অতীতের মানুষটির খোঁজখবর করেন, যোগাযোগ করার চেষ্টা করেন। কিন্তু এই ব্যাপারটি স্বামীকে কখনোই জানাতে চান না তাঁরা।
৩) মেয়েরা কখনোই নিজের বান্ধবীদের সম্পর্কে সব সত্য কথা স্বামীকে বলেন না। বরং বেশী সুন্দরী বান্ধবীদের ক্ষেত্রে অতিরঞ্জিত কথাবার্তা বলেন যেন স্বামী তাঁদের ব্যাপারে আগ্রহী না হন। বান্ধবীদের ব্যাপারে স্বামীকে কিছু জানাতে নারাজ প্রায় সব মেয়েরাই।
৪) নিজের আত্মীয় ও বান্ধবীদের সামনে স্বামীকে নিয়ে গর্ব করতে ভালোবাসেন সব নারীই এবং প্রচুর করেনও। কিন্তু স্বামীকে এই বিষয়টি জানাতে চান না কোনমতেই।
৫) অন্য পুরুষেরা আগ্রহ নিয়ে তাকালে বা প্রশংসা করলে প্রতীক নারীই খুশি হয়ে ওঠেন, কিন্তু স্বামীর সামনে এই ভাবটি মোটেও প্রকাশ করেন না তাঁরা। বরং কিঞ্চিত বিরক্তিই প্রকাশ করেন।
৬) স্বামীকে যতই বিশ্বাস করুন না কেন, চোখের অন্তরালে একটু-আধটু গোয়েন্দাগিরি সব মেয়েই করেন। ফোন ঘেঁটে দেখা বা ফেসবুক চেক কর, একটু সন্দেহের নজরে রাখে ইত্যাদি মেয়েদের সহজাত। এই বিষয়টি আসে হারানোর ভয় থেকে।
৭) নিজের শাশুড়িকে যতই অপছন্দ করুন না কেন, এই ব্যাপারটি স্বামীকে কখনোই বুঝতে দিতে চান না মেয়েরা। আর যদি শাশুড়ি-বউয়ের মাঝে সমস্যা থাকে, তাহলে সকল মেয়েই স্বামীর কাছে নিজের দোষ রেখে ঢেকেই রাখেন।
৮) কোন মানুষই পারফেক্ট নন। বলাই বাহুল্য কোন নারীও না। কিন্তু স্বামীর সামনে নিজেকে পারফেক্ট দেখাতেই ভালোবাসেন মেয়েরা। কখনোই নিজের দোষত্রুটি, নিজের বাবার বাড়ির বদনাম বা নিজের বদ অভ্যাস স্বামীকে জানতে দিতে চান না মেয়েরা, বরং সযতনে গোপন করেন।

Saturday, June 27, 2015

ছেলেদের ব্রণ দূর করতে টিপস

ছেলেদের ব্রণ দূর করতে টিপস



মেয়েদের মতো ছেলেরাও ত্বকের যে সমস্যাটিতে বেশি ভুগে থাকেন তা হলো ব্রণ। নানা কারণেই ব্রণ হতে পারে। তরুণদের মধ্যে ব্রণের সমস্যা বেশি দেখা যায়। ব্রণ থেকে বাঁচার জন্য নানাজন নানাভাবে চেষ্টা করেন। চলুন জেনে নেয়া যাক, ব্রণের সমস্যা এড়াতে ছেলেরা কী করবেন
ছেলেদের ব্রণ দূর করতে টিপস
যে কারণে ব্রণ হয় :
১. হরমনের পরিবর্তন
২. ত্বকে ধুলোময়লা জমে থাকা
৩. বংশগত কারণ
৪. ত্বকে ভিটামিনের অভাব
৫. কোষ্ঠকাঠিন্য।
ব্রণ থেকে বাঁচার উপায় :
১. সাধারণত তৈলাক্ত ত্বকেই ব্রণের সংক্রমণ বেশি হয়। তাই সবসময় মুখ পরিষ্কার রাখুন।
বাইরে থেকে ঘরে ফিরে ঠাণ্ডা পানির ঝাপটা দিন।
২. দিনে কমপে দু বার গোসল করুন।
৩. প্রতিদিন অন্তত তিন-চার বার মুখ ধোয়ার অভ্যাস করুন। ব্রণের উৎপাত অনেকটা কমে যাবে।
৪. মুখে সাবান ব্যবহার না করে ফেসওয়াশ ব্যবহার করুন
ত্বকে নিয়মিত ময়দা, দুধ ও মধুর পেস্ট লাগান, ব্রণের দাগ চলে যাবে এবং ত্বক উজ্বল হবে।
৫. মুখে ব্রণ দেখা দিলে তা নখ দিয়ে খোঁটাখুঁটি করা একদম ঠিক না। এতে ত্বকে ব্রণের দাগ স্থায়ী হয়ে যাবে ।
যা খাবেন :
১. তৈলাক্ত খাবার, ভাজাপোড়া খাবার এড়িয়ে চলুন।
২. বেশি করে শাকসবজি স্বাস্থ্যের জন্য খুবই উপকারী।
৩. পেট পরিষ্কার রাখা খুবই জরুরি। অনেক সময় কোষ্ঠকাঠিন্যের কারণে ত্বকে ব্রণ দেখা দেয়।
৪. নিয়মিত সবুজ শাকসবজি আর টাটকা ফলমূল খেলে কোষ্ঠকাঠিন্য থেকে প্রতিকার পাওয়া যায়।
৫. সব থেকে প্রচুর পানি খেতে হবে।

