Friday, March 5, 2021
জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রথম বর্ষের ভর্তির তারিখ ঘোষণা
অবিশ্বাস্য, ডুবন্ত জাহাজ থেকে ফিরলেন ৩১ নাবিক
আটলান্টিক মহাসাগরের নাটকীয় ভাবে বেঁচে গেলেন ৩১ নাবিক। বৃহস্পতিবারে উত্তেজনাকর অভিযান চালায় কানাডা ও যুক্তরাষ্ট্রের কোস্টগার্ডের সদস্য। বুধবার হঠাৎ করেই জাহাজটিতে আগুন ধরে যায়। তারপর জাহাজের ক্যাপ্টেন রেডিও তরঙ্গের মাধ্যমে সাহায্য চান।
ঘুমানোর আগে লবঙ্গ খেলে ম্যাজিকের মতো যে কাজ করে
লবঙ্গ মসলা হিসেবে সকলের পরিচিত। লবঙ্গের বৈজ্ঞানিক নাম সিজিজিওমোরোমেটাম। লবঙ্গ গাছের ফুলের কুড়িকে শুকিয়ে তৈরি করা হয়।লবঙ্গকে লং বলেও ডাকা হয়।লবঙ্গের সুগন্ধের মূল কারণ ‘ইউজেনল’ নামের যৌগ।এটি লবঙ্গ থেকে প্রাপ্ত তেলের মূল উপাদান, এবং এই তেলের প্রায় ৭২-৯০% অংশ জুড়ে ইউজেনল বিদ্যমান। এই যৌগটির জী’বাণুনাশক এবং বে’দনা নাশক গুণ রয়েছে।লবঙ্গের তেলের অন্যান্য গু’রুত্ব পূর্ণ উপাদান হলো অ্যাসিটাইল ইউজেনল, বেটা-ক্যারোফাইলিন, ভ্যানিলিন, ক্র্যাটেগলিকঅ্যাসিড, ট্যানিন,গ্যালোট্যানিক অ্যাসিডর্যা ম্নেটিন, ইউজেনটিন, ট্রি-টেরপেনয়েড, ক্লিনোলিক অ্যাসিড,স্টিগ্মাস্টেরল, সেস্কুইটার্পিন।১০০ গ্রাম লবঙ্গে ৬৫ গ্রাম কার্বোহাইড্রেট, ৬ গ্রাম প্রোটিন, ১৩ গ্রাম টোটাললিপিড, ২ গ্রাম সুগার, ২৭৪ কিলো-ক্যালোরি শ’ক্তি ও ৩৩ গ্রাম ডায়েটারিফাইবার থাকে।, মিথাইল স্যালিসাইলেট, ফ্ল্যাভানয়েড, ইউজেনিন,খনিজে’র মধ্যে ক্যালসিয়াম, আয়রন, ম্যাগনেশিয়াম, ফসফরাস, পটাশিয়াম, সোডিয়াম, জিঙ্ক –কমবেশি সবই আছে। আর ভিটামিনের মধ্যে উল্লেখযোগ্য বি-৬, বি-১২, সি, এ, ই, ডি, কে, থায়ামিন, রাইবোফ্লাভিন, নিয়াসিন, ফোলেট রয়েছে। এই সব যৌগের অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট বৈশিষ্ট্য আছে।লবঙ্গের গুণাগুণ শুধু রান্নাতেই নয়, তার বাইরেও আছে। সুস্বা’স্থ্যে জন্য লবঙ্গ নানা ভাবে আমাদের উপকারে আসে। গবেষণায় বারবার প্রমাণিত,রো’গ নিরাময়ে লবঙ্গের যথেষ্ট কা’র্যকারিতা রয়েছে।লবঙ্গে ম্যাঙ্গানিজ থাকায় মস্তিষ্কের বিভিন্ন কাজক’র্ম সুষ্ঠু রাখতে ও হাড় শক্ত ক’রতে এই উপাদান খুব জ’রুরি। ম্যাঙ্গানিজে’র একটি উৎকৃষ্ট উৎস হললবঙ্গ।
লবঙ্গে প্রচুর পরিমাণে অ্যান্টি-অক্সিড্যান্ট থাকে, যা ফ্রি র্যাডিকলস কমাতে সাহায্য করে। লবঙ্গের একটি উপাদান হল ইউজেনল, যা প্রাকৃতিক অ্যান্টি- অক্সিডেন্ট হিসেবে কাজ করে।প্রত্যেক দিন ব্য’ক্তির রাতে ঘুমানোর আগে ১টি লবঙ্গ ও ১ গ্লাস গরম পানি পান করলে বিভিন্ন ধ’রনের রো’গের থেকে মু’ক্তি পাওয়া যাবে সহজেই।
লবঙ্গ হজ’ম প্রক্রিয়া উন্নত ক’রতে সাহায্য করে। যেমন- গ্যাস, বমিভাব এবং বদহজ’মের মতো অনেক স’মস্যায় লবঙ্গ খুব উপকারী। এছাড়াও লবঙ্গ প্রতিদিন খেলে গলায় সংক্র’মণ হাত থেকে রেহাই পাওয়া যায়।বুকের জমে থাকা কফ বের হয়ে যায়। হজ’ম, পিত্তবিনাশকারী, হাঁপানি, জ্বর,বদহজ’ম, কলেরা, মাথাব্য’থা, হাঁচি এবং কাশির মতো রো’গেও এটি বিশেষ উপকারী।লবঙ্গের আর একটি উপাদান হল নাইজে’রিসিন। বিভিন্ন পরীক্ষায় দেখা গিয়েছে, এই উপাদানের জন্যই র’ক্ত থেকে শর্করা বিভিন্ন কোষে পৌঁছে দেওয়া, ইনসুলিন উৎপাদনকারী কোষগু’লির কার্যক্ষ’মতা বাড়ানো ও ইনসুলিন নিঃসৃত হওয়ার পরিমাণ বাড়ানোর মতো কাজ ভালো ভাবে হয়।তাই মধ্য মাত্রার ডায়াবিটিস নি’য়ন্ত্রণে লবঙ্গ ভালো কাজে দেয়। লো-বোন মাস এমন একটি অবস্থা, যা বয়োজ্যেষ্ঠদের মধ্যে অস্টিয়োপোরোসিসের ঝুঁ’কি বাড়িয়ে দেয়।কয়েকটি পরীক্ষায় দেখা গিয়েছে, লবঙ্গের উপাদান হাড়ের জো’র ও বোন ডেনসিটি বাড়াতে সাহায্য করে।দাঁতের ব্য’থা কমায়। লবঙ্গ দাঁতের ব্য’থা দূ’র করে। মাড়ির ক্ষয় নিরাময় করে।লবঙ্গতে উপস্থিত অ্যান্টি-ইনফ্লেমেটরি উপাদান শ’রীরে প্রবেশ করার পর এমন কিছু বিক্রিয়া করে যে নিমেষে দাঁতের যন্ত্রণা কমে যায়। প্রায় সব টুথপেস্টের কমন উপকরণ এই লবঙ্গ।
স্বামী বিদেশ থাকার সুযোগে নেহা ছিল বেপরোয়া, বেরিয়ে আসছে গা শিউরে ওঠার মতো তথ্য
নাম তার ফারজানা জামান নেহা ওরফে ডিজে নেহা। এই সুন্দরী রমণী কুইন নেহা নামেও তার চ’ক্রে পরিচিত। রাতে তার পরনে থাকে প্রায় অর্ধ উ’ল’ঙ্গ ওয়েস্টার্ন ড্রেস। চালচলনে বি’কৃত রকমের আভিজাত্যের ছাপ। দিনে ঘুম, রাতে ডিজে ও ম’দের পার্টিতে অ;শ্লী’ল রকমের নাচ।লাল-নীল আলো আঁধারে ঠোঁটে শি’শার পাইপ দিয়ে স্লো মোশনে ধোঁ’য়া ছাড়া যার নে’’শা। কখনওবা হাতে দামি বিদেশি ম’দে’র বোতল নিয়ে চু’মো দেয়া তার ফ্যাশন।নামি-দামি ব্রান্ডের গাড়ি নিয়ে ঘুরে বেড়ানো এই রমণী বাগে আনা ধনী পরিবারের ত’রুণ-ত’রুণীদের দিয়ে করান রম’রমা দে’হ ব্য’বসা। এক কথায় ওয়েস্টার্ণ ধাঁচে চলাফেরা করা রূপের ঝলক দেখানো ডিজে নেহা নানান অ;শ্লী’লতার মধ্যেই ডুবে ছিলো।নেহাকে জি’জ্ঞাসাবা’দে একে একে গা শি’উরে ওঠার মতো ত’থ্য বেরিয়ে আসছে।জানা যাচ্ছে, তার অ’ন্ধকার জগতের যতো অ’পকর্মের গো’পন খ’বর। ত’থ্য পাওয়া যাচ্ছে, কেবল ডিজে নেহা নয় নেহার মতো এমন অনেক ত’রুণ-ত’রুণীই রয়েছে যাদের কর্মকা’ণ্ড একই রকমের, কেবল নামেই ভিন্ন।