Friday, March 5, 2021

ঘুমানোর আগে লবঙ্গ খেলে ম্যাজিকের মতো যে কাজ করে

 লবঙ্গ মসলা হিসেবে সকলের পরিচিত। লবঙ্গের বৈজ্ঞানিক নাম সিজিজিওমোরোমেটাম। লবঙ্গ গাছের ফুলের কুড়িকে শুকিয়ে তৈরি করা হয়।লবঙ্গকে লং বলেও ডাকা হয়।লবঙ্গের সুগন্ধের মূল কারণ ‘ইউজেনল’ নামের যৌগ।এটি লবঙ্গ থেকে প্রাপ্ত তেলের মূল উপাদান, এবং এই তেলের প্রায় ৭২-৯০% অংশ জুড়ে ইউজেনল বিদ্যমান। এই যৌগটির জী’বাণুনাশক এবং বে’দনা নাশক গুণ রয়েছে।লবঙ্গের তেলের অন্যান্য গু’রুত্ব পূর্ণ উপাদান হলো অ্যাসিটাইল ইউজেনল, বেটা-ক্যারোফাইলিন, ভ্যানিলিন, ক্র্যাটেগলিকঅ্যাসিড, ট্যানিন,গ্যালোট্যানিক অ্যাসিডর্যা ম্নেটিন, ইউজেনটিন, ট্রি-টেরপেনয়েড, ক্লিনোলিক অ্যাসিড,স্টিগ্মাস্টেরল, সেস্কুইটার্পিন।১০০ গ্রাম লবঙ্গে ৬৫ গ্রাম কার্বোহাইড্রেট, ৬ গ্রাম প্রোটিন, ১৩ গ্রাম টোটাললিপিড, ২ গ্রাম সুগার, ২৭৪ কিলো-ক্যালোরি শ’ক্তি ও ৩৩ গ্রাম ডায়েটারিফাইবার থাকে।, মিথাইল স্যালিসাইলেট, ফ্ল্যাভানয়েড, ইউজেনিন,খনিজে’র মধ্যে ক্যালসিয়াম, আয়রন, ম্যাগনেশিয়াম, ফসফরাস, পটাশিয়াম, সোডিয়াম, জিঙ্ক –কমবেশি সবই আছে। আর ভিটামিনের মধ্যে উল্লেখযোগ্য বি-৬, বি-১২, সি, এ, ই, ডি, কে, থায়ামিন, রাইবোফ্লাভিন, নিয়াসিন, ফোলেট রয়েছে। এই সব যৌগের অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট বৈশিষ্ট্য আছে।লবঙ্গের গুণাগুণ শুধু রান্নাতেই নয়, তার বাইরেও আছে। সুস্বা’স্থ্যে জন্য লবঙ্গ নানা ভাবে আমাদের উপকারে আসে। গবেষণায় বারবার প্রমাণিত,রো’গ নিরাময়ে লবঙ্গের যথেষ্ট কা’র্যকারিতা রয়েছে।লবঙ্গে ম্যাঙ্গানিজ থাকায় মস্তিষ্কের বিভিন্ন কাজক’র্ম সুষ্ঠু রাখতে ও হাড় শক্ত ক’রতে এই উপাদান খুব জ’রুরি। ম্যাঙ্গানিজে’র একটি উৎকৃষ্ট উৎস হললবঙ্গ। লবঙ্গে প্রচুর পরিমাণে অ্যান্টি-অক্সিড্যান্ট থাকে, যা ফ্রি র্যাডিকলস কমাতে সাহায্য করে। লবঙ্গের একটি উপাদান হল ইউজেনল, যা প্রাকৃতিক অ্যান্টি- অক্সিডেন্ট হিসেবে কাজ করে।প্রত্যেক দিন ব্য’ক্তির রাতে ঘুমানোর আগে ১টি লবঙ্গ ও ১ গ্লাস গরম পানি পান করলে বিভিন্ন ধ’রনের রো’গের থেকে মু’ক্তি পাওয়া যাবে সহজেই।
লবঙ্গ হজ’ম প্রক্রিয়া উন্নত ক’রতে সাহায্য করে। যেমন- গ্যাস, বমিভাব এবং বদহজ’মের মতো অনেক স’মস্যায় লবঙ্গ খুব উপকারী। এছাড়াও লবঙ্গ প্রতিদিন খেলে গলায় সংক্র’মণ হাত থেকে রেহাই পাওয়া যায়।বুকের জমে থাকা কফ বের হয়ে যায়। হজ’ম, পিত্তবিনাশকারী, হাঁপানি, জ্বর,বদহজ’ম, কলেরা, মাথাব্য’থা, হাঁচি এবং কাশির মতো রো’গেও এটি বিশেষ উপকারী।লবঙ্গের আর একটি উপাদান হল নাইজে’রিসিন। বিভিন্ন পরীক্ষায় দেখা গিয়েছে, এই উপাদানের জন্যই র’ক্ত থেকে শর্করা বিভিন্ন কোষে পৌঁছে দেওয়া, ইনসুলিন উৎপাদনকারী কোষগু’লির কার্যক্ষ’মতা বাড়ানো ও ইনসুলিন নিঃসৃত হওয়ার পরিমাণ বাড়ানোর মতো কাজ ভালো ভাবে হয়।তাই মধ্য মাত্রার ডায়াবিটিস নি’য়ন্ত্রণে লবঙ্গ ভালো কাজে দেয়। লো-বোন মাস এমন একটি অবস্থা, যা বয়োজ্যেষ্ঠদের মধ্যে অস্টিয়োপোরোসিসের ঝুঁ’কি বাড়িয়ে দেয়।কয়েকটি পরীক্ষায় দেখা গিয়েছে, লবঙ্গের উপাদান হাড়ের জো’র ও বোন ডেনসিটি বাড়াতে সাহায্য করে।দাঁতের ব্য’থা কমায়। লবঙ্গ দাঁতের ব্য’থা দূ’র করে। মাড়ির ক্ষয় নিরাময় করে।লবঙ্গতে উপস্থিত অ্যান্টি-ইনফ্লেমেটরি উপাদান শ’রীরে প্রবেশ করার পর এমন কিছু বিক্রিয়া করে যে নিমেষে দাঁতের যন্ত্রণা কমে যায়। প্রায় সব টুথপেস্টের কমন উপকরণ এই লবঙ্গ।

No comments:

Post a Comment