সহবাসে কতক্ষণে পাওয়া যাবে চরম সুখ

সহবাসে কতক্ষণে পাওয়া যাবে চরম সুখ

 সহবাসের সুখ! কতক্ষণে পাওয়া যায়, আধঘণ্টা, একঘণ্টা? উত্তরটা হল, মাত্র কয়েক মিনিটের মধ্যেই৷ আমেরিকার পেন স্টেট বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষণায় উঠে এসেছে সহবাসের ৩-১৩ মিনিটের মধ্যেই শতকরা ৯০ শতাংশ পুরুষ ও স্ত্রী দুজনেই চরম সুখ লাভ করে৷
গবেষকদের একাংশের মতে, স্ত্রী-পুরুষ প্রত্যেকেই এখন সারারাত ধরে সহবাসের অলীক কল্পনা করে৷এমনকী পূর্ববর্তী একটি গবেষণার ফল জানাচ্ছে অনেকেই আধ ঘণ্টা বা তার বেশি সময় ধরে সহবাস করতে পছন্দ করেন৷ আর বলা বাহুল্য এই পুরোটাই তৈরি হয় সহবাসে অসন্তুষ্টি থেকে৷
তবে সাম্প্রতিক সমীক্ষায় পরিস্থিতি পাল্টাবে বলে গবেষকদের দাবি৷কারণ যাদের যৌনজীবনে সমস্যা রয়েছে এবারে তাদের জন্য একটি নতুন দল তৈরি হবে, যেখানে থাকবে মনোচিকিৎসক, কাউন্সেলর, গাইনোকোলজিস্ট৷এমনকী বাদ যাবে না পারিবারের লোকজনের উপস্থিতিও এবং সকলের সঙ্গে বসেই করা হবে রোগীর থেরাপি৷ তাতে সহজেই সেক্স লাইফ হয়ে উঠবে স্বাভাবিক৷
সহবাসে চরম যৌনসুখ পেতে ৩-১৩ মিনিটই যথেষ্ট বলে বিশেষজ্ঞরা রায় দিয়েছেন৷ ১-২ মিনিট হলে তা খুবই কম আর ব্যাপারটা যদি কেউ আধঘণ্টা ধরে টেনে নিতে চান, তাহলে সেটাও খুব একটা স্বাভাবিক নয় বলে তাঁরা মনে করেন৷

সহবাসে কতক্ষণে পাওয়া যাবে চরম সুখ

সহবাসে কতক্ষণে পাওয়া যাবে চরম সুখ

 সহবাসের সুখ! কতক্ষণে পাওয়া যায়, আধঘণ্টা, একঘণ্টা? উত্তরটা হল, মাত্র কয়েক মিনিটের মধ্যেই৷ আমেরিকার পেন স্টেট বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষণায় উঠে এসেছে সহবাসের ৩-১৩ মিনিটের মধ্যেই শতকরা ৯০ শতাংশ পুরুষ ও স্ত্রী দুজনেই চরম সুখ লাভ করে৷
গবেষকদের একাংশের মতে, স্ত্রী-পুরুষ প্রত্যেকেই এখন সারারাত ধরে সহবাসের অলীক কল্পনা করে৷এমনকী পূর্ববর্তী একটি গবেষণার ফল জানাচ্ছে অনেকেই আধ ঘণ্টা বা তার বেশি সময় ধরে সহবাস করতে পছন্দ করেন৷ আর বলা বাহুল্য এই পুরোটাই তৈরি হয় সহবাসে অসন্তুষ্টি থেকে৷
তবে সাম্প্রতিক সমীক্ষায় পরিস্থিতি পাল্টাবে বলে গবেষকদের দাবি৷কারণ যাদের যৌনজীবনে সমস্যা রয়েছে এবারে তাদের জন্য একটি নতুন দল তৈরি হবে, যেখানে থাকবে মনোচিকিৎসক, কাউন্সেলর, গাইনোকোলজিস্ট৷এমনকী বাদ যাবে না পারিবারের লোকজনের উপস্থিতিও এবং সকলের সঙ্গে বসেই করা হবে রোগীর থেরাপি৷ তাতে সহজেই সেক্স লাইফ হয়ে উঠবে স্বাভাবিক৷
সহবাসে চরম যৌনসুখ পেতে ৩-১৩ মিনিটই যথেষ্ট বলে বিশেষজ্ঞরা রায় দিয়েছেন৷ ১-২ মিনিট হলে তা খুবই কম আর ব্যাপারটা যদি কেউ আধঘণ্টা ধরে টেনে নিতে চান, তাহলে সেটাও খুব একটা স্বাভাবিক নয় বলে তাঁরা মনে করেন৷