নেহার টা’র্গেট ধনী পরিবারের তরুণ-তরুণী: নিম্ন মধ্যবিত্ত পরিবার থেকে অ;শ্লী’ল জ’গতে পা বাড়ানো নেহার টা’র্গেট ছিলো ধনী পরিবারের ত’রুণ-ত’রুণীরা। বিশেষ করে নামি দামি বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের দিকেই ছিলো তার বিশেষ আকর্ষণ।টা’র্গেট’কৃতদের সঙ্গে সখ্যতা তৈরিতে তার হয়ে একাধিক উশৃঙ্খল ত’রুণ-ত’রুণী মাঠ পর্যায়ে কাজ করতো। যাদেরকেও বিভিন্ন রকমের সুযোগ সুবিধা দিতো ডিজে নেহা। শিশা পার্টি, ম’’দ পার্টি এবং অ’শ্লী’ল নাচের আয়োজনে দাওয়াত পেত সমাজের উচ্চ বিত্তের স’ন্তানরা। যারা নেহার হাত ধরেই বে’লাল্লাপ’না’য় জ’ড়িয়ে পড়ে।স্বামী তার লন্ডনে: প্রাথমিকভাবে জানা যায়, কয়েক বছর আগে লন্ডন প্রবাসী এক ব্যক্তির সঙ্গে নেহার বিয়ে হয়। ওই প্রবাসী লন্ডনে গিয়ে নেহাকেও তার কাছে নিয়ে যাওয়ার কথা ছিলো। কিন্তু, নানান অ’জুহাতে নেহা সেখানে যেতে পারছিলেন না।লন্ডনে যাওয়ার জন্য বেশ কয়েকবার চে’ষ্টাও নাকি করেছিলেন। তবে, নেহার বিয়ের বিষয়ে পু’লিশ স’ন্দি’হান। শিশা লাউঞ্জ ও ম’দ পার্টি থেকে র’ম’রমা দে’হ ব্যব’সা: কথিত ম’হারাণী নেহার কপাল খুলতো শি’শা লা’উঞ্জ ও ম’’দের পার্টিতে। যে পার্টিতে যোগ দিতে আসা ধনী ত’রুণ-ত’রুণীরা একে অ’পরের সাথে পরিচিত হতো।সেই সূত্র ধ’রে আ’কর্ষিত হয়ে যদি কেউ কাউকে একা’ন্তে পাওয়ার ইচ্ছে প্র’কাশ করতো তাকে ডিজে নেহার স’ঙ্গেই যোগাযোগ করতে হতো। এই নেহাই টা’র্গেট’কৃত ‘তরুণ বা ত’রুণীকে ম্যানেজ করার কথা বলে চাহিদা প্র’কাশতার এই অ’বৈধ অর্থকড়ির খোঁ’জে নেমেছে গো’য়েন্দারা। নেহার অ’প’রাধ নে’টওয়ার্কিং: ওয়েস্টার্ন স্টাইলে চলাফেরা করা নেহা খুবই চতুর প্রকৃতির রমণী। সে ধনী পরিবারের ত’রুণ-ত’রুণীদের সঙ্গে সখ্যতা গড়ে তুলতে বিভিন্ন কলাকৌশল প্র’য়োগ করতো।এই নেহার একাধিক টি’ম অ’ভিজাত শ্রেণির ছে’লে মে’য়েদের টা’র্গে’ট করে তাদেরকে ডিজে পার্টি, শিশা লাউঞ্জ এবং ম’দের পার্টিতে নিয়ে আসতো। এ পার্টিগুলো সাধারণত অ’বৈধ বার বা লা’উঞ্জে অনুষ্ঠিত হতো।এসব পার্টি বাবদ অ’বৈধ বার বা লাউঞ্জ ব্যবসায়ীরা বড় অংকের টাকা পেতো। নেহার মাঠ পর্যায়ের টিমে নামি দামি বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের কতিপয় উ;শৃঙ্খল শিক্ষার্থী রয়েছে বলে জানা গেছে।
প্রথমবার করতে যাচ্ছেন দীঘি, বললেন ভয়ও পাচ্ছি
ছোট্ট দীঘি এখন ষোলকলা যুবতী। সম্প্রতি ‘টুঙ্গিপাড়ার মিয়া ভাই’ নামের একটি ছবির শুটিংও শেষ করেছেন তিনি। তবে শুটিং শেষ হলেও প্রথমবার হওয়ায় ভ’য়টা এখনো কাটেনি এই উঠতি নায়িকার।
মুঠোফোনের বিজ্ঞাপন দিয়ে এরপর বেশ কিছু চলচ্চিত্রে দুর্দান্ত অ’ভিনয় করে ঢালিউডের জনপ্রিয় শি’শুশিল্পী হিসেবে সবার নজর কাড়েন। সেই ছোট্ট দীঘি এখন ষোলকলা যুবতী। এখন পুরোদস্তুর নায়িকা হওয়ার পথে ‘চাচ্চু’ কিংবা ‘দাদী মা’ খ্যাত এই অ’ভিনেত্রী। সম্প্রতি নায়িকা হিসেবে একস’ঙ্গে শাপলা মিডিয়ার দুটি ছবিতে চুক্তিবদ্ধ হয়েছেন দীঘি।প্রথম কোনো ছবিতে নায়িকা চরিত্রে শুটিংয়ের অনুভূতি জানাতে গিয়ে দীঘি বলেন, অ’বাক লাগছে, পুরো একটা ছবির শুটিং শেষ করে ফেললাম। সবাই খুব আন্তরিক ছিল। শামীম আহমেদ রনি দারুণ নির্দেশনা দিয়েছেন। কাজে ফেরার অ’ভিজ্ঞতাটা দারুণ ছিল।তবে শুটিং শেষ হলেও ভ’য়টা এখনো কাটেনি এই উঠতি নায়িকার। দীঘি বলেন, নায়িকা হিসেবে দর্শকদের মন কতটুকু জয় করতে পারি এই ভেবে। আমি আমা’র সেরাটুকু দেয়ার চেষ্টা করেছি। তারপরও মনের মধ্যে অজানা ভ’য় কাজ করছে।‘তুমি আছো তুমি নেই’ নামের নতুন আরো একটি ছবিতে চুক্তিবদ্ধ হয়েছেন দীঘি। সিনি ইস’লামের পরিচালনায় আগামী মাসের ছবিটির শুটিং শুরু হওয়ার কথা রয়েছে। ছবিটিতে দীঘির নায়ক হিসেবে থাকছেন বাপ্পী চৌধুরী।এছাড়াও শাপলা মিডিয়ার আরো বেশ কয়েকটি ছবিতে নায়িকা হিসেবে দেখা যাবে দীঘিকে। গ্রামীণফোনের ‘বাবা জানো আমাদের একটা ময়না পাখি আছে না’ বিজ্ঞাপনের মধ্য দিয়ে শোবিজে আসেন ছোট্ট দীঘি।এরপর শি’শুশিল্পী হিসেবে ‘লীলা মন্থন’, ‘দ্য স্পিড’, ‘চাচ্চু আমা’র চাচ্চু’, ‘রিকসাওয়ালার ছে’লে’, ‘অবুঝ শি’শু’, ‘১ টাকার বউ’, ‘বাবা আমা’র বাবা’, ‘সাজঘর’, ‘চাচ্চু’, ‘দাদিমা’, ‘কাবুলিওয়ালা’র মতো জনপ্রিয় ছবিতে অ’ভিনয় করে সবার নজর কাড়েন দীঘি।দীঘির মা প্রয়াত দোয়েল ও বাবা সুব্রত দুজনই চলচ্চিত্র অ’ঙ্গনের পরিচিত মুখ। বাবা-মায়ের দেখানো পথ ধরেই ঢালিউড নায়িকা হিসেবে ক্যারিয়ার শুরু করলেন দীঘি।
Thursday, March 4, 2021
তিস্তা ব্যবস্থাপনা: ভারতের আপত্তি কেন মানতে হবে
সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে নানা আলোচিত বিষয়ের মধ্যে একটি খবর হলো, প্রস্তাবিত তিস্তা পানিসম্পদ ব্যবস্থাপনা প্রকল্পটি চূড়ান্তভাবে প্রস্তুত হয়ে যাওয়া সত্ত্বেও ভারতের আপত্তির মুখে সেটা অনুমোদনের জন্য একনেকে উপস্থাপন করা হচ্ছে না। প্রায় তিন বছর আগে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এই প্রকল্পের বিষয়ে চীনের প্রেসিডেন্ট সি চিন পিংকে অনুরোধ জানিয়েছিলেন। ‘চীনের দুঃখ’ হিসেবে একসময়ে বিশ্বে পরিচিত হোয়াং হো নদীকে চীন ‘আশীর্বাদে’ পরিণত করেছে। ওই একই কায়দায় বাংলাদেশের উত্তর-পশ্চিমাঞ্চলের জেলাগুলোর জনগণের জন্য প্রতিবছর সর্বনাশ ডেকে আনা তিস্তা নদীর পানি ব্যবস্থাপনাকেও কীভাবে একটি বহুমুখী প্রকল্পের মাধ্যমে আধুনিকায়ন করা যায়, সেটাই ছিল প্রধানমন্ত্রীর অনুরোধের বিষয়। সেই অনুরোধে সাড়া দিয়ে সম্পূর্ণ চীনা অর্থায়নে প্রস্তাবিত তিস্তা প্রকল্পের সম্ভাব্যতা সমীক্ষা প্রকল্প গ্রহণ ও বাস্তবায়নের পর প্রকল্প প্রস্তাবটি চীনের পক্ষ থেকে কয়েক মাস আগে বাংলাদেশের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। একই সঙ্গে চীন প্রকল্পটি বাস্তবায়নের জন্য বাংলাদেশকে ঋণ প্রদানের প্রস্তাব দিলে বাংলাদেশ তা গ্রহণ করে।
