হোসে মুজিকা: ফুল বিক্রেতা থেকে যেভাবে প্রেসিডেন্ট হলেন
একজন প্রেসিডেন্ট কি পরিমাণ সম্মানীয় ব্যক্তি হতে পারে তা আমরা সকলেই জানি। সাধারণত প্রেসিডেন্টদের বাসভবন আলিশান হয়ে থাকে, পোশাক-আশাকে পরিপাটি থাকে, চলাফেরায় দামি গাড়ি ব্যবহার করে থাকে, আর তার নিরাপত্তায় চারপাশে নিরাপত্তা কর্মীগণ ব্যস্ত থাকে। তবে এর ব্যতিক্রমও পৃথিবীতে রয়েছে। সেরকম এক ব্যতিক্রম প্রেসিডেন্টের জীবনের কিছু তথ্য এই পেজটিতে তুলে ধরা হয়েছে।
‘হোসে মুজিকা’ উরুগুয়ের বর্তমান প্রেসিডেন্ট। ২০০৯ সালের নির্বাচনের মাধ্যমে তিনি দেশটির প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হন। প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হওয়ায় তিনি যতটা না আলোচিত হয়েছিলেন, তার জীবনযাপনের ধরণ তাকে বিশ্ব মিডিয়ায় তার চেয়েও বেশি আলোচনায় নিয়ে আসে। হোসে আলবার্তো 'পেপে' মুজিকা কর্ডানো, উরুগুয়ের চল্লিশতম প্রেসিডেন্ট। ১৯৩৫ সালের ২০ মে উরুগুয়ের মোন্তেবিদেও নামক স্থানে এই মহানায়কের জন্ম।
উরুগুয়ের সংক্ষিপ্ত পরিচিতি:
উরুগুয়ে ইউরোপিয়ান অঞ্চলের লাতিন আমেরিকার একটি দেশ। দক্ষিণ আমেরিকা মহাদেশের দক্ষিণ-পূর্ব উপকূলে ব্রাজিল ও আর্জেন্টিনার মধ্যে অবস্থিত একটি দেশ। এটি দক্ষিণ আমেরিকার দ্বিতীয় ক্ষুদ্রতম দেশ।
হোসে মুজিকার জীবনের শুরুর গল্প:
হোসে মুজিকার বয়স যখন আট বছর তখন তার বাবা মারা যান। সংসারে নেমে আসে চরম দারিদ্র্য। এই সময় তিনি স্থানীয় এক বেকারির ডেলিভারি বয় হিসেবে কাজ শুরু করেন। আবার কখনো কখনো হোটেল বয় হিসেবেও কাজ করেন। এসবের পাশাপাশি বাড়ির পিছনে বয়ে যাওয়া খাঁড়ি থেকে অ্যারাম লিলি ফুল তুলে বিক্রি করেও সংসারের খরচ যোগান। এভাবেই দারিদ্র্যের সঙ্গে পাল্লা দিয়ে এগিয়ে যেতে থাকে তার জীবন। তরুণ বয়সে বাম চরমপন্থী নেতা হিসেবে উরুগুয়ের ত্রাস হয়ে ওঠেন তিনি। কারণ তিনি ছিলেন জনপ্রিয় বামপন্থী নেতা এনরিকে এরোর সহযোগী। কিন্তু চে গেভোরার সংস্পর্শে এসে পরিবর্তন ঘটে তার চিন্তাধারার। পঞ্চাশের দশকের শেষে তীব্র মুদ্রাস্ফীতি ও রুগ্ন অর্থনীতির চাপে পড়ে মহাসঙ্কটে পড়ে উরুগুয়ে। এই সময় চে-র ভাবাদর্শে উদ্বুদ্ধ হয়ে নতুন কিছু করার তাগিদ অনুভব করেন মুজিকা ও তার সঙ্গীরা।
এর পরের জীবন:
