‘বড় ছেলের বন্ধুর সাথে গভীর প্রেমে জড়িয়ে গিয়েছি...!’
জীবন থাকলে সম্পর্ক থাকবেই। আর সম্পর্ক থাকলে থাকবে সমস্যা। আর সম্পর্ক ভিত্তিক সেই প্রশ্নগুলোর উত্তরে পরামর্শ।
১) নীল তারা (ছদ্মনাম) নামক এক গৃহবধূ জানিয়েছেন নিজের একান্ত ব্যক্তিগত সমস্যার কথাটি।
"আমার বয়স প্রায় ৪৫। ইন্টার পড়ার সময়েই আমার বিয়ে হয় মা বাবার পছন্দে। বরের বয়স তখন ছিল ৩৫, আমার চাইতে অনেক বড়। তিনি দেখতেও ভালো ছিলেন না। তাঁকে আমার কখনোই ভালো লাগেনি। মা বাবার কারণে মুখ বুজে সহ্য করে গিয়েছি। ২০ বছর বয়সে আমার প্রথম সন্তান হয়, ছেলে। ওর বয়স এখন প্রায় ২৫। (আমার প্রেমিকও ২৫) আমার আরেকটি ছেলে আছে, ওর বয়স ১৮।
আমার স্বামী খুব ব্যস্ত মানুষ , বেশিরভাগ সময় দেশের বাইরে থাকেন। ছোট ছেলে দার্জিলিং-এ পড়াশোনা করে। বড় ছেলে ও আমি জীবনের বেশির ভাগ সময়টা একাই থেকেছি। ছেলের বন্ধুরা সব সময়েই বাড়িতে আসতো, আমি বাঁধা দিই নি। বছর তিনেক আগে ছেলের সাথে ভার্সিটির এক বন্ধু আসে। ছেলেটি ভীষণ সুন্দর দেখতে। এখানে বলে রাখি, আমিও যথেষ্ট রূপবতী। এখনো আমার বয়স বোঝা যায় না, ফিগারও আকর্ষণীয়।
ছেলেটি প্রথমদিন আসার পর থেকেই ঘনঘন বাসায় আসতে থাকে। সে আমাকে প্রচণ্ড গুরুত্ব ও সময় দিত। অনেক প্রশংসাও করতো। আমার ছেলে যখন বাসায় থাকত না, বেশিরভাগ ক্ষেত্রে তখনই আসত সেই বন্ধু।
আমাকে বলত ছেলেকে না বলতে, আমিও জানাতাম না। গল্প করতাম, খুব ভালো লাগত। এভাবে আমরা পরস্পরের প্রতি দুর্বল হয়ে পড়ি। ও বলে আমাকে না পেলে সে আত্মহত্যা করবে। আমি তার স্বপ্নের নারীর মত। তার আবেদনে সাড়া দিই। আমাদের মাঝে নিয়মিত শারীরিক সম্পর্ক হতে শুরু করে।
আমরা পরস্পরকে গভীরভাবে ভালোবেসে ফেলি। তার সাথে শারীরিক সম্পর্কটা আমি খুব উপভোগ করি, যা এত বছরের বিবাহিত জীবনে করিনি। আমরা পরস্পরকে ছাড়া থাকতে পারি না। আমার প্রতি ওর ভালোবাসাটাও খুব খাঁটি। ও আমাকে এখনই বিয়ে করতে চায়। বলে পরিবার সমাজ সব ছেড়ে দিবে। আমাকে নিয়ে দেশের বাইরে চলে যাবে। আমি ছেলেদের কথা ভেবে সিদ্ধান্ত নিতে পারি না।
এভাবেই চলছিল। কিন্তু ৩/৪ আগে একটি ভয়াবহ ঘটনা ঘটে। আমার ছেলের প্রেমিকা আমাদের সম্পর্কে জেনে যায়। আমার ছেলে, ছেলের বন্ধু, ছেলের প্রেমিকা ওরা সবাই সমবয়সী। একই সাথে লেখাপড়া করেছে। যেভাবেই হোক, মেয়েটি আমার প্রেমিকের মোবাইলে আমাদের কিছু ঘনিষ্ঠ ছবি দেখে ফেলে ও হুমকি দেয় যে আমার ছেলেকে সব জানিয়ে দেবে। মেয়েটি এখনো কিছু জানায় নি। কিন্তু জানিয়ে দিলে আমার মরে যাওয়া ছাড়া উপায় থাকবে না। আমি বুঝতে পারছি না এখন কী করবো। শুধু আত্মহত্যা করতে ইচ্ছা করে।"
পরামর্শ:
আপনার সমস্যাটি ভয়াবহ, যেদিকেই যান না কেন একটা না একটা বিপত্তি নিশ্চিত আপু। আমি বয়সে আপনার চাইতে অনেক ছোট, কী পরামর্শ দেব আমি নিজেও বুঝে উঠতে পারছি না। হ্যাঁ, ভালোবাসা যখন তখন হয়ে যেতে পারে। নিজের মনকে বেঁধে রাখা খুবই মুশকিল। কিন্তু নিজের ছেলের বন্ধুর সাথে পরকীয়ায় জড়িয়ে যাওয়াটা আসলে সব দিক দ্যেই অনুচিত কাজ হয়েছে বলে আমি মনে করছি। স্বামী বা সংসার না হোক, বয়সের পার্থক্য না হোক, অন্তত ছেলে কী মনে করবে বা সে জানলে কী হবে এটা ভাবা খুবই জঋ ছিল।
প্রেমিক আপনাকে আসলেই ভালোবাসে কিনা কিংবা আপনি তাঁকে বিয়ে করে সুখী হবেন কিনা, সেই প্রশ্ন এখন অবান্তর। এখন গুরুত্বপূর্ণ এটাই যে ছেলে জেনে গেলে কী হবে। ছেলের প্রেমিকা যেহেতু এখনো ছেলেকে জানায় নি, হয়তো সে মনে মনে কিছু ভাবছে। এই ক্ষেত্রে আমি মেয়েটির সাথে যোগাযোগ করতে পারেন। তাঁকে সমস্ত কিছু বুঝিয়ে বলে অনুরোধ করতে পারেন যেন ছেলেকে না জানায়। মেয়েত ছেলেকে ভালোবাসে, সে হয়তো চাইবে না ভালোবাসার মানুষটি এত প্রচণ্ড কষ্ট পাক।
একই সাথে আপু, আপনি নিজেও একটা সিদ্ধান্তে আসুন। স্বামী-সংসার ও পরকীয়ার প্রেমিক সব কিছু একসাথে পাওয়া যায় না। ভেবেচিন্তে নিজের জন্য যেটা ভালো, সেটাই করুন। যে কোন একটি পক্ষকে বেছে নিন, দুই নৌকায় পা দেয়ার ফলাফল কখনোই ভালো হয় না। এখনই একটি সিদ্ধান্ত না নিয়ে পরবর্তীতে অনেক বিশাল সামাজিক কেলেঙ্কারি হয়ে যাবে
১) নীল তারা (ছদ্মনাম) নামক এক গৃহবধূ জানিয়েছেন নিজের একান্ত ব্যক্তিগত সমস্যার কথাটি।
"আমার বয়স প্রায় ৪৫। ইন্টার পড়ার সময়েই আমার বিয়ে হয় মা বাবার পছন্দে। বরের বয়স তখন ছিল ৩৫, আমার চাইতে অনেক বড়। তিনি দেখতেও ভালো ছিলেন না। তাঁকে আমার কখনোই ভালো লাগেনি। মা বাবার কারণে মুখ বুজে সহ্য করে গিয়েছি। ২০ বছর বয়সে আমার প্রথম সন্তান হয়, ছেলে। ওর বয়স এখন প্রায় ২৫। (আমার প্রেমিকও ২৫) আমার আরেকটি ছেলে আছে, ওর বয়স ১৮।
আমার স্বামী খুব ব্যস্ত মানুষ , বেশিরভাগ সময় দেশের বাইরে থাকেন। ছোট ছেলে দার্জিলিং-এ পড়াশোনা করে। বড় ছেলে ও আমি জীবনের বেশির ভাগ সময়টা একাই থেকেছি। ছেলের বন্ধুরা সব সময়েই বাড়িতে আসতো, আমি বাঁধা দিই নি। বছর তিনেক আগে ছেলের সাথে ভার্সিটির এক বন্ধু আসে। ছেলেটি ভীষণ সুন্দর দেখতে। এখানে বলে রাখি, আমিও যথেষ্ট রূপবতী। এখনো আমার বয়স বোঝা যায় না, ফিগারও আকর্ষণীয়।
ছেলেটি প্রথমদিন আসার পর থেকেই ঘনঘন বাসায় আসতে থাকে। সে আমাকে প্রচণ্ড গুরুত্ব ও সময় দিত। অনেক প্রশংসাও করতো। আমার ছেলে যখন বাসায় থাকত না, বেশিরভাগ ক্ষেত্রে তখনই আসত সেই বন্ধু।