প্রস্তাবিত তিস্তা প্রকল্পে বাংলাদেশের সীমানার ভেতরের তিস্তা নদীর ১১৫ কিলোমিটারে ব্যাপক খনন চালিয়ে নদীর মাঝখানের গভীরতাকে ১০ মিটারে বাড়িয়ে ফেলা হবে এবং নদীর প্রশস্ততাকে ব্যাপকভাবে কমিয়ে ফেলা হবে। একই সঙ্গে নদীশাসনের মাধ্যমে ভূমি উদ্ধার করে চাষাবাদের সুযোগ সৃষ্টি করা হবে। নদীর দুই তীর বরাবর ১১৫ কিলোমিটার দৈর্ঘ্যের চার লেনের সড়ক নির্মাণ করা হবে। উপযুক্ত স্থানে বেশ কয়েকটি ব্যারাজ-কাম-রোড নির্মাণ করে নদীর দুই তীরের যোগাযোগ নিশ্চিত করার পাশাপাশি বর্ষাকালে প্রবাহিত নদীর বিপুল উদ্বৃত্ত জলরাশি সংরক্ষণ করে সেচ খাল খননের মাধ্যমে নদীর উভয় তীরের এলাকার চাষযোগ্য জমিতে শুষ্ক মৌসুমে সেচের ব্যবস্থা গড়ে তোলা হবে। উপরন্তু, নদীর উভয় তীরের সড়কের পাশে ব্যাপক শিল্পায়ন ও নগরায়ণের সুবিধাদি গড়ে তোলা হবে।
ইন্টারনেটে প্রস্তাবিত প্রকল্পটির বর্ণনায় এটা মনে হয়েছে যে প্রকল্পটি বাস্তবায়িত হলে সত্যি সত্যিই তিস্তা প্রকল্প বাংলাদেশের সবচেয়ে দারিদ্র্যপীড়িত উত্তর-পশ্চিমাঞ্চলের জেলাগুলোর জনজীবনে একটা যুগান্তকারী বিপ্লব ঘটাতে সমর্থ হবে। প্রকল্প প্রস্তাবের অনুমোদন-প্রক্রিয়ার অগ্রগতির বিষয়টি আগ্রহভরে পর্যবেক্ষণ করছিলাম। পানিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী ও সচিব এবং পানি উন্নয়ন বোর্ডের চেয়ারম্যান বিভিন্ন প্রতিবেদনে আশা প্রকাশ করেছিলেন যে ২০২০ সালের ডিসেম্বর নাগাদ প্রকল্পটি একনেকে অনুমোদন করা হবে। কিন্তু নভেম্বর, ডিসেম্বর, জানুয়ারি—তিন মাস প্রকল্প প্রস্তাবের কোনো নড়াচড়া না দেখে খবরাখবর নিয়ে যতটুকু জানা গেল, তা হচ্ছে ভারত এই প্রকল্পের বিরোধিতা করছে। ভারত মনে করে, এই প্রকল্পে চীনের অংশগ্রহণ তাদের দেশের উত্তর-পূর্বাঞ্চলের নিরাপত্তার জন্য বিপজ্জনক হবে এবং সে কারণে বাংলাদেশকে প্রকল্প বাতিলের জন্য সরাসরি চাপ দিয়ে চলেছে বলে জানা গেছে। তিস্তা প্রকল্পে চীন যুক্ত হলে ভারতের শিলিগুড়ি করিডরের ‘চিকেন নেকের’ কাছাকাছি কয়েক শ বা হাজারের বেশি চীনা নাগরিক অবস্থান করবেন এবং তা নাকি ভারতের কাছে গ্রহণযোগ্য নয়। সে কারণে বাংলাদেশকে এই প্রকল্প থেকে সরে আসতে বলা হচ্ছে। এমন কথাও শোনা যাচ্ছে, ভারত নাকি বাংলাদেশকে আশ্বাস দিয়েছে, আগামী মার্চ-এপ্রিলে পশ্চিমবঙ্গের নির্বাচনে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে ক্ষমতা থেকে হটানো গেলে ২০১১ সাল থেকে আটকে থাকা ‘তিস্তার পানি বণ্টন চুক্তি’ স্বাক্ষরে ভারতের আর কোনো বাধা থাকবে না। যে প্রশ্নটির জবাব আমাদের রাষ্ট্রের ক্ষমতাসীন মহলকে দিতেই হবে, তা হলো স্বাধীন ও সার্বভৌম রাষ্ট্র হিসেবে আমরা কি আমাদের স্বার্থে স্বাধীনভাবে প্রকল্প গ্রহণ করতে পারব না? ভারত আমাদের বন্ধুরাষ্ট্র, কিন্তু ভারতের অন্যায় কোনো চাপের কাছে নতি স্বীকার করার তো সুযোগ নেই। বাংলাদেশে নিযুক্ত ভারতের হাইকমিশনার বিক্রম দোরাইস্বামী ১৫ ফেব্রুয়ারি ঢাকায় ডিপ্লোমেটিক করেসপনডেন্ট অ্যাসোসিয়েশন, বাংলাদেশের (ডিকাব) এক আলোচনা সভায় দাবি করেছেন, ‘ভারত বাংলাদেশের সঙ্গে ‘দাদাগিরি’ করে না। এখন বাংলাদেশের স্বার্থসংশ্লিষ্ট কোনো প্রকল্প যদি ভারতের চাপের কারণে বাদ হয়ে যায়, তবে আমরা তাকে কী বলব? একটা নদী ব্যবস্থাপনা প্রকল্পে নিয়োজিত চীনা প্রকৌশলী এবং টেকনিশিয়ানরা কেন ভারতের রাষ্ট্রীয় নিরাপত্তার জন্য হুমকি হবেন? যে এলাকা দিয়ে তিস্তা নদী ভারত থেকে বাংলাদেশে প্রবেশ করেছে, সেখান থেকে ‘শিলিগুড়ি চিকেন নেক’ অনেক দূরে। আর বাংলাদেশ-ভারত সীমান্ত থেকে বেশ কয়েক কিলোমিটার ভেতরে প্রকল্প এলাকায় যে চীনা নাগরিকেরা অবস্থান করবেন, তারা কীভাবে ভারতে জন্য স্পর্শকাতর বিষয়ে পরিণত হন? আমাদের স্মরণে আছে, ভারতের বিরোধিতার কারণে চীনের অর্থায়নে বাংলাদেশের সোনাদিয়ায় নির্মিতব্য গভীর সমুদ্রবন্দর প্রকল্পটি বাতিল হয়ে গেছে। মহেশখালীর মাতারবাড়ীতে একটি ভালো বিকল্প গভীর সমুদ্রবন্দর নির্মাণের সুযোগ পেয়ে যাওয়ায় এখন জাপানের অর্থায়নে ওই বন্দরের নির্মাণকাজ দ্রুত এগিয়ে চলেছে। কিন্তু যে প্রশ্নটির জবাব আমাদের রাষ্ট্রের ক্ষমতাসীন মহলকে দিতেই হবে, তা হলো স্বাধীন ও সার্বভৌম রাষ্ট্র হিসেবে আমরা কি আমাদের স্বার্থে স্বাধীনভাবে প্রকল্প গ্রহণ করতে পারব না? ভারত আমাদের বন্ধুরাষ্ট্র, কিন্তু ভারতের অন্যায় কোনো চাপের কাছে নতি স্বীকার করার তো সুযোগ নেই।