নতুন কিছু করার তাড়না থেকে মুজিকা ও তার সঙ্গীরা শোষণের বিরুদ্ধে লড়াই করা শুরু করেন। পেরুর কিংবদন্তী বিপ্লবী চরিত্র দ্বিতীয় টুপাক আমারুর নামানুকরণে তাদের হাতেই জন্ম নেয় গেরিলা বাহিনী ‘টুপামারো’। অত্যাচারীর নিধন ও দরিদ্রের পালন নীতিতে বিশ্বাসী টুপামারোদের জনপ্রিয়তা উরুগুয়ের নিম্ন ও মধ্যবিত্ত সমাজে বাড়তে থাকে হু হু করে। ১০০ জনেরও কম মানুষ নিয়ে তাঁরা সেসময় কাঁপন ধরিয়ে দিয়েছিলেন অত্যাচারী শাসকদের মনে। তারা ব্যাংক লুট করে বিত্তশালীদের অবৈধ অর্থ দরিদ্রদের উন্নয়নে ব্যয় করেন। শুধু তাই নয়, ধনী ব্যবসায়ীদের খুন করে তাদের সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত করা, দামী ক্যাসিনো দখল করে প্রতিষ্ঠানের কর্মীদের টাকা পাঠানো প্রভৃতি কাজ করতে থাকে। ১৯৬৯ সালে যে কারণে টাইমস ম্যাগাজিনে তাদেরকে আখ্যায়িত করা হয়েছিল ‘রবিন হুড গেরিলা’ হিসেবে। ১৯৬০-এর দশকের মাঝামাঝি থেকে ১৯৭০-এর দশকের শুরুর সময় পর্যন্ত স্থায়ী ছিল উরুগুয়ের শহরভিত্তিক এই বিদ্রোহ।
বন্দী জীবন:
এক সময় তাদের দলের মধ্যে বিশৃঙ্খলা দেখা দেয়। একারণে গতি হারায় তাদের বিপ্লব। ভাঙন শুরু হয় তাদের মধ্যে। সমাজের মঙ্গল করার বদলে তারা শুধু শুধু মানুষ অপহরণ ও খুনের কারণে জনপ্রিয়তা হারাতে শুরু করে তাদের গড়া সংগঠন ‘টুপামারো’। ১৯৭০ সালের মার্চে এক পানশালায় পুলিশের সঙ্গে গুলির লড়াইয়ের পর গ্রেপ্তার হন এল পেপে। তার পেটে মোট ৬টি গুলি ঢোকে। গ্রেপ্তারের পর তার ঠাঁই হয় মন্টেভিডিও শহরের পান্টা ক্যারেটাস কারাগারে। সেখান থেকে দু’বার পালিয়ে গিয়েও ১৯৭২ সালে ফের ধরা পড়েন মুজিকা। ১৯৭৩ সালের জুনে সেনাবাহিনী ক্ষমতা গ্রহণ করে একটি ক্যুয়ের মাধ্যমে। যার পরিণতি হিসেবে জেলে বন্দী মুজিকাদের জন্য অপেক্ষা করছিল ভয়াবহ বিভীষিকা। তাঁকেসহ মোট নয়জন টুপামারোসকে বিশেষভাবে সনাক্ত করে ছুঁড়ে ফেলা হয় সলিটারি সেলে। অন্ধকারাচ্ছন্ন, দমবন্ধকর পরিস্থিতিতে বছরের পর বছর থাকতে থাকতে কেউ কেউ উন্মাদ হয়ে গিয়েছিল।
বন্দি জীবনের অবসান ও প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হওয়া:
দীর্ঘ ১৪ বছর বন্দি জীবনের পর ১৯৮৫ সালে এসে মুক্তি পান মুজিকা।১৯৮৪ সালে গণ অভ্যুত্থানের পর একনায়কতন্ত্রের অবসান ঘটার মাধ্যমে তিনি মুক্তি পান। জেল থেকে মুক্ত হওয়ার পর খুব দ্রুতই জনপ্রিয় রাজনীতিবিদ হয়ে ওঠেন মুজিকা। গণতান্ত্রিক রাজনীতির ধারায় ফিরে আসেন মুজিকা। জনপ্রিয় হয়ে ওঠার পেছনে পুরোনো দিনের সেই রবিন হুড গেরিলা ভাবমূর্তিও হয়তো একটা বড় অবদান রেখেছে। ৮০ ও ৯০-এর দশকে উরুগুয়ে শাসন করে কলরাডো পার্টি। ১৯৯৪ সালের নির্বাচনে জয়ের কাছাকাছি এসেও হার মানে ব্রড ফ্রন্ট। তবে ৯৯ জন সাংসদের পার্লামেন্টে ঠাঁই হয় দু’জন প্রাক্তন টুপামারো নেতার। এদেরই একজন হোসে মুজিকা। ২০০৫ সালে উরুগুয়ের প্রভাবশালী কলোরাডো ও ন্যাশনাল পার্টির জোটকে হারিয়ে ক্ষমতায় বসে বামপন্থী জোট ব্রড ফ্রন্ট। প্রেসিডেন্ট পদে অভিষিক্ত হন তাবারে ভাসকুয়েজ। হোসে মুজিকা ২০০৫-২০০৮ সাল পর্যন্ত পশুসম্পদ, কৃষি ও মৎস্য মন্ত্রীর দায়িত্ব পালন করেন। শুধু তাই নয়, পরে তিনি সিনেটর হিসেবেও দায়িত্বে ছিলেন। বোর্ড ফ্রন্টের প্রার্থী হিসেবে তিনি ২০০৯ সালের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে জেতেন এবং ১ মার্চ ২০১০ সালে উরুগুয়ের কার্যভার গ্রহণ করেন।
জনপ্রিয়তার কারণ:
মুজিকার তুমুল জনপ্রিয়তার পিছনে রয়েছে তার ঠোঁটকাটা কথা, আদর্শবাদী ভাবমূর্তি এবং সহজ-সরল জীবন-যাপন। তার অনুগামীদের মতে, এল পেপে মুখে যা বলেন, কাজেও তা করে দেখান। সাধারণ পোষাকে চলতি ভাষায় অবিশ্রান্ত গালাগালিতে ভরপুর তার বক্তৃতা রাতারাতি জনপ্রিয়তা পায়। উল্টো দিকে, সমালোচকরা বলেন, মুজিকার আগাগোড়াই অভিনেতা। আদতে তিনি এক পাগলাটে, বাতিকগ্রস্ত বুড়ো যিনি এখন বন্দুক ও বিপ্লব, দু’টোই সরিয়ে রেখেছেন। নিন্দুকদের কথায় অবশ্য আদৌ আমল নেন না প্রেসিডেন্ট। স্পষ্টবক্তা হিসেবে বরাবরই বিতর্ক উস্কে দিয়েছেন তিনি। ক্ষমতায় এসে একদিকে যেমন দেশে গাঁজার চাষ ও বিপণনকে বৈধতা দিয়েছেন, তেমনই গর্ভপাত এবং সমকামী বিবাহকেও আইনি অনুমোদন প্রদান করেছেন। আবার এই মুজিকাই জাতিসঙ্ঘের সভায় ভাষণ দিতে গিয়ে সদস্যদের বলেন, ‘বিপুল অর্থব্যয়ে আয়োজিত বৈঠকে যাওয়া বন্ধ করুন। ওখানে কাজের কাজ কিছুই হয় না।’ সম্প্রতি (নভেম্বর, ২০১৪) এক জনমত জরিপে দেখা গেছে, উরুগুয়েতে হোসে মুজিকার জনপ্রিয়তা প্রায় ৬০ শতাংশ।
প্রেম-ভালোবাসা এবং বিয়ে:
দীর্ঘ ঝড়ঝঞ্ঝাময় জীবনে প্রেম এসেছিল মুজিকারও। তারই এক বিপ্লবী সতীর্থ লুসিয়া টোপোল্যানস্কির সঙ্গে মন দেয়া-নেয়ার কাজটি সেরে ফেলেন তিনি। দীর্ঘ বিশ বছর প্রেমের পর ২০০৫ সালে এসে বিয়ে করেন তারা। আসলে বিয়ে করার মতো তেমন কোনো সুযোগই তারা এতোদিন পাননি।
অনাড়ম্বর জীবনযাপন:
শৈশব থেকেই দারিদ্রের কষাঘাতে জর্জরিত মুজিকা দেশের প্রেসিডেন্ট হওয়ার পরও বদলাননি তার জীবনযাপনের ধরন। ১৯৯৪ সালে যখন উরুগুইয়ান পার্লামেন্টে জায়গা করে নেন সেই সময় প্রতিদিন নিজের লড়ঝড়ে স্কুটার চেপেই পার্লামেন্টে যাতায়াত করতেন তিনি। বিয়ের পর ফুলের বাগান ঘেরা শহরতলির তিন কামরার টিনের চালওয়ালা ভাঙাচোরা বাড়িতে কুকুর-বিড়াল-মুরগি আর ভেড়াদের নিয়ে সুখে সংসার পেতেছেন তারা। প্রতিবেশীরা বেশির ভাগই সমবয়সী বৃদ্ধ-বৃদ্ধা। কোন সশস্ত্র দেহরক্ষী নেই সেখানে। চোখ ধাঁধানো লিম্যুজিন বা সালোঁ নয়, ঘোরাফেরার জন্য তার নিত্যসঙ্গী ২৫ বছরের পুরনো ভোক্সওয়াগান বীটল। উরুগুয়ের প্রেসিডেন্ট হিসেবে তার মাসিক বেতন প্রায় ১২ হাজার ডলার এবং এ আয়ের শতকরা ৯০ ভাগই তিনি দান করে দেন রাষ্ট্রীয় কোষাগারে। এই ৯০ ভাগ ব্যয় করা হয় গরিবদের সহায়তা এবং ছোট বিনিয়োগের উদ্দেশ্যে দেশের সামাজিক সেবামূলক সংস্থায়। অবিশ্বাস্য হলেও সত্য যে নিজ বেতনের মধ্য থেকে তিনি নিজের জন্য অবশিষ্ট রাখেন মাত্র ৭৭৫ ডলার। এই অনাড়ম্বর জীবন যাপনের জন্য সারা বিশ্বে তিনি পরিচিত বিশ্বের দরিদ্রতম প্রেসিডেন্ট হিসেবে। তার স্ত্রীর নাম লুসিয়াও এবং নিঃসন্তান এই দম্পতির সবচেয়ে দামি সম্পত্তি হলো ১৯৮৭ সালে কেনা মাত্র এক হাজার নয়শ ডলারের একটি গাড়ি। উরুগুয়ে প্রশাসনের সর্বোচ্চ ক্ষমতাধর এই ব্যক্তির বসবাসের খামার বাড়িটি দেখলে যে কেউ ভূতেরবাড়ি বলে ভুল করতে পারে। বিলাসবহুল প্রাসাদে থাকার বদলে তিনি বেছে নিয়েছেন নিতান্তই এক সাধারণ জীবন। এখনও কর্দমাক্ত পথ পেরিয়েই নিজের খামার বাড়িতে পৌঁছাতে হয় তাকে। এই অর্ধ-পরিত্যক্ত খামার বাড়ির মালিক তিনি নন, তার স্ত্রী। প্রেসিডেন্ট হওয়া সত্ত্বেও খামারে স্ত্রীর সঙ্গে নিয়মিত কৃষিকাজ করেন তিনি। খামারে চাষ করছেন বিভিন্ন রকমের ফুল। বিশ্বের সবচেয়ে দরিদ্র এই প্রেসিডেন্টের নিরাপত্তার জন্য নিয়োজিত আছে মাত্র দুজন পুলিশ আর ম্যানুয়েলা নামের একটি কুকুর। তার দীর্ঘদিনের বিশ্বস্ত আদরের এই কুকুরটির একটি পা খোঁড়া। নিজেকে সব সময় ঋণমুক্ত রেখেছেন, আর তাই এক সময়কার বামপন্থি গেরিলা নেতা হোসে মুজিকার নামে কোনো ঋণ নেই, এমনকি নেই তার কোনো ব্যাংক অ্যাকাউন্টও। এমনকি নিজেকে একজন কৃষক হিসেবে পরিচয় দিতেই সবচেয়ে স্বাচ্ছন্দ্যবোধ করেন তিনি। মাথায় ভরা এলোমেলো ধূসর