‘এখন আমি যা বলবো সেটা পৃথিবীতে কেউ জানে না... ’
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক তরুণী গৃহবধূ জানিয়েছেন নিজের সমস্যার কথা। তার বিশাল চিঠিটি এই রকম।
"আজকে আমি যে কথাগুলো শেয়ার করব তা এই পৃথিবীর কেউই জানেনা। প্রথমেই ক্ষমা চেয়ে নিচ্ছি সব মা দের কাছে কারণ আমি দোষী আমার বাবা মার কাছে। বেঈমানি করেছি তাদের বিশ্বাসের কাছে, তার জন্য এখন আমার জীবন অনিশ্চয়তায় পড়ে গেছে। নিজের মধ্যে অপরাধ বোধ আমাকে প্রতিমুহূর্ত গুমরে খাচ্ছে।
আসল ঘটনায় আসি- আমি খারাপ সময়গুলো face করতে ভয় পাই। যাই হোক আমি একটা well known private university-তে বি এস সি পড়ছিলাম কিন্তু কিছু personal mental problem এর কারণে আমি graduation complete করতে পারিনি (মাত্র ২টা semester বাকি ছিল) কিন্তু আজও এই কথা আমার বাবা মা কে বলতে পারিনি ভয়ে।
আমি এখন বিবাহিত বিয়ের বয়স ৮ মাস, পছন্দের বিয়ে। আমার স্বামী আমার এই দুর্বলতার কথা জানত। ওর সাথে যখন ভালবাসার সম্পর্ক ছিল তখন মাঝে মাঝে মাসে ২-১ বার অথবা ২ মাসে একবার ও আমাকে বলত জান আজকে একটু drinks করি বা dj party তে যাই। আমি নিষেধ করতাম না কারন ভাবতাম মাঝে মাঝে এমন করবেই আর খারাপ করুক ভাল করুক সে তো আমাকে জানিয়ে করে। ওকে আমি অনেক বিশ্বাস করতাম ভাবতাম যা বলে তাইতো করে।
কিন্তু বিয়ের ৩দিনের মাথায়ই আমার জামাই ঘরে বসে মদ খাওয়া শুরু করল। অনেক কান্না করতাম দিন দিন এর মাত্রা বেড়েই গেল অনেক বুঝালাম কোন কিছুতেই কাজ হচ্ছিলনা। এরপর আমার গায়ে হাত তোলেনা কিন্তু খুব মানুষিক অত্যাচার করে, সারারাত বসিয়ে রেখে আজেবাজে কথা বলে,ঘুমাতে দেয়না।
সে ইয়াবা খায় এটার effect যতক্ষণ থাকে ততক্ষণ অনেক উল্টাপাল্টা করে। এক পর্যায়ে আমি কিছু ব্যাপার আমার শাশুড়িকে জানাই কিন্তু উনি আমার সামনে আমাকে বুঝ দিলেও আড়ালে জামাইকে সব বলে দেয়।
বিশ্বাস করবা না আপু, ওইদিন রাত দেড়টা বাজে drinks করে এসে সারারাত আমার উপর মানুষিক অত্যাচার করেছে। কী ভাবে মারে জানো? আমার জিহবা বের করে ২ নখ দিয়ে জোরে চাপ দেয়, হাতে চাপ দেয়। আমি জোরে কথা বললেই বলে তোর গলা এত বড় কেন? এরপর আমি তওবা কাটসি জীবনেও ওর সম্পর্কে কারো কাছে বলবনা।
আমার পরিবারের মানুষকে জানাইসি কিন্তু নেশা করে তা বলিনি কিন্তু আমার family আমাকেই দুষে ,afterall নিজের পছন্দে বিয়ে করেছি। আসলে আমার পরিবার রাজি ছিলনা বাবাকে রাজি করতে ২ মাস সময় লেগেছিল। কারন ওরা আমাদের status এর সাথেও যায়না তবু আমার পছন্দ দেখে বিয়ে দিসে।
আর আমার বাবাকে এলাকার সবাই চিনে। আম্মু বলে আমি ২ হাজার মানুষের অনুষ্ঠান করে উঠিয়ে দিসি, এখন নিয়ে আসলে সমাজে কি বলব? এখন আমার শাশুড়ি ও আমাকে দোষে বলে তুমি খারাপ দেখে আমার ছেলে ভাল হয়না, তুমি ঘুমাও (সারারাত জাগিয়ে রাখলে কীভাবে সকালে উঠি) বলে সব দোষ তোমার , মানুষের বউরা কতকিছু করে ফেলে তুমি কিচ্ছু পারনা হাবিজাবি আর কথায় কথায় বলে বাপ মা শিখায় নাই