আমরা দেখছি, সীমান্ত বিরোধ সত্ত্বেও ভারত চীনের সঙ্গে প্রায় এক শ বিলিয়ন ডলারের বৈদেশিক বাণিজ্য চালিয়ে যাচ্ছে। অথচ বাংলাদেশ নিজের অর্থনৈতিক অবকাঠামো উন্নয়নের জন্য চীন থেকে সহজ শর্তে ঋণ নিতে গেলেই ভারত নানা অজুহাতে এর বিরোধিতা করছে। আমাদের জানা আছে, ভারত বাংলাদেশকে নানা প্রকল্পে যে ঋণসহায়তা দিয়েছে, সেগুলো এতই কঠিন শর্ত-কণ্টকিত যে বাস্তবে বাংলাদেশ ওই ঋণ সহায়তার সামান্যই ব্যবহার করতে পারছে। তিস্তা নদী ঐতিহাসিকভাবেই খামখেয়ালি আচরণকারী একটি নদী। প্রায় প্রতিবছর বর্ষায় বাংলাদেশের উত্তর-পশ্চিমাঞ্চল এই নদীর কারণে বন্যার কবলে পড়ে। আবার শুষ্ক মৌসুমে তুলনামূলকভাবে খরাগ্রস্ত এই এলাকার মানুষ তিস্তা নদীর পানিস্বল্পতাহেতু সেচ সুবিধা থেকেও বঞ্চিত থাকে। তিস্তা নদীর উজানে পশ্চিমবঙ্গের গজলডোবায় ভারত একতরফাভাবে বাঁধ নির্মাণ করে শুষ্ক মৌসুমে তিস্তার পানি সম্পূর্ণভাবে আটকে দেওয়ার পর তিস্তা নদীর বাংলাদেশ অংশ বছরের বেশির ভাগ সময় পানিশূন্য থাকছে। যখন ২০১১ সালে দুই দেশ তিস্তার পানিবণ্টন চুক্তি স্বাক্ষরের দ্বারপ্রান্তে উপনীত হয়েছিল, তখন পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রীর আপত্তির কাছে নতি স্বীকার করে ড. মনমোহন সিং চুক্তি স্বাক্ষর থেকে পিছিয়ে গিয়েছিলেন। ভারত দীর্ঘদিন তিস্তার পানি বণ্টন চুক্তি ঝুলিয়ে রেখেছে। কিন্তু এখন প্রস্তাবিত তিস্তা প্রকল্প সামনে চলে আসায় তিস্তা চুক্তি সইয়ের আশ্বাস দেওয়া হচ্ছে। এখানে যা বিবেচনায় রাখতে হবে তা হচ্ছে, তিস্তা চুক্তি আর প্রস্তাবিত তিস্তা প্রকল্প মোটেও সাংঘর্ষিক নয়। তিস্তা চুক্তি হোক বা না হোক, তিস্তা প্রকল্প ওই অঞ্চলের জনগণের জীবন ও জীবিকায় যুগান্তকারী পরিবর্তন আনবে বলে মনে করা হচ্ছে। চুক্তি হলে শুষ্ক মৌসুমে নদীর পানিপ্রবাহ খানিকটা হয়তো বাড়বে, কিন্তু বর্ষায় গজলডোবা ব্যারাজের সব গেট খুলে দেওয়ায় এই অঞ্চলের জনগণ যে বন্যার মুখোমুখি হচ্ছে, তার তো কোনো সমাধান হবে না! প্রস্তাবিত প্রকল্পের জলাধারগুলোর সংরক্ষিত পানি পরিকল্পিত সেচ ব্যবস্থায় ব্যবহৃত হলে এই সমস্যার টেকসই সমাধান মিলতে পারে। এই প্রকল্পের বিভিন্ন দিক নিয়ে আলোচনার পর ওই এলাকার জনগণের মধ্যে প্রকল্পের ব্যাপারে উৎসাহ ও উদ্দীপনা বেড়েছে। প্রকল্পটির আশু বাস্তবায়নের জন্য দেশের উত্তর-পশ্চিমাঞ্চলে সম্প্রতি বেশ কয়েকটি মানববন্ধন ও মিছিল হয়েছে। তিস্তা প্রকল্প অনুমোদনে আর বিলম্ব না করার জন্য প্রধানমন্ত্রীর প্রতি সবিনয় অনুরোধ করছি। ড. মইনুল ইসলাম চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্থনীতি বিভাগের অবসরপ্রাপ্ত অধ্যাপক
চক্রাকার বাস হঠাৎ উধাও বিআরটিসি বলছে ভর্তুকি দিলে তারা এই সার্ভিস অব্যাহত রাখতে পারবে
বেশ আয়োজন করেই ঢাকা দক্ষিণ সিটির আজিমপুর-মোহাম্মদপুর, মোহাম্মদপুর-কমলাপুর রুটে এবং ঢাকা উত্তরের উত্তরার দুটি রুটে চালু করা হয়েছিল রাষ্ট্রায়ত্ত পরিবহন সংস্থা বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন করপোরেশনের (বিআরটিসি) এসি বাস। অত্যন্ত সুশৃঙ্খলভাবে চলছিল বিআরটিসির এই চক্রাকার সার্ভিসটি। কিন্তু হঠাৎ করে উধাও হয়ে গেছে এই সার্ভিস। আজিমপুর-মোহাম্মদপুর কিংবা নির্ধারিত অন্যান্য রুটেও দেখা মিলছে না বিআরটিসির চক্রাকার বাসের। বিআরটিসির চক্রাকার বাস সড়কে না থাকার পেছনে দুই ধরনের বক্তব্য পাওয়া যাচ্ছে। একপক্ষ বলছে, লোকসান পুষিয়ে উঠতে পারছে না বিআরটিসি। যদি সিটি করপোরেশন ভর্তুকি দেয় তাহলে সার্ভিসটি ফের চালু হবে, নয়তো এই সার্ভিস আর চলবে না। আরেক পক্ষ বলছে, করোনাভাইরাসের কারণে গত বছর ২৬ মার্চের সাধারণ ছুটি ঘোষণার পর বিআরটিসির চক্রাকার সার্ভিসটি বন্ধ করে দেওয়া হয়। সাধারণ ছুটি প্রত্যাহার করে নেওয়ার পর সব ধরনের যানবাহন রাস্তায় নামলেও বিআরটিসির চক্রাকার বাস আর রাস্তায় দেখা যায়নি। কবে আবার চালু হবে তা-ও বলা যাচ্ছে না। হয়তো শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খুলে দেওয়ার পর যাত্রীর সংখ্যা বাড়লে চক্রাকার বাস সার্ভিসও চালু করা হবে। রাজধানীর সড়কে শৃঙ্খলা ফেরাতে ২০১৯ সালের ২৭ মার্চ আজিমপুর-নিউ মার্কেট-ধানমণ্ডি-মোহাম্মদপুর রুটে চালু করা হয় বিআরটিসির চক্রাকার বাস সার্ভিস। চক্রাকার বাসগুলো আজিমপুর-নিউ মার্কেট-সায়েন্স ল্যাব-ধানমণ্ডি ২ নম্বর রোড, সাত মসজিদ রোড (জিগাতলা, শংকর), ধানমণ্ডি ২৭, মোহাম্মদপুর, সোবহানবাগ, রাসেল স্কয়ার, কলাবাগান, সায়েন্স ল্যাব, বাটা ক্রসিং, কাঁটাবন, নীলক্ষেত, পলাশী হয়ে আবার আজিমপুর আসত। বিপরীত দিক থেকে আজিমপুর, নিউ মার্কেট, সায়েন্স ল্যাব, কলাবাগান, সোবহানবাগ, ২৭ নম্বর রোড পূর্ব মাথা থেকে পশ্চিম মাথা, সাত মসজিদ রোড, বিজিবি ২ নম্বর গেট, ৩ নম্বর রোডে ইউ টার্ন নিয়ে ফের সায়েন্স ল্যাব-বাটা ক্রসিং-কাঁটাবন, নীলক্ষেত, পলাশী হয়ে আজিমপুর যেত। সর্বনিম্ন ১০ থেকে সর্বোচ্চ ৩০ টাকা ভাড়া নির্ধারণ করা ছিল। এই বাসগুলো এখন সড়কে চলছে না। এর কারণ হিসেবে বিআরটিসির প্রশাসন ও অপারেশন বিভাগের পরিচালক ড. মো. জিয়াউদ্দিন কালের কণ্ঠকে বলেন, ‘এটা এখন ভায়াবল হচ্ছে না। অনেক কিছুই এখন বন্ধ। তা ছাড়া সিটি করপোরেশনকে আমরা বলেছি এই রুটে রিকশা বন্ধ করে দিতে। রিকশার কারণেই এই সার্ভিস ভায়াবল হচ্ছে না। সিটি করপোরেশনকে আমরা আরো বলেছি, ভর্তুকি দিলে আমরা এই সার্ভিস অব্যাহত রাখতে পারব। তৎকালীন মেয়র বলেছিলেন, ঠিক আছে জানলাম। তারপর আর কোনো সিদ্ধান্ত দেননি।’ মোহাম্মদপুর বাসস্ট্যান্ডে কথা হয় ব্যক্তি- মালিকানায় চলা এক বাস সার্ভিসের সুপারভাইজার আনোয়ার মিয়ার সঙ্গে। তিনি বলেন, ‘এমনে দেখলে মনে অয় অনেক যাত্রী, না জানি কত লাভ! কিন্তু ঢাকা শহরে সাধারণ গাড়ি নিয়েই আমগো পোষায় না। আর এইগুলা তো লাগজারিয়াস গাড়ি। সবাই তো লাভের লাইগা গাড়ি চালায়। লাভই যদি না অয় তাইলে ক্যামনে চালায়? গাড়ি সরকারি অইলেও পাবলিক ওইটা নিয়া আইছে ব্যবসা করার লাইগা। ধরেন, গাড়ি সরকার থিকা আমি নিলাম কন্ট্রাক্টে, এমন আরকি। এহন পোষাইতে না পারলে কেমনে চইলবো?’ এই রুটে নিয়মিত চলাচল করা বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের এক শিক্ষার্থী সিফাত আহাম্মেদ কালের কণ্ঠকে বলেন, ‘যদিও এই বাস সার্ভিসটি আরামদায়ক ছিল, আমার বেশি চড়া হয়নি। এই বাসে সময় বেশি লাগে। আর কিছুদিন ভালো সার্ভিস দেওয়ার পর অন্য রুটে চলা শুরু করে দিয়েছিল।’ ফারিয়া ফারজানা নামে আরেক শিক্ষার্থী জানান, তিনি আবারও এই বাস সার্ভিসটি চালুর অপেক্ষায় আছেন। কারণ এই সার্ভিসটি অত্যন্ত নিরাপদ এবং ভালো ছিল। নাম প্রকাশ না করে বিআরটিসির এক কর্মকর্তা বলেন, ‘হিসাব মতো এসব রুটে চক্রাকার বাসের ভাড়া তুলনামূলক বেশি। প্রথম দিকে এসি বাস, ভালো সার্ভিস, এসব বিষয় চিন্তা করে অনেক যাত্রী পাওয়া গেলেও কিছুদিন পর যাত্রীসংখ্যা কমতে থাকে। যে পথ রিকশায় ৩০ টাকায় যাওয়া যায়, সেই পথটুকু কেউ বাসে ২০ টাকায় যেতে চাইবে না। আর বাসগুলো বেশ বড় হওয়ায় সড়কে নতুন সমস্যা সৃষ্টি হয়। যানজটে আটকে যাত্রীদের বসে থাকতে হতো। ফলে যাঁরা নীলক্ষেত থেকে ঝিগাতলা বা ধানমণ্ডি যাবেন তাঁরা রিকশায়ই চলে যেতেন। যদি এই রুটে রিকশা বন্ধ করা যেত তাহলে চক্রাকার বাস সার্ভিস লাভজনক হতো। লোকসান দিয়ে বেশি দিন কোনো সার্ভিস অব্যাহত রাখা যায় না।’ সিটি করপোরেশন সূত্র বলছে, রুট রেশনালাইজেশনের অংশ হিসেবে এই সার্ভিসটি পরীক্ষামূলকভাবে চালু করা হয়েছিল। চক্রাকার বাস সার্ভিস বন্ধ হয়ে যাওয়ায় দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের ক্ষোভ রয়েছে। সার্ভিসটি আবারও চালু করে রুট রেশনালাইজেশনের কার্যক্রমে কিভাবে গতি ফিরিয়ে আনা যায় সেদিকে নজর দেওয়া হচ্ছে। এদিকে ২০১৯ সালের ২৭ মে উত্তরায় দুটি রুটে চক্রাকার বাসসেবা চালু করা। অশোক লেল্যান্ডের ১০টি এসি বাস দিয়ে সার্ভিসটি চালু করা হয়েছিল। চক্রাকার বাসের একটি রুট ছিল, আলাওল এভিনিউর পূর্ব প্রান্ত থেকে হাউস বিল্ডিং, খালপার হয়ে উত্তরা আঞ্চলিক পাসপোর্ট কার্যালয়। অন্যটি ছিল বিমানবন্দর বাসস্ট্যান্ড থেকে ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়কের পশ্চিমে থাকা বিভিন্ন সেক্টরের ভেতর দিয়ে উত্তরা ১০ নম্বর সেক্টরের স্লুইস গেট পর্যন্ত। চালুর কিছুদিন পরই চক্রাকার বাসগুলো আর দেখা যাচ্ছে না। এতে ভোগান্তির মুখে পড়েন যাত্রীরা। ওই বছরের শেষের দিকে চক্রাকার বাস সার্ভিসটি পুরোপুরি বন্ধ হয়ে যায়। চক্রাকার বাস সার্ভিস বন্ধ হওয়া প্রসঙ্গে ঢাকা উত্তর সিটির জনসংযোগ কর্মকর্তা এ এস এম মামুন কালের কণ্ঠকে বলেন, ‘সার্ভিসটি কেন বন্ধ হলো তা বিআরটিসিই ভালো বলতে পারবে। যেহেতু এটা তাদের সার্ভিস, তাই কোন রুটে কিভাবে চালাবে এটা তারাই ঠিক করবে।’
বিয়ে ও বিচ্ছেদ নিবন্ধন ডিজিটাল করতে হাইকোর্টে রাকিবদের রিট
কেন্দ্রীয়ভাবে ওয়েবসাইট তৈরি করে ছবিসহ বিয়ে ও বিচ্ছেদের ঘটনার নিবন্ধন ডিজিটালাইজেশন করার নির্দেশনা চেয়ে রিট আবেদন করা হয়েছে। ক্রিকেটার নাসির হোসেনের সদ্য বিবাহিত স্ত্রী তামিমা সুলতানা তাম্মির সাবেক স্বামী রাকিব হাসানসহ তিন ব্যক্তি এবং এইড ফর ম্যান ফাউন্ডেশনের পক্ষে প্রতিষ্ঠানটির সেক্রেটারি সাইফুল ইসলাম নাদিমের পক্ষে অ্যাডভোকেট ইশরাত হাসান বৃহষ্পতিবার হাইকোর্টের সংশ্লিস্ট শাখায় এ রিট আবেদন দাখিল করেন। রিট আবেদনে আইন মন্ত্রণালয়ের দুই সচিব, তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি সচিব, ধর্ম সচিব এবং বিটিআরসির চেয়ারম্যানকে বিবাদী করা হয়েছে।
বিয়ে ও বিচ্ছেদের ঘটনা নিবন্ধন ডিজিটালাইজেশন করার জন্য গত ২২ ফেব্রুয়ারি সংশ্লিস্টদের প্রতি আইনি নোটিশ দেওয়ার পরও পদক্ষেপ না নেওয়ায় এ রিট আবেদন করা হয়েছে বলে জানান আইনজীবী।
রিট আবেদনে বলা হয়, বর্তমান যে পদ্ধতিতে বিবাহ ও বিচ্ছেদের ঘটনা রেজিষ্ট্রেশন করা হয়, তা ডিজিটালাইজেশন না করার কারণে অসংখ্য প্রতারণার ঘটনা ঘটছে। আগের বিয়ে গোপন রেখে ডিভোর্স না দিয়েই নতুন করে বিয়ে করার ঘটনাও ঘটছে। ফলে সন্তানের পিতৃ পরিচয় নিয়েও জটিলতা সৃস্টি যাচ্ছে। বিবাহ সংক্রান্ত অপরাধ বেড়ে অসংখ্য মামলার জন্ম নিচ্ছে। একারণে বিয়ে ও ডিভোর্স রেজিষ্ট্রেশন ডিজিটালাইজেশন পদ্ধতিতে হওয়া প্রয়োজন। ছবিসহ বিয়ে ও ডিভোর্স ডিজিটালাইজেশন করলে সংশ্লিস্ট নারী বা পুরুষের জাতীয় পরিচয়পত্র নম্বর দিয়ে সার্চ করলেই সব তথ্য বেরিয়ে আসবে। এতে প্রতারণার হাত থেকে অসংখ্য মানুষ রক্ষা পাবে।