দ্রুত বীর্যপাতের কারণ ও সমাধান

দ্রুত বীর্যপাতের কারণ ও সমাধান

 মিলনের সময় দ্রুত বীর্যপাত একটি বড় সমস্যা। বেশ কিছু কারনে এই সমস্যা হতে পারে। কারো এ সমস্যার সমাধান করতে হলে আগে তাই এর কারনগুলো সম্পর্কে নিশ্চিত হতে হবে।
১. অত্যধিক হস্তমৈথুন করা দ্রুত বীর্যপাত সমস্যার অন্যতম কারন। বিশেষ করে বাল্যকালে যখন একটি ছেলে হস্তমৈথুন করার উপায় আবিস্কার করে, স্বভাবতই সে এর ভিন্নধর্মী আনন্দের অনুভূতির প্রতি বেশ আকৃষ্ট হয়ে পড়ে। আর বাল্যকালে, যেসময় একটি ছেলের বিভিন্ন মানসিক অনুভুতি তীব্রভাবে বিকশিত হতে থাকে, ঠিক সেসময়ই এই দারুন আনন্দের সন্ধান পেয়ে যখন ছেলেটি হস্তমৈথুন করে তখন সে অতিরিক্ত উত্তেজিত হয়ে যায়। এত কম বয়েসে এ ধরনের দৈহিক আনন্দের অনুভুতির সাথে সামঞ্জস্য করার জন্য প্রয়োজনীয় মানসিক পরিপক্কতা ছেলেটির থাকে না। ফলে অত্যন্ত দ্রুততার সাথে তার বীর্যপাত হয়। ফলে ছেলেটি এভাবেই বারবার হস্তমৈথুন করতে করতে দ্রুত বীর্যপাতের অভ্যাস গড়ে তোলে।
আর এছাড়া শুধু বাল্যকালেই নয়, যারা একটু বড় হয়ে হস্তমৈথুন শুরু করেন, তাদের মাঝেও প্রথম প্রথম এটা করার সময় দেখা যায় এতে ধরা পড়ে যাওয়ার একটা ভয় কাজ করে, কারন অত্যধিক হস্তমৈথুন যারা করেন তারা দেখা যায়, যে কোন কাজের ফাকেও কোন কারনে উত্তেজিত হয়ে উঠলে বাথরুমে গিয়ে দ্রুত উত্তেজনা হাল্কা করে নিতে চেষ্টা করেন। এভাবে সামান্য সময়ের জন্য বাসা খালি পেয়ে অথবা বাথরুমে হস্তমৈথুন করতে গিয়ে মনের মধ্যে যে তাড়া কাজ করে তা দেহের মাঝেও সঞ্চারিত হয়। ফলে দ্রুত বীর্যপাত হয়ে যায়। আর এভাবে অভ্যাস করতে করতেই পাকাপাকিভাবে দ্রুত বীর্যপাত করার প্রবনতা হয়ে যায়।
২. মানসিক অশান্তি, ভয়, দুশ্চিন্তা এসব কিছু দ্রুত বীর্যপাতের অন্যতম কারন। ভয় পেলে ছোটকালে মানুষ যে কারনে প্যান্ট ভিজায় ঠিক একই কারনে, বয়স্কালে দ্রুত বীর্যপাতও হয়ে থাকে। যখন মানুষ ভয় পায়, দুশ্চিন্তাগ্রস্ত থাকে বা কোন কিছু নিয়ে অতিরিক্ত উত্তেজিত হয়ে থাকে তখন তার শ্বসনহার ও হৃদস্পন্দন বেড়ে যায়। ফলে যে নার্ভগুলো বীর্স্খলনের উদ্দিপনা যোগায় সেগুলো অতি সহজেই আন্দোলিত হয়ে বীর্যস্খলন হয়ে যায়।
৩. নিজের অনুভুতি সম্পর্কে ভালো ধারনা না থাকার কারনে সবচেয়ে বেশি মানুষের এ সমস্যা হয়। বেশিরভাগ মানুষেরই জীবনের প্রথম বীর্যপাত, তা যৌনমিলন বা হস্তমৈথুন যেভাবেই হয়ে থাকুক না কেন, তা তুলনামূলক দ্রুত হয়। কারন এসময় নিজের দেহের যৌনানুভুতি সম্পর্কে কারো স্পষ্ট ধারনা থাকে না। ফলে তা পরেও আর নিয়ন্ত্রন করার ক্ষমতা ছেলেটি আস্তে আস্তে হারিয়ে ফেলে।
যৌনতাকে উপভোগ করার প্রথম কথা হল এটা হতে হবে রিলাক্স মুডে। পশ্চিমা দেশগুলোতে ছেলেদের হস্তমৈথুন করা নিয়ে আমাদের মত হাজার হাজার ভুল ধারনা নেই বললেই চলে। তাই তারা বেশ আয়েশের সাথে হস্তমৈথুন করে এমনকি গার্লফ্রেন্ডের সাথে সেক্স করে করেও নিজের যৌনানুভুতি সম্পর্কে সচেতন হয়। ফলে তারা একে নিয়ন্ত্রন করে তাদের বীর্যপাতকে বিলম্বিত করে দীর্ঘ ও আনন্দময় মিলনে মগ্ন হয়।
৪. জীবনে প্রথমবারের মত কারো সাথে সেক্স করতে গেলে একটি ছেলের মধ্যে নিম্নের বেশ কয়েকটি অনুভুতি কাজ করতে পারেঃ
সঙ্গিনীর সামনে নগ্ন হতে লজ্জাঃ অনেকে হয়ত এটা হেসেই উড়িয়ে দেবেন। কিন্ত অনেক সময় প্রথমবারের মত প্রাপ্তবয়স্ক অবস্থায় কারো সামনে নগ্ন হতে অবচেতন মনে হলেও অনেক ছেলের লজ্জা কাজ করতে পারে; বিশেষ করে Arranged Marriage এর ক্ষেত্রে এমনটি হয়। এই লজ্জার ফলে যৌনাঙ্গসমূহে স্নায়ু শিহরনের কারনে তা বীর্যপাতকে ত্বরান্বিত করে যা সঙ্গিনীর কাছে ছেলেটির লজ্জাকে দ্বিগুন করে দেয়। তাই পরবর্তী মিলনেও এ সমস্যা বারবার হতেই থাকে।
৫. জীবনে প্রথম নারীদেহ স্পর্শের অতিউত্তেজনাঃ জীবনে প্রথমবারের মত কোন নারীদেহকে স্পর্শ করা একটি ছেলের কাছে দারুন উত্তেজনাপূর্ন হবে তা বলাই বাহুল্য। কিন্ত কোন রকম প্রস্তুতি, আয়োজন ও মেয়েটির সাথে ভাবের আদান-প্রদানের একটি স্বাভাবিক সম্পর্ক গড়ে উঠার আগেই দুজনে যৌনমিলনের দিকে ধাবিত হলে (আবারও, Arranged Marriage এর ক্ষেত্রে এটা বেশি হয়) হুট করে মেয়েটির উত্তেজনাপূর্ন সান্নিধ্য পেয়ে ছেলেটি অতিউত্তেজিত হয়ে পড়তে পারে। যার ফল……আবার সেই দ্রুত বীর্যপাত।
৬. পর্যাপ্ত Foreplay’র অভাবঃ সেক্স সম্পর্কে যাদের ধারনা বলতে ‘রসময় গুপ্তের চটি’ আর কিছু হলিউডি ‘XXX Video’ তারা প্রথমবার সেক্স করতে গিয়ে প্রকৃত Foreplay এর দিকে তেমন নজর দেয়না। মূলত কত দ্রুত সঙ্গিনীর উরুসন্ধিতে তার আইফেল টাওয়ারকে নিয়ে যাবে সেদিকেই তাদের নজর বেশি থাকে। ফলে পর্যাপ্ত উত্তেজিত না হয়েই। বিশেষ করে লিঙ্গে সঙ্গিনীর হাতের ছোয়া, আদর এসব না পেয়েই সরাসরি তাতে যোনির উষ্ঞ স্পর্শ বেশিক্ষন সহ্য করা কি সম্ভব? আবারো তাই একই ফলাফল।
এছাড়া বিভিন্ন শারীরিক কারনেও দ্রুত বীর্যপাতের সমস্যা হতে পারে। যেমনঃ
>হরমোনের অস্বাভাবিক মাত্রা
>থাইরয়েড গ্রন্থির সমস্যা
>মস্তিস্কে নিউরোট্রান্সমিটারের অস্বাভাবিক মাত্রা
>প্রোস্টেট অথবা মূত্রনালীর প্রদাহ এবং সংক্রমন