চুল, ক্ষুদে ক্ষুদে চোখ, কাঁচাপাকা পুরু গোঁফজোড়া, দশাসই চেহারা দেখে বয়সটা অনুমান করা মুশকিল। দেশের সর্বোচ্চ পদে আসীন হয়েও নিজের জীবন যাপনের ধারা বদলাতে রাজি হননি তিনি। সেই কারণেই বিলাসবহুল আড়ম্বর ছেড়ে নিজের পুরনো বাড়ি-গাড়ি-খামার নিয়েই দিব্যি ভালোই আছেন মুজিকা, দেশবাসী যাকে আদর করে ডাকেন ‘এল পেপে’। ২০১২ সালে তিনি সংবাদ শিরোনাম হয়েছিলেন ‘বিশ্বের সবচেয়ে গরীব প্রেসিডেন্ট’ হিসেবে। তবে পুরো বিশ্ব বললেও নিজেকে কিন্তু গরিব ভাবেন না মুজিকা। আল জাজিরাকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে তিনি বলেছিলেন, ‘আমার কাছে গরীব হচ্ছে তারাই যারা খুবই বেশি বেশি চায়। কারণ যাদের চাওয়া অনেক বেশি, তারা কখনোই তৃপ্ত হয় না।’
প্রতিবছর উরুগুয়ের কর্মকর্তাদের সম্পদের বিবরণী প্রকাশ বাধ্যতামূলক। এরই ধারাবাহিকতায় ২০১০ সালে প্রেসিডেন্ট তাঁর সম্পদের পরিমাণ দেখান এক হাজার ৮০০ মার্কিন ডলার। যা কিনা তাঁর ১৯৮৭ মডেলের ভক্সওয়াগন বিটল গাড়িটির দাম। ২০১২ সালের বিবরণীতে স্ত্রীর অর্ধেক সম্পদ যুক্ত করেছেন। এই সম্পদের মধ্যে রয়েছে জমি, ট্রাক্টর ও বাড়ির দাম। এতে তাঁর মোট সম্পদ দাঁড়িয়েছে দুই লাখ ১৫ হাজার ডলার, যা এখনো দেশটির ভাইস প্রেসিডেন্টের ঘোষিত সম্পদের মাত্র দুই-তৃতীয়াংশ।
গাড়িটিও বিক্রি করে দিতে চলেছেন:
মুজিকার অন্যতম সম্পদ বিটল কার। তবে সেটিও বোধহয় আর থাকবে না প্রেসিডেন্টের কাছে। ওই কারের জন্য ১০ লাখ ডলারের অফার পেয়েছেন তিনি। আর সহাস্যে তিনি তা বেঁচেও দিতে চান! বাসকোয়েডা ম্যাগাজিনকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে উরুগুয়ের প্রেসিডেন্ট বলেছেন, কারটি বিক্রি করলে ১০ লাখ ডলার পাবেন তিনি। এক আরব শেখ তাকে এ অফার দিয়েছেন। হোসে মুজিকা এও বলেছেন, তিনি অফারটি গ্রহণ করবেন কিনা ভাবছেন। আর যদি সত্যিই তিনি কারটি বিক্রি করেন তাহলে প্রাপ্ত টাকা তিনি গরীবদের সাহায্যে বিলিয়ে দেবেন। প্রেসিডেন্ট বলেন, গাড়ির সঙ্গে তার এমন কোনো প্রতিশ্রুতি নেই যে তা বিক্রি করা যাবে না। বরং হাসি মুখেই তিনি গাড়িটি বিক্রি করতে চান। আর সেই টাকা বিলিয়ে দিতে চান আশ্রয়হীনদের জন্য, যেন তারা মাথা গোঁজার ঠাঁই পান। অবশ্য মজা করে মুজিকা বলেন, গাড়িটি তিনি তার প্রিয় কুকুর ম্যানুলার জন্য রেখে দিতে চেয়েছিলেন।
No comments:
Post a Comment