আমাকে বলত ছেলেকে না বলতে, আমিও জানাতাম না। গল্প করতাম, খুব ভালো লাগত। এভাবে আমরা পরস্পরের প্রতি দুর্বল হয়ে পড়ি। ও বলে আমাকে না পেলে সে আত্মহত্যা করবে। আমি তার স্বপ্নের নারীর মত। তার আবেদনে সাড়া দিই। আমাদের মাঝে নিয়মিত শারীরিক সম্পর্ক হতে শুরু করে।
আমরা পরস্পরকে গভীরভাবে ভালোবেসে ফেলি। তার সাথে শারীরিক সম্পর্কটা আমি খুব উপভোগ করি, যা এত বছরের বিবাহিত জীবনে করিনি। আমরা পরস্পরকে ছাড়া থাকতে পারি না। আমার প্রতি ওর ভালোবাসাটাও খুব খাঁটি। ও আমাকে এখনই বিয়ে করতে চায়। বলে পরিবার সমাজ সব ছেড়ে দিবে। আমাকে নিয়ে দেশের বাইরে চলে যাবে। আমি ছেলেদের কথা ভেবে সিদ্ধান্ত নিতে পারি না।
এভাবেই চলছিল। কিন্তু ৩/৪ আগে একটি ভয়াবহ ঘটনা ঘটে। আমার ছেলের প্রেমিকা আমাদের সম্পর্কে জেনে যায়। আমার ছেলে, ছেলের বন্ধু, ছেলের প্রেমিকা ওরা সবাই সমবয়সী। একই সাথে লেখাপড়া করেছে। যেভাবেই হোক, মেয়েটি আমার প্রেমিকের মোবাইলে আমাদের কিছু ঘনিষ্ঠ ছবি দেখে ফেলে ও হুমকি দেয় যে আমার ছেলেকে সব জানিয়ে দেবে। মেয়েটি এখনো কিছু জানায় নি। কিন্তু জানিয়ে দিলে আমার মরে যাওয়া ছাড়া উপায় থাকবে না। আমি বুঝতে পারছি না এখন কী করবো। শুধু আত্মহত্যা করতে ইচ্ছা করে।"
পরামর্শ:
আপনার সমস্যাটি ভয়াবহ, যেদিকেই যান না কেন একটা না একটা বিপত্তি নিশ্চিত আপু। আমি বয়সে আপনার চাইতে অনেক ছোট, কী পরামর্শ দেব আমি নিজেও বুঝে উঠতে পারছি না। হ্যাঁ, ভালোবাসা যখন তখন হয়ে যেতে পারে। নিজের মনকে বেঁধে রাখা খুবই মুশকিল। কিন্তু নিজের ছেলের বন্ধুর সাথে পরকীয়ায় জড়িয়ে যাওয়াটা আসলে সব দিক দ্যেই অনুচিত কাজ হয়েছে বলে আমি মনে করছি। স্বামী বা সংসার না হোক, বয়সের পার্থক্য না হোক, অন্তত ছেলে কী মনে করবে বা সে জানলে কী হবে এটা ভাবা খুবই জঋ ছিল।
প্রেমিক আপনাকে আসলেই ভালোবাসে কিনা কিংবা আপনি তাঁকে বিয়ে করে সুখী হবেন কিনা, সেই প্রশ্ন এখন অবান্তর। এখন গুরুত্বপূর্ণ এটাই যে ছেলে জেনে গেলে কী হবে। ছেলের প্রেমিকা যেহেতু এখনো ছেলেকে জানায় নি, হয়তো সে মনে মনে কিছু ভাবছে। এই ক্ষেত্রে আমি মেয়েটির সাথে যোগাযোগ করতে পারেন। তাঁকে সমস্ত কিছু বুঝিয়ে বলে অনুরোধ করতে পারেন যেন ছেলেকে না জানায়। মেয়েত ছেলেকে ভালোবাসে, সে হয়তো চাইবে না ভালোবাসার মানুষটি এত প্রচণ্ড কষ্ট পাক।
একই সাথে আপু, আপনি নিজেও একটা সিদ্ধান্তে আসুন। স্বামী-সংসার ও পরকীয়ার প্রেমিক সব কিছু একসাথে পাওয়া যায় না। ভেবেচিন্তে নিজের জন্য যেটা ভালো, সেটাই করুন। যে কোন একটি পক্ষকে বেছে নিন, দুই নৌকায় পা দেয়ার ফলাফল কখনোই ভালো হয় না। এখনই একটি সিদ্ধান্ত না নিয়ে পরবর্তীতে অনেক বিশাল সামাজিক কেলেঙ্কারি হয়ে যাবে
No comments:
Post a Comment