ঠিকমত অফিসে যায়না ঘুমায় আর শাশুড়ি সারাদিন চিল্লায়, ৮ মাসে মাত্র ৪ হাজার টাকা দিসে হাত খরচ এমনকি ঈদ ও কিছু দেয়নি, বেতন পেলেই টাকা দিয়ে উল্টাপাল্টা করে, ঘরে থাকেনা। খেলায় বাজি লেগে আমার গলার স্বর্ণের chain খুলে নিয়ে বন্ধক রাখসে। আমি আর পারতেসিনা।
সবাই বলে চাকরি কর। এখন বাসা থেকেও চাকরীর জন্য খুব pressure দিচ্ছে। কিন্তু কীভাবে করব,কে আমাকে চাকরি দিবে আজকাল graduation er certificate না থাকলে কোন দাম নেই, যতই talent থাকুক লাভ নেই। আমি photoshop, illustrator এই সব কাজও পারি। হয়তো আমার কাগজ নেই কিন্তু আমি unsmart বা uneducated নই। আপু অনলাইন business ও হয়না, সেভাবে ২-৩ বার করসি উল্টা টাকা লস হয়। আর আমার আব্বু আম্মুর কাছে টাকা চাইতে লজ্জা লাগে।কত জায়গায় কথা বলসি দেশের বাইরে চলে যাব কিন্তু কেও আশানুরূপ result দিতে পারেনি।
আমি জীবনে বাঁচতে চাই, নিজের একটা identity চাই। অনেকভাবে নিজের জীবনটা পালটানোর চেষ্টা করছি কিন্তু luck favor করেনা। আর আমি আমার স্বামীর সাথেও আর থাকতে চাইনা কিন্তু আমার পরিবার প্রতিবার আমাকে শ্বশুরবাড়ি পাঠিয়ে দেয়। আমি এবং আমার স্বামী এখন কেও কার সাথে কথাও বলিনা এইজন্য আমার শাশুড়ি আমাকে দোষে ।
আমার ভুলের জন্য আমার জীবনটা এখন একটা অভিশাপ। অনেক frustrated হয়ে গেছি আর পারছিনা, family support হারিয়ে ফেলেছি, মাঝে মাঝে ইচ্ছা করে আত্মহত্যা করি কিন্তু মুসলিম হিসাবে তাও পারিনা।কি করব এখন অনেক অসহায় হয়ে গেছি। অনেক ভাবি, অনেক কান্না করি কিন্তু কোন solution পাইনা। আমি কি কখনও আর ঘুরে দাঁড়াতে পারবনা? একটা চাকরির জন্য কি graduation certificate ই সব? আমার ভুলের মাসুল কি আমাকে সারাজীবন দিতে হবে?"
পরামর্শ:
আপু, প্রথমেই বলি যে আমি কোন মিথ্যা আশ্বাস দেব না। তুমি যে ভুল করে ফেলেছ, সেটার মাসুল আজীবন তোমাকে দিতে হবে। আর তোমার সবচাইতে বড় ভুল হচ্ছে মা বাবার সাথে মিথ্যাচার। দ্বিতীয় ও তৃতীয় বড় ভুল হচ্ছে লেখাপড়া শেষ না করা এবং ছেলেটির স্বভাব ভালো না জেনেও তাঁকে বিয়ে করা। জীবনে যেখানেই যাও না কেন, এই ভুলের ক্ষত চিহ্ন তোমাকে বহন করতেই হবে।
প্রথম কথা এই যে মা বাবার সাথে আর মিথ্যাচার করো না। হ্যাঁ, তারা ভাবছেন মাত্র ৮ মাস হলো বিয়ে হয়েছে, সময়ে ঠিক হয়ে যাবে। তারা এটাও ভাবছেন যে সমাজ কী বলবে। কিন্তু সত্য এই যে, যে মা বাবা তোমার পছন্দের সামনে নতি স্বীকার করে এই পরিবারে তোমাকে বিয়ে দিয়েছেন, তারা কখনোই তোমাকে ফেলে দেবেন না। তাদের কাছে গিয়ে ছেলেটির ইয়াবা খাওয়া, নেশা করা, মারধোরের কথা বল। সাথে এটাও বল যে তোমাকে ফেরত পাঠালে তুমি আত্মহত্যা করবে। একই সাথে নিজের বিয়ের কাবিন নামাটি যোগাড় করে ফেলো। (যে কাজী বিয়ে পড়িয়েছেন, সেই