গত ১৪ ফেব্রুয়ারি রাজধানীর উত্তরার একটি রেস্তোরায় নাসির ও তামিমার বিয়ের আনুষ্ঠানিকতা সম্পন্ন হয়। তামিমা সুলতানা তার রাকিব হাসানকে (সাবেক স্বামী) ডিভোর্স না দিয়েই ক্রিকেটার নাসির হোসেনকে বিয়ে করেছেন-এই অভিযোগে উত্তরা পশ্চিম থানায় সাধারণ ডায়েরি করেছেন তামিমার সাবেক স্বামী রাকিব হাসান।
Project Engineer /Site Engineer
| |||||||
We are "A- Class" construction company of MES (Military Engineer Sector), PWD (Public Works Department) & almost all civil department of government. It's Been more then 42 years the company is involved with construction business. Some other venture of the company are, Hotel business, Stone processing & Real-estate Developer. |
|||||||
Project Engineer /Site Engineer Vacancy: 8 Nos Job Responsibilities
Employment Status: Full-time, Resident at Project Educational Requirements
Experience Requirements
Additional Requirements
Job Location: Anywhere in Bangladesh (except Dhaka) Salary
|
|||||||
Care Bangladesh Job
|
অস্ট্রেলিয়ায় রপ্তানি টিকার চালান বন্ধ ইতালির
অ্যাস্ট্রাজেনেকা রপ্তানি চুক্তির ৪০ শতাংশ বছরের প্রথম তিন মাসে ইইউ সদস্য দেশগুলোকে সরবরাহের কথা রয়েছে। আজ শুক্রবার থেকে অ্যাস্ট্রাজেনেকার টিকা তাদের টিকা কার্যক্রমে যুক্ত হওয়ার কথা ছিলো। অস্ট্রেলিয়ায় রপ্তানি করা অক্সফোর্ড-অ্যাস্ট্রাজেনেকা করোনা টিকার একটি বড় চালান আটকে দিয়েছে ইতালি।
ইতালির পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় থেকে জানা যায়, 'সরবরাহ ঘাটতির জন্য কোম্পানিটির পক্ষ থেকে উৎপাদন স্বল্পতার কথা বলা হয়েছে।
কিন্ত ইতালি ও ইইউতে সামগ্রিকভাবে যে টিকা সরবরাহ করা হয়েছে, তার তুলনায় অস্ট্রেলিয়ায় রপ্তানির জন্য আবেদন করা এই চালানটি অনেক বড়। '
ইতালিতে তৈরি হওয়া অক্সফোর্ড-অ্যাস্ট্রাজেনেকার করোনার টিকার আড়াই লাখ ডোজ অস্ট্রেলিয়ায় রপ্তানি হওয়ার কথা ছিলো। ইউরোপীয় ইউনিয়নের নতুন নিয়ম অনুযায়ী, টিকা সরবরাহকারী কোন কোম্পানি ইইউ'র বাধ্যবাধকতা পূরণে ব্যর্থ হলে, তারা রপ্তানি বন্ধ করে দিতে পারবে।
তুরস্কে হেলিকপ্টার বিধ্বস্ত হয়ে ১১ সেনা কর্মকর্তার মৃত্যু
তুরস্কে একটি সামরিক হেলিকপ্টার বিধ্বস্ত হয়ে মৃত্যু হয়েছে ১১ সেনা কর্মকর্তার। আহত হয়েছেন আরও দুজন।
জানা যায়, কুগার হেলিকপ্টারটি তুরস্কের বিতলিস প্রদেশের কেকমেস গ্রামের কাছে বিধ্বস্ত হয়। সেটি তাতভান শহর থেকে নিকটবর্তী বিনগল প্রদেশে যাচ্ছিল।
বৃহস্পতিবার (৪ মার্চ) স্থানীয় সময় দুপুর ২টা ২৫ মিনিটে হেলিকপ্টারটির সঙ্গে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে যায় কর্তৃপক্ষের।
কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, দুর্ঘটনায় ৯ জন ঘটনাস্থলেই নিহত হন। আর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান আরও ২ জন। আহত আরও দুজন হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।
তুর্কি প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় অবশ্য হেলিকপ্টার বিধ্বস্ত হওয়াকে দুর্ঘটনা হিসেবে উল্লেখ করলেও বিস্তারিত কিছু জানায়নি।
তুরস্কের প্রধান জাতীয়তাবাদী দলের নেতা দেভলেত বাচেলি টুইটারে জানিয়েছেন, নিহতদের মধ্যে তুরস্কের সামরিক বাহিনীর কমান্ডার লেফটেন্যান্ট জেনারেল ওসমান এরবাসও রয়েছেন।
অভ্যুত্থানের পরপরই রিজার্ভ সরানোর চেষ্টা মিয়ানমার সেনাবাহিনীর, রুখে দিল আমেরিকা
গত ১ ফেব্রুয়ারি অভ্যুত্থানের মাধ্যমে মিয়ানমারের ক্ষমতা দখল করে নেয় দেশটির সেনাবাহিনী। এ ঘটনার পরপরই নিউ ইয়র্কের ফেডারেল রিজার্ভে রক্ষিত এক বিলিয়ন ডলার সরিয়ে ফেলার চেষ্টা করে মিয়ানমারের সামরিক বাহিনী। তবে সেই চেষ্টা রুখে দিয়েছে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র
Monday, March 1, 2021
ঢাবিতে পুলিশের গাড়ি থাকলে ‘আগুন দেওয়ার’ হুমকি নূরের
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে পুলিশের গাড়ি থাকলে তাতে আগুন ধরিয়ে দেওয়ার হুমকি দিয়েছেন ডাকসুর সাবেক ভিপি নুরুল হক নূর।
টিএসসি থেকে ছাত্রনেতাদের গ্রেপ্তারের প্রতিবাদ জানিয়ে সোমবার বিকেলে রাজু ভাস্কর্যের পাদদেশে এক বিক্ষোভ সমাবেশে শিক্ষার্থীদের সামনে তার এমন বক্তব্য আসে।
নূর বলেন, "এরপর থেকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে পুলিশের গাড়ি থাকলে আগুন ধরি দেবেন। আগুন ধরিয়ে আমাকে হুকুমের আসামি করতে বলবেন যে, ডাকসুর ভিপি আগুন ধরাতে বলেছে। ক্যাম্পাসে পুলিশের গাড়ি থাকবে কেন? এটাতো কোনো ক্যান্টনমেন্ট এরিয়া না। অন্যায় যখন নিয়ম হয়ে দাঁড়ায়, প্রতিরোধ তখন কর্তব্য হয়ে যায়।"
নূর বলেন, ক্যাম্পাসে পুলিশ প্রবেশের আগে প্রক্টরের অনুমতি নেওয়ার কথা থাকলেও ‘যখন-তখন, যত্রতত্র ক্যাম্পাসে ঢুকে’ শিক্ষার্থীদের ‘অত্যাচার ও গ্রেপ্তার’ করা হচ্ছে।
“এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের পূর্ণ নীরবতা শিক্ষার্থীদের জন্য হুমকিস্বরূপ। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ঐতিহ্যকে খর্ব করে সঙ্কটের দ্বারপ্রান্তে পৌঁছে দিয়েছে বর্তমান প্রশাসন।"