যেভাবে গর্ভনিরোধক ছাড়াও নিরাপদ সহবাস সম্ভব

যেভাবে গর্ভনিরোধক ছাড়াও নিরাপদ সহবাস সম্ভব


জন্মনিয়ন্ত্রণের জন্য সকলেই গর্ভনিরোধক ট্যাবলেট কিংবা কন্ডোমের উপরই ভরসা করেন৷ কিন্তু, আধুনিক পদ্ধতি ছাড়াই সম্পূর্ণ প্রাকৃতিকভাবেজন্ম নিয়ন্ত্রণ করা যেতে পারে৷ এই সম্পর্কে ধারনা থাকলে চিকিৎসকেরা কাছেও যাওয়ার প্রযোজন পড়ে না৷
মহিলাদের স্বাভাবিক ঋতুচক্র প্রাকৃতিকভাবে নির্ধারিত৷ এতে এমন কিছুদিন রয়েছে, যাকে নিরাপদ দিন বা সেফ পিরিয়ড বলা হয়৷ এই দিনগুলিতে সহবাস করলেও গর্ভধারণের ঝুঁকি থাকে না৷ সেফ পিরিয়ডের দিনগুলিও প্রকৃতিগতভাবে নির্দিষ্ট৷ এই কারণেই একে প্রাকৃতিক পরিবার পরিকল্পনা বলা যেতেই পারে৷ চিকিৎসকেরা এতে অনেক সময় ক্যালেন্ডার পদ্ধতিও বলে থাকেন৷ এই পদ্ধতি কার্যকর করতে অবশ্যই জানা দরকার ঋতুচক্রের নিরাপদ দিন কোনগুলি৷
এই পদ্ধতির জন্য সবার আগে জানতে হবে মাসিক ঋতুচক্র নিয়মিত হয় কিনা৷ হলে তা কত দিন অন্তর হয়৷ সবচেয়ে কম যত দিন পর পর মাসিক হয়, তা থেকে ১৮ দিন বাদ দিতে হবে৷ পিরিয়ড শুরুর প্রথম দিন থেকে এই দিনটিই হল প্রথম অনিরাপদ দিন৷ আবার সবচেয়ে বেশি যতদিন পরপর পিরিয়ড হয়, তা থেকে ১০ দিন বাদ দিলে মাসিক শুরুর প্রথম দিন থেকে এই দিনটিই হল শেষ অনিরাপদ দিন৷
ধরু আপনার পিরিয়ড ২৮ থেকে ২০ দিন অন্তর হয়৷ তবে ২৮-১৮= ১০, অর্থাৎ পিরিয়ড শুরুর পর থেকে প্রায় নয় দিন আপনার জন্য নিরাপদ, এই দিনগুলিতে কোন পদ্ধতি ব্যবহার না করেও সহবাস অনায়াসেই করা সম্ভব৷ ১০ নম্বর দিন থেকে অনিরাপদ দিন শুরু৷ তাই এই দিন থেকে সহবাসে সংযত হতে হবে৷
৩০ দিন হল দীর্ঘতম মাসিকচক্র৷ তাই ৩০-১০= ২০, অর্থাৎ ২০ নম্বর দিনটিই হল শেষ অনিরাপদ দিন৷ ২১তম দিন থেকে আবার অবাধে সহবাস করা যেতে পারে৷ এতে গর্ভধারণের সম্ভাবনা নেই৷ তবে, এতে ১০ থেকে ২০ দিনের মধ্যে অবাধ সহবাসের ফলে গর্ভধারন হতে পারে৷
এই বিষয়েটি সহজভাবে বোঝালে পিরিয়ড শুরুর প্রথম সাতদিন ও শেষের প্রথম সাতদিন সহবাস করা নিরাপদ৷ তবে, পিরিয়ড নিয়মিত না হলে এই পদ্ধতি কার্যকর হবে না৷ এছাড়াও প্রাকৃতিক জন্মনিয়ন্ত্রণ ৮০ শতাংশ নিরাপদ৷ সাধারণত, পিরিয়ডের হিসেবে গন্ডগোল, অনিরাপদ দিবসে সহবাস, অনুমিত পিরিয়ডের ফলে প্রাকৃতির গর্ভনিরোধকের পদ্ধতি ব্যর্থ হতে পারে৷ তাই, সঠিকভাবে জানতে একবার অন্তত চিকিৎসকেরা পরামর্শ নেওয়া প্রয়োজন৷
আবার কিছু পুরুষের শুক্রাণুর আয়ু বেশি হওয়ায় তারা এতে সাফল্য নাও পেতে পারেন৷ সেক্ষেত্রে অনুরাপদ দিবসে দুই দিন বাড়িয়ে নেওয়া প্রয়োজন৷ একে অনেকে প্রোগ্রামড সেক্স বলে৷ অনেকেই এ বিষয়ে সংশয় পোষণ করেন, কিন্তু একবার এই পদ্ধতিতে অভ্যস্ত হয়ে গেলে এটি অনেক বেশি সহজ ও আরামদায়ক৷ সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হল এতে কোন পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া নেই৷