কাজী অফিসে গেলেই তুলতে পারবে যদি তোমার কাছে না থাকে)। মহিলা পরিষদে, কোন কাজী অফিসে বা উকিলের সাথে যোগাযোগ করে এক তরফা তালাক দিয়ে ফেলো স্বামীকে। সে তোমাকে মারধোর করে, এর চাইতে বড় কোন কারণেই দরকার নাই। এই এক তরফা তালাকে তারা কিচ্ছু করতে পারবে না, জোর করে নিতেও পারবে না। তুমি যদি নিজের সম্মতিতে হ্যাঁ না বলো, কেউ তোমার কিচ্ছ করতে পারবে না। আর তালাকের নোটিশ দেয়ার আগে অবশ্যই স্বামীর নামে একটি জিডি করিয়ে রাখবে যে সে তোমাকে মারধোর করে এবং তোমার কিছু হলে তাঁর দায়। এই তালাকের ব্যবস্থা করে সোজা বাবার বাড়িতে চলে যাবে।
হ্যাঁ, গ্রাজুয়েশন সার্টিফিকেট অনেক বেশী গুরুত্বপূর্ণ। এটা ছাড়া তোমার আসলেই কোন মূল্য নেই চাকরির বাজারে। সম্ভব হলে নিজের ভার্সিটিতে গ্যাজুয়েশণ শেষ করার একটা ট্রাই করো। সেটা না পারলে উন্মুক্ত বিশ্ব বিদ্যালয়ের আন্ডারে গ্রাজুয়েশন শেষ করো। জীবনে এই জিনিসটা অনেক বেশী জরুরী। এই ফাঁকে কিছু টাকা যোগাড় করে একটা মেকআপ কোর্স বা মেহেদী কোর্স করে ফেলতে পারো। পারসোনা থেকে কোর্স করলে সার্টিফিকেট পাবে, এটা তোমাকে অন্য পার্লারে কাজ পেতে হেল্প করবে। তুমি নিজেও বাসায় বসেই নানান রকম পার্লারের কাজ করেতে পারবে। তাছাড়া অনেক মেয়েই মেহেদী লাগিয়ে ভালো উপার্জন করছেন। এছাড়াও ফ্রি ল্যান্সিং করার ট্রাই করতে পার। অনলাইনে অনেকে লেখালিখি করে উপার্জন করে। সেটাও করতে পার। টিউশনি করতে পার। তবে হ্যাঁ, যাই করো, সহজে কিছুই হবে না। কোন কাজকে ছোট ভাবলে এভাবেই কাটাতে হবে জীবন।
আসল ঘটনায় আসি- আমি খারাপ সময়গুলো face করতে ভয় পাই। যাই হোক আমি একটা well known private university-তে বি এস সি পড়ছিলাম কিন্তু কিছু personal mental problem এর কারণে আমি graduation complete করতে পারিনি (মাত্র ২টা semester বাকি ছিল) কিন্তু আজও এই কথা আমার বাবা মা কে বলতে পারিনি ভয়ে।
আমি এখন বিবাহিত বিয়ের বয়স ৮ মাস, পছন্দের বিয়ে। আমার স্বামী আমার এই দুর্বলতার কথা জানত। ওর সাথে যখন ভালবাসার সম্পর্ক ছিল তখন মাঝে মাঝে মাসে ২-১ বার অথবা ২ মাসে একবার ও আমাকে বলত জান আজকে একটু drinks করি বা dj party তে যাই। আমি নিষেধ করতাম না কারন ভাবতাম মাঝে মাঝে এমন করবেই আর খারাপ করুক ভাল করুক সে তো আমাকে জানিয়ে করে। ওকে আমি অনেক বিশ্বাস করতাম ভাবতাম যা বলে তাইতো করে।
কিন্তু বিয়ের ৩দিনের মাথায়ই আমার জামাই ঘরে বসে মদ খাওয়া শুরু করল। অনেক কান্না করতাম দিন দিন এর মাত্রা বেড়েই গেল অনেক বুঝালাম কোন কিছুতেই কাজ হচ্ছিলনা। এরপর আমার গায়ে হাত তোলেনা কিন্তু খুব মানুষিক অত্যাচার করে, সারারাত বসিয়ে রেখে আজেবাজে কথা বলে,ঘুমাতে দেয়না।
সে ইয়াবা খায় এটার effect যতক্ষণ থাকে ততক্ষণ অনেক উল্টাপাল্টা করে। এক পর্যায়ে আমি কিছু ব্যাপার আমার শাশুড়িকে জানাই কিন্তু উনি আমার সামনে আমাকে বুঝ দিলেও আড়ালে জামাইকে সব বলে দেয়।
