Saturday, June 6, 2015

যে কারণে ভেঙে গেল হৃদয়-সুজানার সংসার



যে কারণে ভেঙে গেল হৃদয়-সুজানার সংসার



ঢাকা, ০৮ এপ্রিল- প্রেমের সফল পরিণতি পরিণয়ের বাঁধনে আবদ্ধ হয়েছিলেন দুই অঙ্গনের দুই তারকা হৃদয় খান সুজানা জাফর। তবে বছর পেরোবার আগেই বেজে উঠেছে ভাঙনের সুর। তালাকনামায় স্বাক্ষর করে ভিন্ন পথে চলা শুরু করলেন দুজন। বন্ধুত্ব প্রেম পর্বে একে অন্যকে জেনে বুঝে তবেই তো বিয়ের সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন এই জুটি
তবে ঠিক কি কারণে দুজনের পথ দুদিকে বেঁকে গেল?
বেশ কিছুদিন ধরেই গুঞ্জন শোনা যাচ্ছিলো, টিকবে না হৃদয় সুজানার সংসার। তাদের সম্পর্ক নাকি ভালো যাচ্ছে না। তবে কাছের মানুষেরা বিচ্ছেদের আগাম সংবাদ জানতে পারলে তা ছড়িয়ে পড়ে মিডিয়ায়। বিষয়টি নিয়ে হৃদয় সুজানার সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে ভিন্ন ভিন্ন প্রতিক্রিয়া পাওয়া যায়। হৃদয় মুখ খুলতে নারাজ, এমনকি তার পরিবারের সদস্যবৃন্দও এক কথায় বলে দিয়েছেন, ‘নো কমেন্টস
ওদিকে সুজানার সঙ্গে কথা হলে তিনি পরিষ্কার ভাষায় বলেন, ‘সব মেয়েই চায় তার সংসার জীবনকে টিকিয়ে রাখতে। আমিও তার ব্যতিক্রম নই। আমি মনে প্রাণে দোয়া করি যেন সবকিছু আগের মতো ঠিক হয়ে যায়। সংসার জীবনে মনমালিন্য ঝগড়া থাকবেই।  আমি কখনো ডিভোর্স বা বিচ্ছেদ চাই না
কথা বলার ঠিক একদিন পরেই এপ্রিল বিকেল টায় কাজী অফিসে তালাকনামায় স্বাক্ষর করেন হৃদয়। দেরীতে হলেও একই কাগজে সই করে সম্পর্কচ্ছেদ করেন সুজানা। বিয়ের ভাঙন নিয়ে সুজানা মুখ খুললেও চুপ ছিল হৃদয়। যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন থাকলেও বিচ্ছেদের দিন রাতে একটি ভিডিও আপলোড করেন হৃদয়। সকলের উদ্দেশ্যে সেই ভিডিওতে ডিভোর্সের আনুষ্ঠানিক ঘোষণা দেন তিনি। প্রশ্ন আসে, আত্মগোপন করে ভিডিওর মাধ্যমে বিচ্ছেদের খবর বলার যুক্তি কি? তিনি কি আড়ালে থেকেই আত্মপক্ষ সমর্থনের চেষ্টা করছেন?
যৌথ সম্মতিতেই বিবাহিত জীবনের ইতি টেনেছেন তারা- তবে কারণ গুলো নিয়ে কিছু মন্তব্য করেছেন সুজানা, কিছু কথা শোনা যাচ্ছে বিভিন্ন সূত্রথেকে। মূলত বদলে যাওয়া হৃদয়ের ব্যবহার, মানসিকতা তার পরিবারের অনাগ্রহের কারণেই এই ভাঙন- এমন কথাই শোনা যাচ্ছে। একই কথা শোনা গেছে সুজানার মুখেও

বিয়ের আগে ভালোবাসার কথা খুব বলতো। কিন্তু বিয়ের পর পুরোই বদলে গেছে হৃদয়। অনেক পরিবর্তন এসেছে তার মধ্যে। স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে মনের মিল থাকাটা অনেক জরুরি। যেটা প্রথম দিকে ছিল হৃদয়ের। কিন্তু বিয়ের পর থেকে আর মিল হচ্ছিল না আমাদের। সে তো নিজেই পরিবার থেকে আলাদা থাকতো। তার পরিবার আমাকে কখনোই ভালোভাবে গ্রহণ করেনি। হৃদয় অনেকবার বলেছে প্রোগ্রাম করে আমাকে নিয়ে তার পরিবারের সঙ্গে উঠবে। কিন্তু সেটা কখনোই হয়নি। সে আমাকে, আমার পরিবারকে অসম্মানের চোখে দেখে। তবে একটা কথা ভেবে পাচ্ছি না এতো বড় একটা সিদ্ধান্ত হৃদয় কিভাবে এতো সহজে নিতে পারলো? দোয়া করি হৃদয় যেন ভালো থাকে সবসময়।’- বাংলামেইলকে বলেন সুজানা
তিনি আরও জানান, নিজ পরিবারের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী মনের মানুষকে বিয়ে করেছিলেন। এবার পরিবারের সম্মতিতেই হৃদয়কে মুক্ত করলেন। কারণ পরিবারের মূল্য তিনি বোঝেন। হৃদয় এর চেয়ে অনেক ম্যাচিউরড সুজানা
জানা গেছে, বিয়ের কিছুদিন পর থেকে স্বাধীনভাবে কোন কাজ করার অধিকার ছিল না সুজানার। নানান বিষয়ে সুজানাকে বাঁধা দিতেন হৃদয়। পেশাগত দুনিয়া কিংবা ব্যক্তিগত ইচ্ছা অনিচ্ছার কোন দাম ছিল না তার কাছে। হৃদয়ের চেয়ে সুজানা বয়সে বড় হওয়ায় বিয়েটা মেনে নেননি হৃদয়ের পরিবারের সদস্যরা। তাই নিজের বাড়ি ছেড়ে রাজধানীর মিরপুরের রুপনগরে বাসা ভাড়া করে থাকতেন হৃদয়। নারীঘটিত কিছু ব্যাপার নিয়েও মনোমালিন্য চলছিল দম্পতির। দিনের পর দিন বাড়ির বাইরে কাটাতেন হৃদয়। সুজানার পরিবার চেষ্টা করেছে সংসারকে টিকিয়ে রাখতে। তবে হৃদয়ের পরিবার যেহেতুনো কমেন্টসমতাদর্শের, তাই ভাঙন ঠেকাতে কোন পদক্ষেপ নেননি তারা। এমনকি এমন কথাও শোনা যায়, নিয়মিত সুজানাকে মারধর করতেন হৃদয়
তারকা জুটির প্রেম বরাবরই আলোচিত বিষয়। হৃদয়-সুজানার প্রেমকাহিনী ব্যতিক্রম ছিলনা। তবে বহুবার তারা এড়িয়ে গিয়েছেন সম্পর্কের সত্যতাকে। নিছক বন্ধুত্বের আড়ালে লুকিয়েছেন নিজেদের প্রেম। অবশেষে গত বছর আগস্ট অনাড়ম্বর আনুষ্ঠানিকতায় বিয়ের পিঁড়িতে বসেন তারা। বিয়ের আট মাস না পেরোতেই আলাদা হয়ে গেছেন তারা
ভালোবাসার সংসার বাস্তবতার ঝড়ে উড়ে গেছে তাসের ঘরের মত। কি তাদের ভবিষ্যৎ? তা সময় বলে দেবে

No comments:

Post a Comment