কাম রস কি ? এর কাজ কি ? জেনে নিন

কাম রস কি ? এর কাজ কি ? জেনে নিন!



রঙের আঠালো তরল, যা যৌন চিন্তা/লিঙ্গত্থানের পর পুরুষাঙ্গ থেকে নিঃস্বরিত হয়। কাম রসকে ইংরেজীতে প্রি-কাম, ডগ ওয়াটার কিংবা স্পিড ড্রপ ও বলা হয়। কাম রস এবং বীর্য প্রায় একই প্রকার তরল। এতে শুধু কিছু রাসায়নিক পার্থক্য আছে। এই তরলের পরিমান ব্যক্তিভেদে পার্থক্য হয়। অনেক পুরুষের এটি বিন্দুমাত্রও নির্গত হয়না আবার অনেকের তা ৫ মিঃলিঃ পর্যন্ত হতে পারে। অনেকে প্রাক-চরমানন্দ-তরল বের হওয়াকে সমস্যা মনে করে থাকে। আসলে এটি কোন সমস্যা না।
কাম রসের কাজ সমুহঃ
অম্লিক পরিবেশ শুক্রানুর জন্য ক্ষতিকর। প্রস্রাবের ফলে মুত্রনালীতে কিছুটা রাসায়নিক পদার্থ থেকে যায়। কাম রস সেসব অপ্রয়জোনীয় রাসায়নিক পদার্থকে নিষ্ক্রিয় করে শুক্রানুর জন্য নিরাপদ রাস্তা তৈরি করে।
অপরদিকে নারী যোনী সাধারনত অম্লিয় (এসিডিক), তাই মুল বীর্যপাতের আগে এ তরল যোনীতে প্রবেশ করে যৌনাঙ্গের ভিতরের পরিবেশকে স্বাভাবিক করে যাতে বীর্যের সাথের শুক্রানু যোনীতে জীবিত থাকে।
এটি যোনীপথকে পিচ্ছিল করার জন্য লুব্রিকেটর হিসাবে কাজ করে।
সমস্যা সমুহঃ
যদিও কাম রস পরিমানে অতি সামন্য তবুও এর সাথে পুর্বের কিছু শুক্রানু (এমনকি একদিন পুরানো) বেরিয়ে আসতে পারে। তাই নারী-পুরুষের এ ব্যাপারে সতর্ক থাকা উচিৎ যে কাম রস যোনীতে প্রবেশ করলে এর থেকেও গর্ভধারন হয়ে যেতে পারে।
কাম রস থেকেও এইডস সহ অন্যান্য যৌন বাহীত রোগ (STD) ছড়াতে পারে।।
অন্যান্য দিকঃ
বিরল ক্ষেত্রে কোন পুরুষের হয়তো অতিমাত্রায় কাম রস নির্গত হতে পারে। যদি এমনটি দেখা যায় তবে ডাক্তারের সরনাপন্ন হতে পারেন আপনি। ডাক্তার ডায়াগনিসিস করে সঠিক কারন বলতে পারবে। তবে যদি কারো এ রস একটুও নির্গত না হয় তবে তা কোন বড় সমস্যা নয়। আলোচ্য ব্যাক্তি মিলন সহজ করার জন্য ঔষধের দোকানে প্রাপ্ত লুব্রিকেটর ব্যবহার করতে পারেন।
কাম রসে সাধারনত কোন শুক্রানু থাকে না। তবে পুর্বের মিলন কিংবা হস্তমৈথুন এর পর যে কিছু শুক্রানু অন্ডকোষে রয়ে যায় তা মনির সাথে বেরিয়ে আসে। প্রস্রাবের সাথে সব শুক্রানু কিন্তু বেরিয়ে আসেনা।
ইসালামে কাম রসঃ
কাম রস মুলত শরীরকে নাপাক করে না। মানে বীর্য নিঃস্বরিত হলে পবিত্রতার জন্য যেমন পুর্ন গোসল করতে হয়, কিন্তু কাম রস নির্গত হলে গোসল করতে হয়না। শুধু যে অঞ্চলে কাম রস লেগেছে সে অঞ্চল ধুয়ে নিলেই পবিত্র হয়ে যাবে।

যৌন মিলন কি হাঁটার চেয়ে ভালো

যৌন মিলন কি হাঁটার চেয়ে ভালো?