বাংলাদেশ ছাত্র অধিকার পরিষদ আয়োজিত ওই সমাবেশ থেকে চার দফা দাবি তোলা হয়। এগুলো হল- শাহবাগে মশাল মিছিল থেকে আটক সাত শিক্ষার্থী এবং টিএসসি থেকে আটক তিন শিক্ষার্থীসহ গ্রেপ্তার সকল শিক্ষার্থীর নিঃশর্ত মুক্তি দিতে হবে। ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন বাতিল করতে হবে। কারাগারে লেখক মুশতাক আহমেদের মৃত্যুর ‘সুষ্ঠু তদন্ত ও ন্যায়বিচার’ নিশ্চিত করতে হবে। এবং ক্যাম্পাসে সব ধরনের ‘পুলিশি হয়রানি’ বন্ধ করে শিক্ষার্থীদের জন্য ‘পূর্ণ বাক স্বাধীনতা ও নিরাপদ ক্যাম্পা ‘ নিশ্চিত করতে হবে।
সমাবেশে নূর বলেন, "যে কোনো সঙ্কটে সারা দেশের মানুষ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের দিকে তাকিয়ে থাকে। এক সময় এমপি-মন্ত্রীরা ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকদের কাছ থেকে পায়ের ধুলো নিত। আর এখন শিক্ষকরা পদের জন্য এমপি-মন্ত্রীদের কাছে ধর্না দেয়। এটা আমাদের জন্য লজ্জার।”
পুলিশকে জনগণের ‘মুখোমুখি দাঁড় করিয়ে’ দেওয়া হয়েছে মন্তব্য করে তিনি বলেন, “পুলিশ তো আমাদের নিরাপত্তার জন্য নিয়োজিত। কিন্তু এখন আমরা কী দেখছি?”
কারাগারে লেখক মুশতাকের মৃত্যু নিয়ে নূর বলেন, "কারাগারের মতো জায়গায় একজন লেখককে মৃত্যুবরণ করতে হয়েছে। আপনারা জানেন তিনি গুরুতর অসুস্থ ছিলেন না। তাকে হত্যা করা হয়েছে। বাংলাদেশ থেকে আমরা শুধু বলছি না, আন্তর্জাতিক ১৩টি প্রেস বলছে মুশতাক হত্যাকাণ্ডের সঠিক তদন্ত করতে হবে।"
ছাত্র অধিকার পরিষদের কেন্দ্রীয় আহ্বায়ক মুহাম্মদ রাশেদ খাঁন, যুগ্ম আহ্বায়ক ফারুক হাসান, সংগঠনটির ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শাখার সভাপতি বিন ইয়ামিন মোল্লা, সাধারণ সম্পাদক আকতার হোসেন সমাবেশে উপস্থিত ছিলেন।
‘বেনাপোল দিয়ে ২০১৯ সালেই’ দেশ ছাড়েন পি কে হালদার
এনআরবি গ্লোবাল ব্যাংকের সাবেক ব্যবস্থাপনা পরিচালক প্রশান্ত কুমার হালদার ওরফে পি কে হালদার অর্থ পাচারের মামলার মুখে প্রায় দেড় বছর আগে কবে কীভাবে দেশ ছেড়েছিলেন, সেই তথ্য দিলেন রাষ্ট্রের একজন আইন কর্মকর্তা। পুলিশের বিশেষ শাখার (এসবি) ইমিগ্রেশন
ইউনিটের একজন ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তার বরাত দিয়ে ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল এ কে এম আমিন উদ্দিন মানিক বলেছেন, ২০১৯ সালের ২৩ অক্টোবর বিকেল পৌনে ৪টায় যশোরের বেনাপোল স্থলবন্দর দিয়ে দেশ ত্যাগ করেন পি কে হালদার।
তবে ওই পুলিশ কর্মকর্তার নাম বলতে চাননি ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল মানিক।
বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে তিনি বলেন, পি কে হালদার যাতে দেশত্যাগ করতে না পরেন, সেজন্য ২০১৯ সালের ২২ অক্টোবর পুলিশের বিশেষ শাখায় (এসবি) চিঠি দেয় দুর্নীতি দমন কমিশন–দুদক।
ডাকযোগে পাঠানো সেই চিঠি এসবি পায় ২৩ অক্টোবর বিকেল সাড়ে ৪টায়। পরে এসবি সে চিঠি দেশের সব স্থলবন্দর ও বিমানবন্দরে দায়িত্বপালনকারী ইমিগ্রেশন ইউনিটকে পাঠায়।
“ইমিগ্রেশন ইউনিট ওইদিন সন্ধ্যা পৌনে ৬টায় সেই নির্দেশনা পায়। কিন্তু তার ঘণ্টা দুই আগে বিকেল ৩টা ৩৮ মিনিটে যশোরের বেনাপোল স্থলবন্দর দিয়ে পি কে হালদার দেশ ছেড়ে যান।”
আমিন উদ্দিন মানিক বলেন, পি কে হালদারের দুটো পাসপোর্টের তথ্য এ পর্যন্ত জানা গেছে। তার একটি বাংলাদেশি পাসপোর্ট, অন্যটি কানাডার।
“দুদক এসবিকে যে চিঠি দিয়েছিল, সেখানে পি কে হালদারের পাসপোর্টের কোনো নম্বর ছিল না। তাছাড়া পি কে হালদারের দুটি পাসপোর্ট, সে বিষয়টিও দুদক উল্লেখ করেনি।”
ইমিগ্রেশন পুলিশের এ প্রতিবেদন আগামী ১৫ ফেব্রুয়ারি লিখিতভাবে সংশ্লিষ্ট হাই কোর্ট বেঞ্চে উপস্থাপন করা হবে বলে জানান এই আইন কর্মকর্তা।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে দুদকের আইনজীবী মো. খুরশীদ আলম খান বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “হ্যাঁ, পি কে হালদার যাতে দেশত্যাগ করতে না পরেন, তার অনুরোধ ২০১৯ সালের ২২ অক্টোবর পুলিশের বিশেষ শাখাকে চিঠি দেওয়া হয়েছিল। তার বিরুদ্ধে যে অভিযোগের অনুসন্ধান চলছিল, তারই অংশ হিসেবেই চিঠি দেওয়া হয়েছিল।”
অর্থপাচার সংক্রান্ত একটি স্বতঃপ্রণোদিত মামলায় গত ১৫ ফেব্রুয়ারি পি কে হালদারের দেশত্যাগ নিয়ে দুদক, আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর প্রতি উষ্মা প্রকাশ করে বিচারপতি মো. নজরুল ইসলাম তালুকদার ও বিচারপতি মহি উদ্দিন শামীমের হাই কোর্ট বেঞ্চ।
সেদিন বেঞ্চের জ্যেষ্ঠ বিচারপতি মো. নজরুল ইসলাম তালুকদার জানতে চান, পাসপোর্ট জব্দে হাই কোর্টের নির্দেশ থাকার পরও পি কে হালদার কীভাবে দেশ থেকে পালিয়েছেন।
আগামী ১৫ মার্চ মামলাটি পরবর্তী আদেশের জন্য রেখে এই সময়ের মধ্যে ইমিগ্রেশন পুলিশকে এর জবাব দিতে বলা হয়।
পি কে হালদারের পালানোর বিষয়ে উষ্মা প্রকাশ করে ওইদিন বেঞ্চের জ্যেষ্ঠ বিচারক বলেন, “আমরা তার পাসপোর্ট জব্দের নির্দেশ দিলাম। এরপরও কীভাবে সে দেশত্যাগ করল? ওইদিন বিমানবন্দরে ইমিগ্রেশনের দায়িত্বে কারা ছিল?”