বিশ্বাস করবা না আপু, ওইদিন রাত দেড়টা বাজে drinks করে এসে সারারাত আমার উপর মানুষিক অত্যাচার করেছে। কী ভাবে মারে জানো? আমার জিহবা বের করে ২ নখ দিয়ে জোরে চাপ দেয়, হাতে চাপ দেয়। আমি জোরে কথা বললেই বলে তোর গলা এত বড় কেন? এরপর আমি তওবা কাটসি জীবনেও ওর সম্পর্কে কারো কাছে বলবনা।
আমার পরিবারের মানুষকে জানাইসি কিন্তু নেশা করে তা বলিনি কিন্তু আমার family আমাকেই দুষে ,afterall নিজের পছন্দে বিয়ে করেছি। আসলে আমার পরিবার রাজি ছিলনা বাবাকে রাজি করতে ২ মাস সময় লেগেছিল। কারন ওরা আমাদের status এর সাথেও যায়না তবু আমার পছন্দ দেখে বিয়ে দিসে।
আর আমার বাবাকে এলাকার সবাই চিনে। আম্মু বলে আমি ২ হাজার মানুষের অনুষ্ঠান করে উঠিয়ে দিসি, এখন নিয়ে আসলে সমাজে কি বলব? এখন আমার শাশুড়ি ও আমাকে দোষে বলে তুমি খারাপ দেখে আমার ছেলে ভাল হয়না, তুমি ঘুমাও (সারারাত জাগিয়ে রাখলে কীভাবে সকালে উঠি) বলে সব দোষ তোমার , মানুষের বউরা কতকিছু করে ফেলে তুমি কিচ্ছু পারনা হাবিজাবি আর কথায় কথায় বলে বাপ মা শিখায় নাই
ঠিকমত অফিসে যায়না ঘুমায় আর শাশুড়ি সারাদিন চিল্লায়, ৮ মাসে মাত্র ৪ হাজার টাকা দিসে হাত খরচ এমনকি ঈদ ও কিছু দেয়নি, বেতন পেলেই টাকা দিয়ে উল্টাপাল্টা করে, ঘরে থাকেনা। খেলায় বাজি লেগে আমার গলার স্বর্ণের chain খুলে নিয়ে বন্ধক রাখসে। আমি আর পারতেসিনা।
সবাই বলে চাকরি কর। এখন বাসা থেকেও চাকরীর জন্য খুব pressure দিচ্ছে। কিন্তু কীভাবে করব,কে আমাকে চাকরি দিবে আজকাল graduation er certificate না থাকলে কোন দাম নেই, যতই talent থাকুক লাভ নেই। আমি photoshop, illustrator এই সব কাজও পারি। হয়তো আমার কাগজ নেই কিন্তু আমি unsmart বা uneducated নই। আপু অনলাইন business ও হয়না, সেভাবে ২-৩ বার করসি উল্টা টাকা লস হয়। আর আমার আব্বু আম্মুর কাছে টাকা চাইতে লজ্জা লাগে।কত জায়গায় কথা বলসি দেশের বাইরে চলে যাব কিন্তু কেও আশানুরূপ result দিতে পারেনি।
আমি জীবনে বাঁচতে চাই, নিজের একটা identity চাই। অনেকভাবে নিজের জীবনটা পালটানোর চেষ্টা করছি কিন্তু luck favor করেনা। আর আমি আমার স্বামীর সাথেও আর থাকতে চাইনা কিন্তু আমার পরিবার প্রতিবার আমাকে শ্বশুরবাড়ি পাঠিয়ে দেয়। আমি এবং আমার স্বামী এখন কেও কার সাথে কথাও বলিনা এইজন্য আমার শাশুড়ি আমাকে দোষে ।
আমার ভুলের জন্য আমার জীবনটা এখন একটা অভিশাপ। অনেক frustrated হয়ে গেছি আর পারছিনা, family support হারিয়ে ফেলেছি, মাঝে মাঝে ইচ্ছা করে আত্মহত্যা করি কিন্তু মুসলিম হিসাবে তাও পারিনা।কি করব এখন অনেক অসহায় হয়ে গেছি। অনেক ভাবি, অনেক কান্না করি কিন্তু কোন solution পাইনা। আমি কি কখনও আর ঘুরে দাঁড়াতে পারবনা? একটা চাকরির জন্য কি graduation certificate ই সব? আমার ভুলের মাসুল কি আমাকে সারাজীবন দিতে হবে?"