হ্যাঁ এমনই এক তথ্য উঠে এসেছে নতুন এক গবেষণায়। আসুন জেনে নিই।
আপনি যদি বিবাহিত হন আর ওজন বেড়ে যায় তবে ওজন কমানোর জন্য হাঁটার চেয়ে যৌন মিলনই ভালো ব্যায়াম বলে নতুন তথ্য আবিষ্কার করেছে স্বাস্থ্য বিজ্ঞানীরা। গবেষণায় দেখা গেছে যৌন মিলনের সময় প্রতি মিনিটে পুরুষের শরীরে থেকে খরচ হয় ৪.২ ক্যালোরি। আর নারীর ক্ষেত্রে খরচ হয় ৩.১ ক্যালোরি। একটি জার্নালে প্রকাশিত একটি গবেষণায় বলা হয়, হাঁটার চাইতে ভালো ব্যায়াম হলো যৌন মিলন।
তবে বিজ্ঞানীদের দেয়া এই তথ্য নিয়ে অনেক দিন থেকেই বিতর্ক ছিল যে যৌন মিলনের ফলে আদৌ কোনো ব্যায়াম হয় কিনা। একটা প্রচলিত ধারণা আছে যে একবার যৌন মিলনের ফলে ১০০ থেকে ৩০০ ক্যালোরি খরচ হয়। তবে এই তথ্যটা ছিল একেবারেই অনুমান নির্ভর। সম্প্রতি কয়েকজন সাহসী মানুষ এই গবেষণায় অংশগ্রহন করেন এবং গবেষক উইলিয়াম মাস্টারস এবং ভার্জিনিয়া জনসন তাদের শরীরের সক্রিয়তার তথ্য লিপিবদ্ধ করেন।
যৌন মিলনের সময়ে তাদের হৃদস্পন্দনের গতি বেড়ে মিনিটে ১৮০ পর্যন্ত চলে যায়। সাধারণ ব্যায়ামের সাথে এর তুলনা করলে দেখা যায়, মাঝারি ধরণের ভারী ব্যায়াম করতে থাকা অবস্থায় ৫০ বছর বয়সী মানুষের হৃদস্পন্দন থাকে মিনিটে ৮৫ থেকে ১১৯ পর্যন্ত। এ থেকেই বোঝা যায় যে, সাধারণ মাঝারি মাত্রার ব্যায়ামের চাইতে ভালো উপকার পাওয়া যায় যৌন মিলন থেকে। অর্থাৎ আপনার এক ঘন্টার সেক্স সমান ৩৬ মিনিট ব্যায়াম ওজন কমাতে সমান কাজ করে।
এর আগে ১৯৮৪ সালে সাহসী ১০ দম্পতির ওপর চালানো হয়েছিল একটি গবেষণা এবং একটি জার্নালে এর তথ্য প্রকাশিত হয়। হৃদস্পন্দন, রক্তচাপ, অক্সিজেন গ্যাস অ্যানালাইজার এবং ইলেক্ট্রোকার্ডিওগ্রাফি ব্যবহার করে তাদের শারীরিক অবস্থার তথ্য নেওয়া হয়। তখনও দেখা যায় যৌণ মিলনের সময়ে হৃদস্পন্দন অনেক বেড়ে যায়। কিন্তু এই প্রক্রিয়ার একটা বড় সমস্যা আছে।
সেটা হল, এমন অজস্র যন্ত্রপাতির সাথে লাগানো সেন্সর, টিউব ইত্যাদির উপস্থিতিতে স্বাভাবিক মানসিকতা নিয়ে যৌন মিলন সম্ভব না আর তাই এ পরীক্ষা থেকে পাওয়া তথ্যকেও তখন নির্ভুল বলে ধরা যায়নি। বর্তমানে অবশ্য এই সমস্যার সমাধান করা সম্ভব হয়েছে।
SenseWear নামের একটা আর্মব্যান্ড পরিধান করার মাধ্যমেই অংশগ্রহণকারীদের শরীরের ক্যালোরি খরচের সব তথ্য পেয়ে যান গবেষকরা। প্রথমে এসব অংশগ্রহণকারীদেরকে ৩০ মিনিট মাঝারি মাত্রার ব্যায়াম করতে বলা হয় যাতে গবেষকরা একটা প্রাথমিক ধারণা পান। পরে সেই আর্মব্যান্ড পড়া অবস্থায় তাদেরকে বাসায় পাঠিয়ে দেওয়া হয়। বাসায় যৌন মিলন করার সময় তাদের শরীর থেকে তথ্য চলে আসে গবেষকদের কাছে।
নি:সন্দেহেই জিমে গিয়ে ব্যায়াম করা, দৌড়ানো বা সাঁতার কেটে ঘাম ঝরানোর চাইতে মানুষ যৌন মিলন বেশি পছন্দ করে। আর ঘরের কাজকর্মের চাইতেও যেহেতু এটা বেশি কার্যকর তাই গবেষকরা আশা করছেন, এই তথ্য জানার ফলে মানুষ আগ্রহী হবে এবং তাদের ক্যালোরি ক্ষয়ের পরিমাণ আগের থেকে একটু হলেও বাড়বে।