গত বছর ২১ জানুয়ারি বিচারপতি মোহাম্মদ খুরশিদ আলম সরকারের একক হাই কোর্ট বেঞ্চ পি কে হালদার এবং আর্থিক প্রতিষ্ঠান ইন্টারন্যাশনাল লিজিং অ্যান্ড ফাইন্যান্স সার্ভিস লিমিটেডের (আইএলএফএসএল) শীর্ষ ২০ কর্মকর্তার পাসপোর্ট জব্দের নির্দেশ দেয়।
আর ইমিগ্রেশন পুলিশের বরাত দিয়ে ডিএজি আমিন উদ্দিন মানিকের দেওয়া তথ্য অনুযায়ী, পি কে হালদার দেশ ছেড়েছেন ২০১৯ সালের ২৩ অক্টোবর।
এনআরবি গ্লোবাল ব্যাংকের সাবেক ব্যবস্থাপনা পরিচালক পি কে হালদারের বিরুদ্ধে অভিযোগ, তিনি নানা কৌশলে নামে-বেনামে অসংখ্য কোম্পানি খুলে শেয়ারবাজার থেকে বিপুল পরিমাণ শেয়ার কেনেন এবং ২০১৪ সালের নির্বাচনের আগে ও পরে নিজের আত্মীয়, বন্ধু ও সাবেক সহকর্মীসহ বিভিন্ন ব্যক্তিকে পর্ষদে বসিয়ে অন্তত চারটি ব্যাংকবহির্ভূত আর্থিক প্রতিষ্ঠানের নিয়ন্ত্রণ নেন।
এই চার কোম্পানি হল- ইন্টারন্যাশনাল লিজিং অ্যান্ড ফাইন্যান্সিয়াল সার্ভিসেস (আইএলএফএসএল), পিপলস লিজিং অ্যান্ড ফাইন্যান্সিয়াল সার্ভিসেস, এফএএস ফাইন্যান্স অ্যান্ড ইনভেস্টমেন্ট লিমিটেড এবং বাংলাদেশ ইন্ডাস্ট্রিয়াল ফাইন্যান্স কোম্পানি (বিআইএফসি)।
এসব কোম্পানি থেকে তিনি ঋণের নামে বিপুল অঙ্কের টাকা সরিয়ে বিদেশে পাচার করেছেন বলে তদন্তকারীদের ভাষ্য।
বিদেশিদের উদ্বেগ ‘তাজ্জবের’ ব্যাপার: পররাষ্ট্রমন্ত্রী
ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে বন্দি মুশতাক আহমেদের মৃত্যুতে উদ্বেগ প্রকাশকারী বিদেশি কূটনীতিকদের সমালোচনা করেছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে আব্দুল মোমেন। যুক্তরাষ্ট্র সফর শেষে ফিরে সোমবার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে সাংবাদিকদের কাছে এই প্রতিক্রিয়া জানান তিনি। মোমেন আরও বলেন, যুক্তরাষ্ট্রে জাতিসংঘ কর্মকর্তাদের সঙ্গে তার বৈঠকে কেউ আল-জাজিরার প্রতিবেদন ‘অল দ্য প্রাইম মিনিস্টার’স মেন’ প্রতিবেদন নিয়ে কোনো প্রশ্ন করেনি। বিতর্কিত ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে বন্দি ব্যবসায়ী-অনলাইন অ্যাক্টিভিস্ট মুশতাকের মৃত্যুতে যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্যসহ ১৩টি কূটনৈতিক মিশনের প্রধানরা উদ্বেগ প্রকাশ করে বিবৃতি দেন। দীর্ঘদিন যুক্তরাষ্ট্রে কাটিয়ে আসা মোমেন এনিয়ে বলেন, “আমেরিকাতেও বহু লোক জেলে মারা যায়। কিন্তু সেখানে এ ধরনের মৃত্যু নিয়ে কোনো দিন কোনো প্রশ্ন আসে না। “আমাদের দেশ একটা তাজ্জবের দেশ। একজন মারা গেলেই, সে কী কারণে মারা গেল, আমরা কিন্তু জানি না, মারা গেলেই তখন এটা নিয়ে বিদেশিরা খুব উদ্বেগ প্রকাশ করেন।” ”দেশের লোক করুক, তাতে আমার কোনো আপত্তি নেই। কিন্তু বিদেশের লোকগুলো এ ব্যাপারে খুব উদ্বেগ প্রকাশ করেন, এটা একটা তাজ্জবের জায়গা,” বলেন তিনি। মুশতাকের মৃত্যু: ঢাকায় ১৩ বিদেশি দূতের উদ্বেগ বিদেশি কেউ বিবৃতি দিলে অন্যান্য দেশ সেভাবে গুরুত্ব দেয় না মন্তব্য করে পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, “কোনো মলে বা বিশ্ববিদ্যালয়ে লোক মারা গেলে যদি বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত উদ্বেগ প্রকাশ করে, তাহলে কোনো মিডিয়া এটা প্রকাশ করবে না। “আমাদের দেশে উদ্বেগ প্রকাশ করেন। আপনারা মিডিয়ার এগুলো বর্জন করা উচিত। ওই লোক এসে এখানে মাতব্বরি করবে কেন? এ ধরনের বিষয় প্রকাশ করা থেকে আপনাদের বিরত থাকা উচিৎ।” সরকারের পক্ষ থেকে আনুষ্ঠানিক প্রতিবাদ জানানো হবে কি না- সাংবাদিকরা জনতে চাইলে তিনি বলেন, ”আপনারা দিবেন, আমরা সরকারিভাবে এগুলো দিতে পারি না। আমরা যখন বিদেশিদের ব্যাপারে উদ্বেগ প্রকাশ করি, তখনও তারা এ নিয়ে সরকারিভাবে কিছু বলে না। পাবলিক নিজে নিজে বুঝে।” আল-জাজিরার প্রতিবেদন নিয়ে যুক্তরাষ্ট্র সরকার কিংবা জাতিসংঘের কর্মকর্তারা কোনো প্রশ্ন তুলেছে কি না- প্রশ্ন করা হলে মোমেন বলেন, “বাংলাদেশি টিভি যারা, তারা আমার সাথে এটা নিয়ে আলাপ তুলেছে। আর তুলেছে ভয়েস অব আমেরিকা। বাকি কোনো লোক এটা নিয়ে প্রশ্ন তোলেনি, আলাপও করেনি।” “এগুলো বাঙালিদের মাথাব্যথার কারণ,” মন্তব্য করেন তিনি। যুক্তরাষ্ট্রে ক্ষমতায় পালাবদলের পর প্রথম সফরে ২২ ফেব্রুয়ারি দেশটিতে যান পররাষ্ট্রমন্ত্রী মোমেন। রোববার রাতে দেশে ফেরেন তিনি।
copied)