পরামর্শ:
আপু, প্রথমেই বলি যে আমি কোন মিথ্যা আশ্বাস দেব না। তুমি যে ভুল করে ফেলেছ, সেটার মাসুল আজীবন তোমাকে দিতে হবে। আর তোমার সবচাইতে বড় ভুল হচ্ছে মা বাবার সাথে মিথ্যাচার। দ্বিতীয় ও তৃতীয় বড় ভুল হচ্ছে লেখাপড়া শেষ না করা এবং ছেলেটির স্বভাব ভালো না জেনেও তাঁকে বিয়ে করা। জীবনে যেখানেই যাও না কেন, এই ভুলের ক্ষত চিহ্ন তোমাকে বহন করতেই হবে।
প্রথম কথা এই যে মা বাবার সাথে আর মিথ্যাচার করো না। হ্যাঁ, তারা ভাবছেন মাত্র ৮ মাস হলো বিয়ে হয়েছে, সময়ে ঠিক হয়ে যাবে। তারা এটাও ভাবছেন যে সমাজ কী বলবে। কিন্তু সত্য এই যে, যে মা বাবা তোমার পছন্দের সামনে নতি স্বীকার করে এই পরিবারে তোমাকে বিয়ে দিয়েছেন, তারা কখনোই তোমাকে ফেলে দেবেন না। তাদের কাছে গিয়ে ছেলেটির ইয়াবা খাওয়া, নেশা করা, মারধোরের কথা বল। সাথে এটাও বল যে তোমাকে ফেরত পাঠালে তুমি আত্মহত্যা করবে। একই সাথে নিজের বিয়ের কাবিন নামাটি যোগাড় করে ফেলো। (যে কাজী বিয়ে পড়িয়েছেন, সেই কাজী অফিসে গেলেই তুলতে পারবে যদি তোমার কাছে না থাকে)। মহিলা পরিষদে, কোন কাজী অফিসে বা উকিলের সাথে যোগাযোগ করে এক তরফা তালাক দিয়ে ফেলো স্বামীকে। সে তোমাকে মারধোর করে, এর চাইতে বড় কোন কারণেই দরকার নাই। এই এক তরফা তালাকে তারা কিচ্ছু করতে পারবে না, জোর করে নিতেও পারবে না। তুমি যদি নিজের সম্মতিতে হ্যাঁ না বলো, কেউ তোমার কিচ্ছ করতে পারবে না। আর তালাকের নোটিশ দেয়ার আগে অবশ্যই স্বামীর নামে একটি জিডি করিয়ে রাখবে যে সে তোমাকে মারধোর করে এবং তোমার কিছু হলে তাঁর দায়। এই তালাকের ব্যবস্থা করে সোজা বাবার বাড়িতে চলে যাবে।
হ্যাঁ, গ্রাজুয়েশন সার্টিফিকেট অনেক বেশী গুরুত্বপূর্ণ। এটা ছাড়া তোমার আসলেই কোন মূল্য নেই চাকরির বাজারে। সম্ভব হলে নিজের ভার্সিটিতে গ্যাজুয়েশণ শেষ করার একটা ট্রাই করো। সেটা না পারলে উন্মুক্ত বিশ্ব বিদ্যালয়ের আন্ডারে গ্রাজুয়েশন শেষ করো। জীবনে এই জিনিসটা অনেক বেশী জরুরী। এই ফাঁকে কিছু টাকা যোগাড় করে একটা মেকআপ কোর্স বা মেহেদী কোর্স করে ফেলতে পারো। পারসোনা থেকে কোর্স করলে সার্টিফিকেট পাবে, এটা তোমাকে অন্য পার্লারে কাজ পেতে হেল্প করবে। তুমি নিজেও বাসায় বসেই নানান রকম পার্লারের কাজ করেতে পারবে। তাছাড়া অনেক মেয়েই মেহেদী লাগিয়ে ভালো উপার্জন করছেন। এছাড়াও ফ্রি ল্যান্সিং করার ট্রাই করতে পার। অনলাইনে অনেকে লেখালিখি করে উপার্জন করে। সেটাও করতে পার। টিউশনি করতে পার। তবে হ্যাঁ, যাই করো, সহজে কিছুই হবে না। কোন কাজকে ছোট ভাবলে এভাবেই কাটাতে হবে জীবন।