Thursday, June 25, 2015

মা হতে চান কারিনা

মা হতে চান কারিনা

মা হতে চান কারিনা
 
২০১২ সালে সাইফ আলি খানের সাথে গাঁট বেঁধেছেন কারিনা কাপুর। প্রথম থেকেই সন্তান পরিকল্পনা নাকোচ করে আসলেও এই প্রথমবারের মতো মা হওয়ার ইচ্ছা প্রকাশ করেছেন তিনি। বৃহস্পতিবার এমন তথ্যই জানিয়েছে ওয়ান ইন্ডিয়া।
 
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে,  কারিনা স্বীকার করেছেন যে, তিনি মা হতে চান।
 
সাইফ-অমৃতা সিংয়ের  আগের সংসারে এক ছেলে ইব্রাহিম ও এক মেয়ে সারা রয়েছে।
 
সম্প্রতি ফেমিনা ম্যাগাজিনকে দেয়া  সাক্ষাত্কারে কারিনা বলেছেন, পেশাগত ও ব্যক্তিগত জীবনে আমি ভাগ্যবান। আমি আশা করছি আমার নিজের একটি পরিবার থাকবে।
 
তিনি বলেন, সাইফ ও আমি ভারতেই বাস করবো। কিন্তু আমাদের সন্তান দিয়ে পৃথিবীটাকে দেখব। যখন আমার বয়স ৭০ হবে, তখন আমি আমার পরিবারের সাথে একটি বড় ডাইনিং রুমে বসে হাসব, খাবো ও গল্প করব। সূত্র: ওয়ান ইন্ডিয়া।

দেশি নায়কের সফল নায়িকা!

দেশি নায়কের সফল নায়িকা!

দেশি নায়কের সফল নায়িকা!
‘ভাবতে খুবই অবাক লাগে ইদানিংকালের দুই-একজন নবাগতা নিজেদের ক্যারিয়ারে সাফল্যের ব্যাখ্যা দিচ্ছেন কলকাতার ব্যর্থ নায়কদের সাথে অভিনয়ের কথা বলে।’ সম্প্রতি ঢালিউডের সর্বাধিক হিট ছবির নায়িকা অপু বিশ্বাস নতুনদের এই প্রবণতা নিয়ে এমনটাই মন্তব্য করেন।
সাম্প্রতিককালে একাধিক টলিউড হিরোদের অযাচিতভাবে আমদানী প্রসঙ্গে অপু বিশ্বাস এমনটা বলতেই পারেন। কারণ নিজের ক্যারিয়ার তিনি গড়েছেন অনেক কাঠখড় পুড়িয়ে একেবারে নিজস্ব মুন্সিয়ানায়। তাতে যৌথ নামের কোনো চমক ছিল না, ছিল না ওপার বাংলার চমক লাগানো হিরোর নাম!

চাঁদেও ভূমিকম্প হয়!

চাঁদেও ভূমিকম্প হয়!
চাঁদেও ভূমিকম্প হয়!
 
পৃথিবীর মতো চাঁদেরও ভূমিকম্প হয়। চন্দ্রপৃষ্ঠের অভ্যন্তরে টেকটোনিক প্লেট রয়েছে তার কারণেই পৃথিবীর মতো সেখানেও ভূমিকম্প হয়। সম্প্রতি গবেষণায় এমন তথ্যই বেরিয়ে এসেছে।
 
রবিবার জি-নিউজের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ভারতের জওহরলাল নেহেরু বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিবেশ বিজ্ঞান স্কুলের ভূতত্ত্ব ও রিমোট সেনসিং-এর অধ্যাপক সৌমিত্র মুখার্জি ও তার ছাত্রী প্রিয়দর্শীনি সিং এই নতুন তথ্য জানিয়েছে। তারা চন্দ্রযান-১ এর তোলা একটি ছবিকে ব্যাখা করে চাঁদের বুকেও টেকটোনিক প্লেটের উপস্থিতির কথা তারা উল্লেখ করেছেন।
 
সৌমিত্র মুখার্জি জানিয়েছেন, চাঁদের দক্ষিণ মেরুপ্রদেশ থেকে সংগৃহীত তথ্য প্রমাণ করে পৃথিবীর মতই চাঁদেও টেকটোনিক প্লেটের নড়াচড়া হয়। এই নড়াচড়া প্রমাণ করে চন্দপৃষ্ঠের অভ্যন্তরে কিছু তরল পদার্থও রয়েছে।
 
তিনি বলেন, চাঁদ ও পৃথিবীর কম্পনের তুলনামূলক আলোচনা প্রয়োজন। এই মুহূর্তে ভূকম্পনের আগাম গণনা সম্ভব নয়। এই তুলনামূলক আলোচনা ভূমিকম্পের পূর্বাভাস দেওয়ার পথ কিছুটা প্রশস্ত করবে বলে আশা করেছেন তিনি। সূত্র: জি-নিউজ।

এবারও ছোটপর্দায় পপি

এবারও ছোটপর্দায় পপি
এবারও ছোটপর্দায় পপি
শেষ কয়েক বছর ধরেই প্রতি ঈদেই ছোটপর্দায় দেখা মিলছে চিত্রনায়িকা পপির। সেই ধারাবাহিকতা বজায় রেখেছেন তিনি। এবার ঈদেও একাধিক নাটকে অভিনয় করেছেন পপি।
হাসান জাহাঙ্গিরের পরিচালনায় ‘ভালোবাসায় দুজনায়’ শিরোনামে একটি টেলিফিল্মে সম্প্রতি অভিনয় করেছেন তিনি। এছাড়াও ঈদে পপিকে আরও দেখা যাবে জিএম সৈকতের পরিচালনায় ‘লাভ স্পিড’ টেলিফিল্মে। এতে তার বিপরীতে অভিনয় করেছেন আমিন খান।
ছোটপর্দায় অভিনয় প্রসঙ্গে পপি বলেন, ‘অভিনয় করতে আমার ভালো লাগে এবং এটাই আমার পেশা। ঈদে আমার কাছে অনেক নাটকের প্রস্তাব আসে। সেখান থেকে কয়েকটি পছন্দের নাটক বা টেলিফিল্মে কাজ করি।’

চলচ্চিত্রে লগ্নি প্রসঙ্গে চিত্রনায়িকা অপু বিশ্বাস

চলচ্চিত্রে লগ্নি প্রসঙ্গে চিত্রনায়িকা অপু বিশ্বাস
চলচ্চিত্রে লগ্নি প্রসঙ্গে চিত্রনায়িকা অপু বিশ্বাস
ইন্ডাস্ট্রিতে বড় অঙ্কের টাকা লগ্নি করা প্রযোজকরা হারিয়ে যাচ্ছে। মূল সমস্যা হচ্ছে, প্রযোজক যখন সিনেমা বানিয়ে ফিডব্যাক পাচ্ছে না, তখনই সে সিনেমাতে লগ্নির ব্যাপারে কিংকর্তব্যবিমূঢ় হয়ে পড়ছে। সিনেমাতে লগ্নি হচ্ছে দুই ভাবে। আমরা যারা বড় বাজেটের সিনেমা করছি, তাদের সিনেমাতে লগ্নি হচ্ছে প্রায় আড়াই থেকে তিন কোটি টাকা। আবার এমন কিছু সিনেমা নির্মাণ হয়েছে যার বাজেট বড়জোর ৩০-৪০ লাখ টাকা। যখন একজন প্রযোজক দেখবে কম বাজেটেই সিনেমা নির্মাণ সম্ভব, সে বড় অঙ্কের টাকা লগ্নি করতে ঝুঁকি নিতে চাইবে না।

সিঙ্গাপুরে ২০১৭ সালে বন্ধ হচ্ছে সব ধরনের টুজি সেবা

সিঙ্গাপুরে ২০১৭ সালে বন্ধ হচ্ছে সব ধরনের টুজি সেবা
সিঙ্গাপুরে ২০১৭ সালে বন্ধ হচ্ছে সব ধরনের টুজি সেবা
ক্রমেই নতুন নতুন প্রযুক্তির আগমনে পুরোনো হয়ে যাচ্ছে আগের প্রযুক্তি। এর মধ্যে অনেক প্রযুক্তিই হারিয়ে যাচ্ছে কালের আবর্তে। মোবাইল সেবার ক্ষেত্রে তেমনি প্রথম প্রজন্মের সেবা এর মধ্যেই হারিয়ে গেছে। এখনও বিশ্বের বেশিরভাগ দেশেই টুজি নেটওয়ার্ক মোবাইল সেবার প্রধানতম মাধ্যমে পরিণত হলেও খুব দ্রুতই থ্রিজি এবং ফোরজি নেটওয়ার্ক সেই জায়গা দখল করে নিচ্ছে। এর মধ্যে সিঙ্গাপুরে ২০১৭ সাল থেকে বন্ধ হয়ে যাচ্ছে টুজি মোবাইল সেবা। ওই সময় থেকে কেবল থ্রিজি ও ফোরজি সেবাই স্থান করে নেবে মোবাইল সেবার মাধ্যম হিসেবে। সিঙ্গাপুরের প্রধান তিন টেলিকম অপারেটর এমওয়ান, সিংটেল এবং স্টারহাব যৌথ বিবৃতিতে এই কথা জানিয়েছে। তারা জানিয়েছে, সিঙ্গাপুরে স্মার্টফোনের উচ্চহারে ব্যবহারের কারণে গ্রাহকদের কাছে ক্রমেই থ্রিজি ও ফোরজি সেবা জনপ্রিয় হয়ে উঠছে। তাতে করে টুজি মোবাইল সেবা বাতিলের খাতায় চলে যাচ্ছে। এর ফলে ২০১৭ সালের এপ্রিল মাস থেকে টুজি মোবাইল নেটওয়ার্কে ভয়েজ, ডাটা কিংবা মেসেজিং সেবার কোনোটিই তারা চালু রাখবে না। সিঙ্গাপুরের শীর্ষ এই তিন টেলিকম অপারেটর জানায়, গ্রাহকদের আগ্রহ বিবেচনা করে তারা নিজেরাও গত কয়েক বছর ধরে গ্রাহকদের থ্রিজি ও ফোরজি সেবা ব্যবহারে উদ্বুদ্ধ করার প্রয়াস চালিয়ে আসছে। যে কারণে এখন খুব অল্পসংখ্যক গ্রাহকই টুজি সেবা ব্যবহার করে থাকে। ২০১৭ সালের এপ্রিল মাস আসতে আসতে বাকি গ্রাহকরাও থ্রিজি ও ফোরজি সেবার আওতায় চলে আসবে বলে আশা প্রকাশ করেছে তারা। এই তিন অপারেটরের বাইরে সিঙ্গাপুরের মোবাইল ব্যবহারকারীর সংখ্যা খুবই থাকায় বলতে গেলে ওই সময় থেকে গোটা সিঙ্গাপুরেই বন্ধ হয়ে যাবে টুজি মোবাইল সেবা। উল্লেখ্য, সিঙ্গাপুরের এই তিন টেলিকম অপারেটরের মতোই একই কারণ দেখিয়ে ২০১৬ নাগাদ অস্ট্রেলিয়ায় টুজি সেবা বন্ধ করতে যাচ্ছে টেলস্ট্রা।